"সিকিমের পাহাড় দেখার অনুভূতি ও কিছু পাহাড়ের ফটোগ্রাফী"

in hive-129948 •  2 years ago 

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি পাহাড়ের কিছু ফটোগ্রাফী শেয়ার করবো। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক না আসলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না এত সুন্দর জায়গা এই শহর। আমি সারাজীবন শুধু শুনেই এসেছি আর সৌন্দর্য্যের কথা আজ নিজের চোখে অনুভব করতে পারছি। আমি গাড়িতে শিলিগুড়ি থেকে ভিতরে ঢুকতেই পাহাড় চোখে পড়লো। পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে পাহাড়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার বাবু আমার থেকে বেশি খুশি হয়েছিলো। পাহাড় আমাকে খুব টানে। অনেকে বিদেশের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের দেশে এত সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে যা বিদেশের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। পাহাড়ের সৌন্দর্য ও পাহাড়ি মানুষের জীবন যাত্রা দুই আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি যত ঘরছি ততই আমি এই জায়গার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি।বাবু অনেক ছোট তাই সব জায়গায় যেতে পারছি না। আবার আমাদের হাতে সময় ও কম। এখানে কমপক্ষে ১০ - ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে আসলে সব কিছু ভালো করে দেখা যায়।
আমরা প্রচুর ঘুরছি আনন্দ করছি এটা আপনারা আমার প্রিয় মানুষটির পোস্ট দেখলে জানতে পারছেন।ওর জন্যই আজ আমি এত সুন্দর জায়গায় ঘুরতে পারছি আনন্দ করতে পারছি। সব সময় আমার চাওয়াটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে আসছে। ওর মত একটা মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি ধন্য। এখানে প্রচুর ঠান্ডা। কিন্তু তারপর ও আমি বলবো সত্যি যেনো সপ্নের রাজ্যে। ঘরের গন্ডি পেরিয়ে বাইরে না আসলে জীবনকে উপভোগ করা যায় না। তাই ভাবলাম আমার সাথে আপনারাও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করুন।

IMG_20221113_123454.jpg

IMG_20221113_123435.jpg

IMG_20221113_123319.jpg

IMG-20221113-WA0022.jpg

তিস্তা নদীর ওপর থেকে পাহাড়ের সৌন্দর্য। দূরের পাহাড় গুলো কুয়াশার চাদরে ঢাকা। দূর থেকে দেখতে কিন্তু বেশ লাগছে।
তারিখ: ১৩ নভেম্বর ২০২২
স্থান : সিকিম

IMG_20221115_115545.jpg

IMG_20221115_125955.jpg

IMG_20221115_125959.jpg

IMG_20221115_124839.jpg

IMG_20221115_130031.jpg
নাথুলা পাসের পাহাড়। কাছে না গেলে বোঝাই যাবে না কত টা উচুঁ পাহাড়। আমরা ১৫০০০ ফুট ওপরে উঠেছিলাম।এর উপরে উঠছিলো সবাই। আমি হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে নেমে এসেছিলাম।

IMG-20221116-WA0003.jpg

IMG-20221116-WA0002.jpg

IMG-20221116-WA0000.jpg

IMG_20221115_145446.jpg
পাহাড়ের গা বেয়ে মেঘ উড়ে যাচ্ছিলো। যা দেখতে এত সুন্দর লাগছিলো বলে বোঝানো সম্ভব নয়। মনে হচ্ছিলো মেঘ গুলো আমি হয়তো হাতে ধরতে পারবো। আরো অনেক ছবি রয়েছে সে গুলো ধীরে ধীরে আপনারা আমার প্রিয় মানুষটি ও দেবোরের কাছ থেকে উপভোগ করতে পারবেন। আমি সামান্য কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ছবিগুলো দেখছি আর ভালো লাগছে।আসলেই নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।যতই ছবি দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি।আসলে সুন্দর সুন্দর জায়গায় বেশি সময় নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা।১৫০০০ হাজার ফুট🤔,ভাবতেই অবাক লাগছে।
দাদা দের ছবি দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ

সিকিমে পাহাড়ের নাম আমরা শুনেছি কিন্তু জানি কখনো দেখা সৌভাগ্য হবে ন।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে বুঝতে পারছি এ জায়গাটা কত না সুন্দর।দিদি আসলে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। পাহাড় গুলো অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আকাশের মেঘ গুলো যেন পাহাড়ের সাথে ছুঁয়ে উড়ে চলে যাচ্ছে।দুই ধারে পাহাড় মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে নদী।সব মিলিয়ে সৌন্দর্যের নীলাভূমি এই সিকিমের পাহাড়।

পাহাড় ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে আমিও বান্দরবান গিয়েছি কয়েকবার ঘুরতে বন্ধুদের সাথে।।
সিকিম পাহাড় ভ্রমণের অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি সেই সাথে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন একদম স্বপ্নের রাজ্যের মত মনে হচ্ছে আমার কাছে।। বিশেষ করে পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে ছোট ছোট ঘর গুলো নদীর কূল ঘেঁষে সব থেকে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে।।

