শুভ রাত্রি। আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
দু'দিন ধরে গ্ৰামে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে। কুয়াশা তেমন নেই তবে ঠান্ডার পরিমাণ বেশি। এই সময় গ্ৰামে থাকতে বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে মেয়েদের কাছে বাবার বাড়িতে আসলে যেতে ইচ্ছে করে না। যেখানে জন্ম হয়েছে,যেই জায়গায় এতটা বছর পার করেছে এমন জায়গায় আসলে ইচ্ছে করে আগের মতো থাকতে। সেই সময়টা কতইনা মধুর ছিল। কোথায় যেনো সবকিছু হারিয়ে গিয়েছে। যখন বাড়িতে আসবো বলে রেডি হই তখন আনন্দের শেষ থাকে না। কিন্তু যখন চলে যাবার সময় হয় তখন খুব কষ্ট হয়। সবাইকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে না। তবে একটা জিনিসের অনেক পার্থক্য হয়ে গিয়েছে।
আমি জানি না আপনারা সেটা অনুভব করতে পারেন কিনা,তবে আমি তা অনুভব করি। বিয়ের আগে যখন বাবার বাড়িতে ছিলাম তখন যেনো সবকিছু এবং পরিবারের সবাইকে নিজের মনে হতো। এমন কি আলাদা একটা অধিকার বোধ কাজ করতো। কিন্তু বিয়ের পর সেটা যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে। সবকিছু আগের মতোই রয়েছে তারপরও কোথাও যেনো কিন্তু শব্দটা রয়েছে গিয়েছে। এখন যেনো আগের মতো অধিকারের যে শক্তি তা খুঁজে পাই না। কোথায় যেনো সেই অধিকার বোধ হারিয়ে গিয়েছে।
বাবা চলে গেছেন পরপারে, মায়ের বয়স হয়ে গিয়েছে, ভাইয়েরা বিয়ে করেছেন তাদের সংসার হয়েছে আর সেখানে যেনো আমার জায়গাটা আগের মতো খুঁজে পাই না। যদিও সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে তারপরও সেই অনুভূতি আর হয় না। মাঝে মাঝে সেই সময়গুলো খুব মনে পড়ে। হাসিখুশি ভরা জীবনটা কতইনা সুন্দর ছিল। যেখানে কষ্টের কোনো ছায়া ছিল না। কখনও চোখে জল আসতো না। এখনও কষ্ট নেই তবুও কোথাও যেন আগের সেই আদর ভালোবাসা খুঁজে পাই না।
বিয়ের পর মেয়েদের জীবন যেন এলোমেলো হয়ে যায়। তখন জীবনে সুখ থাকলেও প্রকৃত সুখের দেখা মিলে না। মনের ভিতরের চাপা কষ্ট কখনও কারো কাছে শেয়ার করা যায় না। বাড়িতে আসলে জানি না কোন এক অজানা কষ্ট আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। এই শূন্যতা হয়তো বাবা চলে যাওয়াতে বেশি অনুভব করি। এখন মা আছে বলে একটু হলেও কষ্ট ভুলে থাকা যায় কিন্তু যখন কেউ থাকবে না তখন হয়তো বাবার বাড়ি নামক শব্দটা অন্ধকারে ঢেকে যাবে। আপনাদের কাছে আমার মনের ভিতরের অনেক আবেগ অনুভূতি শেয়ার করে ফেলেছি।
অনেক সময় মন খুলে অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু হঠাৎ করে কেন জানি থেমে যাই। আমি জানি এখানে শেয়ার করলে নিজের মনটা একটু হালকা হবে। তবে এটা কিন্তু সত্যি নিজের মনের দুর্বলতা কখনও কারো কাছে প্রকাশ করা ঠিক নয়। কারণ যাকে আপনি আপন ভেবে দুর্বলতা প্রকাশ করবেন সেই একদিন আপনাকে সেই দুর্বল জায়গায় আঘাত করবে। তখন নিজেকে সামলানো খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। ছোট্ট এই জীবনে কত কিছুই না ঘটে। কখনও মেনে নেওয়া যায় কখনওবা ধৈর্যের সীমানা শেষ হয়ে যায়।
যাই হোক মনের ভিতরে লুকায়িত অনেক কথা বলে ফেলেছি। যদি কোনো ভুল ক্রুটি হয় ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজ আসি, পরে আবারো নতুন পোস্টে দেখা হবে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power



Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মনের ভিতর জমা এক বিষাদের অনুভূতি ব্লগের পাতায় শেয়ার করেছেন। এতে আপনার মনটাও হালকা হবে। আসলে আমার মনে হয় বিয়ের পর মেয়েরা যেহেতু বাপের বাড়িতে থাকে না তাই তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু বাবা-মা তো আপনই থাকে। তারা কখনো জীবন থেকে দূরে যায় না। তাই আমার মনে হয় আপনি এভাবে ভাববেন না। শুধুমাত্র সেখানে রোজ থাকেন না বলে মনে হয় অধিকারবোধ চলে গেছে। কিন্তু বাড়ি আপনারই আছে। আর তাই থাকবে। তাই মনকে শক্ত করে অন্যভাবে ভাবুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কথা মতো তাই করার চেষ্টা করবো। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিয়ের পর মেয়েদের জীবনটা আসলেই এলোমেলো হয়ে যায়। নিজের বাড়িতেও মেহমান হিসেবে বেড়াতে যেতে হয়। আর মা বাবা না থাকলে তো মেয়েরা বাড়িতে যেতেই চায় না। আপনার তো এখনো মা আছে বাড়িতে। তাই এখন একটু আসা যাওয়া রয়েছে। যাইহোক মেয়েদের জীবনটা এমনই। তাই সবকিছু মেনে নিতে হবে এবং মনের মধ্যে এসব নিয়ে কষ্ট রাখা যাবে না। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাইয়া কষ্ট রেখে লাভ নেই,তাই চেষ্টা করি সবসময় মানিয়ে নেওয়ার। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit