ননদের বাসায় একদিন

in hive-129948 •  11 months ago 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।


আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এবার রংপুর থেকে আসার সময় আমার শ্বশুর শাশুড়িকে সাথে নিয়ে এসেছিলাম। তারা বেশ কিছুদিন আমাদের এখানে ছিল। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আসার পর থেকেই আমার চাচাতো ননদ তাদের বাসায় যাওয়ার জন্য বারবার বলছিলো। যদিও সময়ের অভাবে যেতে পারছিলাম না। তাছাড়া আরও কয়েক জায়গায় দাওয়াত ছিল জন্য সময় করে উঠতে পারছিলাম না। গত শুক্রবারে যখন আমার ননদরা শশুর শাশুড়িকে নিতে এসেছিল তখন আমার চাচাতো ননদ তাদেরকে বাসায় যাওয়ার জন্য আবারো দাওয়াত করেছিলো। পরে জানতে পারলাম যে তার মেয়ের জন্মদিনের আয়োজন করেছে। যদিও আমি আমার বাচ্চাদের জন্মদিন কখনো করি না। এই জন্য জন্মদিনের দাওয়াতে যাইও না। কারণ বাচ্চারা এ ধরনের জন্মদিনের আয়োজন দেখলে নিজেদের জন্মদিন করার জন্য খুব বায়না করে। কিন্তু এবার আর উপায় ছিল না। যেহেতু আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে দাওয়াত করেছে তাই তাদের সঙ্গে বাধ্য হয়ে যেতে হয়েছিলো।


IMG_8355.jpeg


IMG_8356.jpeg


শুক্রবার ছিল জন্য নামাজের পর যাওয়ার প্লান করেছিলাম। যদিও তারা সকালের দিকে যেতে বলেছিল। কিন্তু গোসল করে রেডি হয়ে যেতে যেতে দেরি হয়ে গেল। যেতে দেরি হয়েছিলো জন্য দুপুরবেলায় গিয়ে আমরা খেতে বসে গিয়েছিলাম। খাবার আয়োজন গ্যারেজে করেছিল। খাবারের মেন্যুতে ছিল পোলাও, রোস্ট, ডিম, সালাদ, সবজি, খাসির মাংস,বোরহানি। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসায় এসে দেখলাম যে খুব সুন্দর ডেকোরেশন করেছে জন্মদিন উপলক্ষে এবং বাসা ভর্তি ও অনেক লোকজন।


IMG_8352.jpeg


IMG_8361.jpeg


এই চেয়ার সেটগুলো খুব ভালো লেগেছিল আমার কাছে। আমার ননদের হাসবেন্ড চায়না থেকে এগুলো নিয়ে এসেছে। একেবারে ভিন্ন রকম ছিল।


IMG_8360.jpeg

IMG_8359.jpeg


পরিচিত অনেক লোকজন এসেছিল। সবার সঙ্গে গল্প করার পর কেক কাটা হলো। বাচ্চারা খুব মজা করেছে এই সময়। তারপর কেক মিষ্টি খাওয়া হলো। খাওয়া দাওয়া শেষ করে সন্ধ্যার আগেই বাসায় চলে এসেছি। অনেকদিন পর বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম সবাই মিলে।


IMG_8358.jpeg


এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।


ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phonei phone11
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আসলে ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদের জন্মদিন যদি এভাবে কখনো সেলিব্রেট না করা হয় তাহলে হঠাৎ অন্যের জন্মদিনে বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে খুব মুশকিল হয়ে পড়ে। এখন বাচ্চারা ও জন্মদিন আসলে বাহানা ধরে। আপনার শশুর শাশুড়ি যাওয়ার কারণে আপনারাও শেষমেষ গিয়েছেন। একেবারে দুপুরে খাওয়ার সময় গিয়ে খেতে বসে। ভালোই আইটেম করলো সবার জন্য। তাছাড়া আপনার চাচাতো ননদেরা ঘরটা বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছে। আমার কাছেও ওনার হাসবেন্ড চায়না থেকে নিয়ে আসা চেয়ারগুলো অনেক ভালো লাগলো। ঘরে এরকম নতুন কিছু থাকলে দেখতেও ভালো লাগে। সবাই খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি জন্মদিনে ভালই মজা করলেন। এই দিনটা আপনাদের জন্য আসলেই অনেক স্পেশাল ছিল

এজন্যই জন্মদিনের দাওয়াতে আমি বাচ্চাদেরকে নিয়ে যাই না। সেদিন বাধ্য হয়ে যেতে হয়েছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

জন্মদিন উপলক্ষে ননদের বাসায় গিয়ে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন। ঘরটা সুন্দর করেই সাজিয়েছে। আর চেয়ার সেটগুলো সত্যিই সুন্দর লেগেছে। চায়নার জিনিষ,আশা করি ভালোই হবে। ধন্যবাদ।

জ্বী ভাইয়া ওদের ঘরটি আসলেই খুব সুন্দর ডেকোরেশন করেছিল। নতুন ফ্ল্যাটে উঠেছে এর জন্য আরো বেশি ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

জন্মদিনে তো ভালোই আনন্দ করেছেন ও খাওয়া দাওয়া করেছেন।আসলে কখনো কখনো ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েও কোন অনুষ্ঠানে যেতে হয়।চায়না থেকে আনা চেয়ারের সেটটি সত্যি খুব সুন্দর। সত্যি সুন্দর করে ডেকোরেশন করেছে। ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি করে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু কখনো কখনো কিছু কাজ ইচ্ছার বিরুদ্ধেও করতে হয়। সেদিন ঠিক তেমনটিই হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

এ ধরনের জন্মদিনের পার্টিতে গেলে বাচ্চারা খুব মজা করে তখন বাসায় এসে নিজেদের জন্মদিন করার বায়না করে । আপনি না করলে তখন বাচ্চারা মন খারাপ করে তারপরও শ্বশুর শাশুড়ির সাথে গিয়ে ভালোই করেছেন বাচ্চারা একটু আনন্দ করেছে । ভালই আয়োজন ছিল খাবার-দাবারের । ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা গেল ।

আমিতো বাচ্চাদের জন্মদিন কখনো পালন করি না। এজন্য জন্মদিনের পার্টিতে খুব একটা যাই না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

ছোট বাচ্চারা জন্মদিনের ব্যাপারটা মারাত্মক ইনজয় করে। আমার কাছে মনে হয়, চারদিকে আরো ছোট বাচ্চাদের পাশে পেয়ে খুশির মাত্রা টা তো অনেক বেড়ে যায়, ঠিক ঐ জন্যই হয়তো জন্মদিন এতো টা বেশি ভালো লাগে বাচ্চাদের। সুন্দর একটা আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগলো। বাচ্চারা যে মজা পেয়েছে এটাই বড় কথা। ও হ্যাঁ খাবারের পর্ব টাও কিন্তু বেশ ভারী ছিল 👌👌।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোট বাচ্চারা জন্মদিন পেলে খুবই খুশি হয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile