চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরি শেষ পর্ব

in hive-129948 •  7 months ago 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি শেষ পর্ব শেয়ার করবো। চিড়িয়াখানা এত বড় এরিয়া নিয়ে তৈরি যে ঘুরতে যেমন সময় লাগে তেমনি একদিনেও সবগুলো ঘোরাঘুরির ফটোগ্রাফি শেয়ার করে শেষ করা যায় না। এজন্য পর্ব আকারে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। গতদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম হাতী, গন্ডার এবং আরো বেশ কিছু প্রাণীর ফটোগ্রাফি। আজকে বাকি প্রাণীগুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


IMG_9017.jpeg


উপরের প্রাণীটির নাম কেশোয়ারি। এ প্রাণীটির নাম আমি আগে কখনো শুনিওনি দেখিনি। এবারই প্রথম দেখলাম। তাছাড়া এর গায়ের কালার কালো এবং নীল মিশ্রিত। দূর থেকে তেমন একটা বোঝা যাচ্ছে না। এটি নিউগিনি এবং অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া যায়।
আর নিচে একটি ভাল্লুকের ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছি। ভাল্লুকটি একটি গুড়ির উপরে এমনভাবে পড়েছিল যে বোঝাই যাচ্ছিল না সেখানে কিছু আছে। হয়তো ঘুমিয়ে ছিল। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন সব প্রাণীদেরকে খাবার দিচ্ছিলো। এজন্য সবাই খাবার খেয়ে রেস্ট নিচ্ছিলো।


IMG_9020.jpeg


IMG_9022.jpeg


নিচের খাঁচাটিতে সিংহ ছিলো। এখানে দুটি সিংহ আছে। বাঘ সিংহের খাঁচায় এত বেরিকেট দেয়া যে ভালো মত দেখাই যায় না। এই বাঘের খাঁচা কিন্তু একদম শুরুর দিকে। আমরা বাম পাশ থেকে ঘোরা শুরু করেছি জন্য একদম শেষে এসে দেখেছি।


IMG_9024.jpeg


IMG_9025.jpeg


নিচের খাঁচাটিতে আরো দুটি ভাল্লুক ছিলো। এরা আবার খুব ঘোরাফেরা করছিলো।


IMG_9026.jpeg


IMG_9027.jpeg


IMG_9028.jpeg


নিচের খাঁচাটিতে বাঘ ছিলো। বাঘটিকে দেখে মনে হলো ঠিক মত খাবার পায় না। একদম শুকিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া বাঘের কোন সঙ্গী নেই। এভাবে একা একা কোন প্রাণীকে রাখাই আসলে ঠিক না।
নিচের খাঁচাটিতে অসংখ্য পাখি ছিল। নিচ দিয়ে, উপর দিয়ে যে কত পাখি ছিলো গুনে শেষ করা যাবে না। এরকম আরো বেশ কয়েকটি পাখির খাঁচা ছিল খুব সুন্দর লাগছিল এগুলো দেখতে।


IMG_9029.jpeg


IMG_9030.jpeg


সবশেষে ঘোরা শেষ করে আমরা আবারও সেই আগের জায়গায় চলে এসেছি। তারপর সেখান থেকে বের হয়ে আমরা দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করেছি। সে গল্প অন্য একদিন শেয়ার করবো।
যাই হোক সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আমাদের চিরিয়াখানার পশুগুলো সবগুলোই নেতানো থাকে আপু! জানি না কেন! আমি ছোট বেলায়, বহু আগেই গিয়েচভিলাম চিরিয়াখানায়। কিন্তু যেমন উটকো গন্ধ, আর প্রাণীগুলোও সব নেতানো দেখে আর ইচ্ছে করে না যেতে। আর আসলেই এত বেড়িকেট দেয়া যে ছবি তে তেমন বোঝাও যাচ্ছে না কিছু। অবশ্য সে বেরিকেড জণগণ এর সুরক্ষার জন্যই দেয়া!

একদম ঠিক বলেছেন আপু বড় বড় প্রাণীগুলো সব নেতানো। ঠিকমতো খাবার পায় না দেখেই বোঝা যায়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আমাদের দেশে চিড়িয়াখানা গুলো আসলেই এরকম।পশুপাখি নেতানো তেজ নেই একদম।কিন্তু অন্যান্য কান্ট্রিতে পশুরা খুব স্ট্রং দেখলেই ভালো লাগে।সবার সাথে আবার মজা করে ।অবশ্য খাঁচা গুলোর জন্য ছবি গুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না।ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ঠিকমতো খাবার না পেলে এরকম বন্ধি জায়গায় দুর্বল তো হবেই। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

এটা ভালো করেছেন এত বড় একটি চিড়িয়াখানা ঘোরাঘুরি করেছেন আর একদিনে ছবিগুলো দিলে কিন্তু ভালোভাবে দিতেও পারবেন না । অনেকগুলো পর্ব আকারে দিয়ে ভালো করেছেন সবগুলো একটু একটু করে দেখা হয়ে গেল । ভালুকসিংহ এগুলো দূর থেকে দেখেই ভালো করেছেন কাছে গিয়ে দেখলে তো ভয়ই লাগবে । আমি তো খুঁজেই পাচ্ছি না কোথায় টুক করে বসে রয়েছে তারপর দেখলাম যে দূরে বসে রয়েছে ।

একবারে এত ছবি শেয়ার করা সম্ভব নয়। এজন্য পর্ব আকারে শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।