আসসালামু আলাইকুম
আজ আবারও নতুন পোস্ট নিয়ে চলে এসেছি। এবার নিয়ে এসেছি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে। কোনো এই ঢাকা থেকে বাগেরহাট যাওয়ার ভ্রমণ শেয়ার করা হয়নি। তাই এবার এই বিষয়ে কিছু কথা বলতে এসেছি। প্রথম পর্বে ঢাকা থেকে পদ্মা নদী যাওয়া পর্যন্ত শেয়ার করবো। কারণ এটা এতটাই লংজার্নি যা এক পর্বে বলে শেষ করতে পারবো না। প্রতিবার যাওয়ার সময় বমি করে ক্লান্ত হয়ে যাই, সেজন্য আর তেমন কিছু দেখা হয়না আর ছবিও তোলা হয় না। কিন্তু এবার কেন জানি জার্নি করতে খুব ভালো লেগেছে। সেজন্য গাড়িতে চুপ করে বসে থাকতে পারলাম না।
যখন যা সামনে পড়ছে তাই ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করেছি। সেই কথায় পরে আসছি, যেহেতু অনেক দূরের রাস্তা তারজন্য আমরা সবসময় ফজরের আযানের পর যখন বাহিরে হালকা আলো দেখা যায় তখন বেরিয়ে পড়ি। সবসময়ই ভোরবেলা যাওয়ার চেষ্টা করি। কারণ এতে পরিবেশ খুবই ঠান্ডা থাকে আর দুপুরের আগেই বাড়ি যাওয়া যায়। এখন দিন বড় আর রাত ছোট, সেজন্য যখন আমরা বের হয়েছি তখন মাত্র বাজে ৫.৩০ কিন্তু বাহিরের অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল ৮ টা বাজে।
এত সকালে রিকশা পাওয়া খুবই কষ্টকর আর রিকশা না হলে সায়দাবাদ যাওয়া খুবই কঠিন। সেদিন ভাগ্য ভালো ছিল বাসার নিচে নামতেই দেখি গ্যারেজ থেকে লোকটি মাত্র রিকশা নিয়ে বের হচ্ছে। এরপর সেই রিকশা করেই সায়দাবাদ চলে গেলাম। এরপর টিকেট কেটে গাড়িতে উঠে পড়লাম। ঈদের সময় ছিল বলে জন প্রতি ৭০০ টাকা করে নিয়েছে। এরপর ঢাকা শহর থেকে যত সামনের দিকে যাচ্ছি ততই যেনো গ্ৰামীণ পরিবেশের ছোঁয়া পাচ্ছিলাম।
তাছাড়া রাস্তায় একদমই জ্যাম ছিল না। খালি রাস্তা পেলে ড্রাইভার মনে করে বিমান চালাচ্ছে। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে ধোলাইপাড় পাড় হয়ে গেলাম। হাইওয়ে রোড ফাঁকা থাকে বলে বিমানের গতিতে গাড়ি চলে। মাঝে মাঝে তো মনে হয় এই বুঝি এক্সিডেন্ট হলো। আমার বাগেরহাট যাওয়া আসা করতে খুব ভয় লাগে। কিন্তু কিছু করার নেই যেতে তো হবেই। যখন পুস্তখলা পার হলাম তখন থেকে রাস্তার এত সুন্দর মনোরম দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যতবার যাই ততবারই যেনো আমি রাস্তাসহ আশেপাশের দৃশ্যের প্রেমে পড়ে যাই।
এরপর আবার এত বাতাস থাকে চোখ মেলে তাকানো যায় না। আমার ছেলে তো গাড়ি একটু চললেই ঘুমিয়ে পড়ে আর একদম সারা রাস্তা ঘুমিয়ে যায়। যতক্ষণ গাড়ি থেকে না নামবো ততক্ষণ ঘুমাবে। একবার তো আমি ছেলের জন্য ছোট বালিশ নিয়ে গাড়িতে উঠেছিলাম। এরপর কোলের উপর বালিশ রেখে শুয়ে দিলাম আর ছেলেও খুব আরামে ঘুম দিলো। কিন্তু এবার আগে ছবি তুলে নিয়েছি আর হাজবেন্ড কে বলেছি আমি যদি ঘুমিয়ে পড়ি তাহলে ভালো দৃশ্য চোখে পড়লে ছবি তুলে নিও। কিন্তু সে কি করলো জানেন, যখন ভালো দৃশ্য আসে তখনই আমাকে ঘুম থেকে তুলে বলে তোমার ছবি তোলা দরকার তুমিই তোলে।
কি আর করার নিজের কাজ নিজেকেই করতে হলো। গাড়ি যদি একটানা চলতে থাকে তখন আর বমি আসে না। তখন জার্নি করতেও ভালো লাগে। এবারের মতো শান্তি কখনও পায়নি। রাস্তার চারপাশে কত সুন্দর ভাবে গাছ লাগিয়ে রেখেছে আর এই গাছ গুলোর জন্যেই রাস্তার সৌন্দর্য আরও বেড়ে গিয়েছে। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয়।আজকের এই ব্লগটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন,সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | ট্রাভেল |
---|---|
ডিভাইস | Vivo Y16 |
ফটোগ্রাফার | @tanjima |
লোকেশন | ঢাকা |
ধন্যবাদ সবাইকে |
---|
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

খুব ভালো লেখা না হলে পুরোটা মনযোগ দিয়ে পড়িনা। আপনারট পড়লাম। লেখার গাঁথুনি ভালো ছিল। পড়ে আরাম পেয়েছি। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। একটা অনুরোধ, প্রয়োজনে পর্ব বাড়ান, তবুও আরেকটু ডিটেইলস করার চেষ্টা করেন।
যেমন, যখন পোস্তগোলা পার হলাম তখন ঘড়িতে সকাল ৮টা।
অথবা, টোলপ্লাজা নদীর ওইপারে। কোন হোটেলে খেয়েছেন যাত্রাপথে? খাবারের মান কেমন, দাম কেমন, সুবিধা/অসুবিধা! যাতে আমরা যারা কখনও যাইনি, উপকৃত হতে পারি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া এবার যাওয়া আসার মাঝে কোনো বিরতি ছিল না। কারণ রাস্তা ফাঁকা ছিল বলে একটানে খুব তাড়াতাড়ি চলে গিয়েছি। তবে এরপর যখন যাবো তখন চেষ্টা করবো সম্পূর্ণ ডিটেলস জানানোর। খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অপেক্ষায় থাকলাম। স্বাগতম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামে যাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। সে জন্য তো সাড়ে পাঁচটার সময় বাসা থেকে বের হতে পেরেছে। আর যাত্রাবাড়ি থেকে পদ্মা সেতুর দিকে যে রাস্তা গেছে, সেই রাস্তাটা খুবই সুন্দর করেছে। এই রাস্তায় গাড়ি বিমানের মতই চলে। যায়হোক দেখা যাক পরের পর্বে কি কি দেখতে পারি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাইয়া যাত্রাবাড়ি থেকে পদ্মা সেতুর দিকে যাওয়ার রাস্তা খুবই সুন্দর। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঢাকা থেকে বাগেরহাট ভ্রমন করেছেন শুনে খুবই ভালো লাগছে এবং এখানে আপনি ভ্রমণের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ প্রথম পর্বের মধ্যে আপনি অনেক কিছুই আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ আশা করি পরবর্তীতে আরো অনেকগুলো পর্ব দেখতে পাবো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit