বাঙালিয়ানা ভোজে একদিন

in hive-129948 •  last year 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। সবসময় মাছ মাংস খেতে ভালো লাগে না। মাঝেমধ্যে ভর্তা ভাত খেতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে মাছ মাংস রান্নার থেকে ভর্তার আইটেম করা বেশি কষ্টকর। কারণ বাটাবাটির অনেক ঝামেলা থাকে। তাছাড়া যেদিন বিভিন্ন ধরনের ভর্তা তৈরি করা হয় সেদিন খাওয়া বেশি হয়ে যায়। এজন্যই মাঝেমধ্যে বাইরে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে খাবার খাই। সেদিন হঠাৎ আমার হাসবেন্ড খাবারের এই মেন্যুর ছবিটা আমাকে পাঠিয়েছে। দেখে আমার তো লোভ লেগে গিয়েছে। এত রকমের ভর্তা দিয়ে খিচুড়ি ভাবতেই মুখে পানি চলে এসেছে।জিজ্ঞাসা করলাম খাওয়াবে কিনা। তখন বলল যে দেখা যাক।


IMG_5221.jpeg


ছুটির দিন মানেই বাচ্চাদেরকে বাইরে একবার খাওয়াতে হয়। এই খাবারটি দেখে তখন চিন্তা করলাম যে কালকে যেহেতু ছুটির দিন আছে তাহলে কালকেই খাওয়া যাক। তাহলে আমি রান্নার হাত থেকে বেঁচে যাব। আবার এরকম লোভনীয় খাবারও খাওয়া হবে। এই রেস্টুরেন্টটির নাম বাঙালিয়ানা ভোজ। বসুন্ধরার গেট এ অর্থাৎ যমুনা ফিউচার পার্কের পাশেই। এই রেস্টুরেন্টে এ ধরনের আইটেমগুলোই বেশি পপুলার। তাছাড়া ওরা একটি অফার দিচ্ছিলো এইরকম খিচুড়ি, মাংস, ভর্তা দিয়ে একটি প্লেট মাত্র ৩৫০ টাকার। ওদের দোকানের প্রচারের জন্য এই অফারটি চলছিল। অফারটি দেখে চলে গেলাম এখানে খাওয়ার জন্য।


IMG_4919.jpeg


IMG_4915.jpeg


অনেক বেশি ডেকোরেশন করা না। কিন্তু খুব সুন্দর সিম্পল ডেকোরেশন করা। ভালো লাগছিলো। তাছাড়া এই রেস্টুরেন্টে আমরা প্রথম গিয়েছিলাম। কিন্তু লোকজনের প্রচুর ভিড় দেখলাম। তার মানে লোকজন এখানে রেগুলার খেতে আসে।


IMG_4920.jpeg


IMG_4921.jpeg


আমরা এই প্লেটটি অর্ডার দিয়েছিলাম। এখানে ছিল খিচুড়ি, তিন রকমের ভর্তা, চিকেন রোস্ট, আচার, সালাদ ও ফিরনি। আমরা এরকম দুটি প্লেট অর্ডার দিয়েছিলাম। সাথে একটি ভাত, একটি খিচুড়ি এ আর রোস্ট এক্সট্রা দিয়েছিলাম। তাছাড়া আরও দুই তিনটি ভর্তার আইটেম নিয়েছিলাম। খাবার মোটামুটি ছিল। দেখে যতটা লোভনীয় লাগছে স্বাদ তার থেকে একটু কম।


IMG_4918.jpeg


এই ছিল আমার আজকের আয়োজন আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone 11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যমুনা ফিউচার পার্কের পাশেই বাঙালিয়ানা ভোজ আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে এটা বেশি দূরে নেই। আর এইরকম প্লেটার দেখে আমার নিজেরই লোভ হচ্ছে আপু। সবরকম খাবার রয়েছে। খিচুড়ি মাছ মাংস ভর্তা আর দাম টাও মোটামুটি ঠিক আছে। এটা একদিন ট্রাই করতে হবে। আপনার খাবারের রিভিউ পোস্ট টা দেখে ভালো লাগল। একটা ধারণা পাওয়া গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।।

Posted using SteemPro Mobile

ট্রাই করতে পারেন ভাইয়া, কিন্তু এখন অফারটা পাবেন না। আমি অনেকদিন আগে খেয়েছিলাম এবং তার দুই এক দিন পরেই অফারটি শেষ হয়ে গিয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।

রেস্টুরেন্টের নামটা তো খুব সুন্দর। আর ইনডোর টাও ভালোই। খাবারের দামটাও খুব একটা বেশি না। সত্যিই ছবিতে প্লেটার টা খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। তবে স্বাদ সেই তুলনায় কিছুটা কম জেনে খারাপ লাগলো। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

রেস্টুরেন্টের ভিতরটা খুব বেশি ডেকোরেশন করা না কিন্তু সিম্পলের মধ্যে ভালো লাগছিল। খাবারও মোটামুটি ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

বাঙালিয়ানা ভোজ রেস্টুরেন্টে তাহলে ভালো করে খাবার খেলেন। ছুটির দিনে বাইরে খেতে গেলে এমনিতে অনেক পছন্দ করে। তবে বেশিরভাগ মানুষ ভর্তা দিয়ে কিছু খেতে অনেক ভালো লাগে। যদিও এসব খাবারগুলো অফার দিয়ে তারা কাস্টমার আকৃষ্ট করার চেষ্টা করতেছে। তবে খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে খাওয়াগুলো অনেক মজাই হবে। যাই হোক ভালো করে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেলেন। এবং অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

ভর্তা দিয়ে খাবার খেলে খাওয়া অনেক বেশি হয়। তাছাড়া ভর্তা বাসায় তৈরি করা বেশ ঝামেলার। এজন্যই বাইরে গিয়ে মাঝেমধ্যে খেয়ে আসি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

তাহলে আপু আপনার হাসবেন্ড ভালই করেছে খাবারের মেন্যু আপনাকে পাঠিয়েছে। আর আপনারা সবাই মিলে বাঙালিয়ানা ভোজ রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া খেয়েছেন। তবে যে কোন ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে রেস্টুরেন্ট ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে রেস্টুরেন্টে অনেক উন্নত এবং নিশ্চয়ই এর খাওয়াগুলো মান অনেক ভালো। আর আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব মজার মজার খাবার খেয়েছেন। যাইহোক ছুটির দিনে খুব মজা করে রেস্টুরেন্ট গিয়ে খাওয়া খেলেন।

জ্বী আপু খাবারের মেন্যু পাঠিয়েছিল জন্য এত সুন্দর একটি খাবার খেতে পেরেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।