১৫ হাজার ফুট উচ্চতার পাহাড় ভ্রমণ করেছেন সত্যি অবাক হয়ে গেলাম এত পথ উঠলেন কিভাবে।।

অনেক উপড়ে উঠেছেন দেখাযায়। পাহাড় আমার কাছেও ভালো লাগে। তবে সত্যি বলতে এখনো পাহাড় এ উঠে দেখিনি। অনেকবার বন্ধুদের সাথে প্ল্যান করেছি যাবো কিন্তু যাওয়া হয়নি কখনো। টিনটিন বাবু একটু বড় হলে ভালো মতন ঘুরতে পারবেন সব যায়গায়।

বৌদি আপনার প্রিয় মানুষটি আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসে বলেই হয়তো আপনার প্রিয় জায়গা গুলোতে ঘুরতে নিয়ে যায়। আসলে নিজের দেশেই যদি এত সুন্দর জায়গা থাকে তাহলে অন্য দেশের ঘুরতে যাওয়ার কি দরকার। টিনটিন বাবু সেখানে বেড়াতে গিয়ে খুবই খুশি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো আপু। পাহাড়ের ফটোগ্রাফি এবং অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।

সিকিম যে খুব সুন্দর জায়গা এটা আমার এক বন্ধু কাছ থেকে শুনেছি। তবে এবার আপনার মাধ্যমে সেই অপরুপ সৌন্দর্যের স্থানটি আপনার চমৎকার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম বৌদি।আসলে এটা ঠিক, এত সুন্দর একটি জায়গা এত অল্প সময়ে ঘুরে দেখা সম্ভব নয়।তারপরও সময়ের স্বল্পতা বলে কথা।আর বৌদি ১৫০০০ ফুট উপরে উঠেছেন।চিন্তা করলেই যেন মাথা ঘুরে আসে।যাইহোক,ঘুরার ফাকে আমাদের মাঝে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি, সিকিমের পাহাড় দেখার অনুভূতি পাশাপাশি অপরুপ সৌন্দর্যের পাহাড়ের কিছু ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

অবশেষে দিদিভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ হলো। এই জায়গা গুলো দেখার অনুভূতি বলে বোঝানো হয়তো সম্ভব নয়। দুচোখ ভরে শুধু দেখতেই ইচ্ছে করে। আর মেঘ এমন চোখের সামনে ভাসতে থাকলে মন চাইবে যেন হাত দিয়ে ধরে ঘরে এনে রাখি 😊। বলেছিলাম না দিদিভাই বেশি উচুঁতে গেলে অনেকেই একটু অসুস্থ হয়ে যায়! সাবধানে ঘোরাফেরা করবেন কেমন।

১৫০০০ ফুট এত উপরে উঠেছেন আপনারা, আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না। যদিও বলছেন সবাই আরো বেশি করে উঠেছে। আপনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণেই আর বেশি ওঠা হয়নি। দাদার মতো একজন মানুষ আপনার পাশে আছে বলে আপনি নিজের জীবনকে ধন্য মনে করছেন। এই কথাটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া এরকম পাহাড় গুলো টিভিতে দেখেছি। বাস্তবে দেখার এখনো সুযোগ হয়ে ওঠেনি। অবশ্যই দাদার পোষ্টের মাধ্যমে আরো সুন্দর কিছু দেখতে পারবো ‌‌।

জায়গা গুলো দেখেই তো চোখ জুড়িয়ে গেলো,তবে বাস্তবে দেখার মজা একটু বেশি দারুন।আর আপনি যেমন ভাগ্যবান দাদাও ঠিক আপনাকে পেয়ে ততটাই ভাগ্যবান।😍

জায়গাগুলো এতোটা সুন্দর,জাস্ট চোখ জুড়িয়ে যায় যেনো!আর বৌদি আপনাকেও বেশ সুন্দর লাগছে কিন্তু।এটা ঠিক,নিজের দেশেই অনেক জায়গা আছে দেখার মতো।

পাহাড়ের সৌন্দর্য সত্যিই দারুণ। যত দেখি তাও মন ভরে না। চোখ জুড়িয়ে গেলো দৃশ্যগুলো দেখে। আরো ছবির অপেক্ষায় রইলাম।আর আপনাকে দারুণ লাগছে বৌদি। পিংক টপটা খুব সুন্দর। ☺

দিদি আপনাদের সিকিমের পাহাড় দেখার অনুভূতি ও কিছু পাহাড়ের ফটোগ্রাফী" সিকিমের পাহাড় দেখার আগ্রহটা আরো অনেক বেশি তীব্রতর হলো। মনে হলো আমিও গিয়ে সেখান থেকে ঘুরে আসি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। আপনি ঠকই বলেছেন দিদি নাথুলা পাহাড়ের কাছে না গেলে বোঝাই যাবে না কত টা উচুঁ পাহাড়। আপনারা ১৫০০০ ফুট ওপরে উঠেছিলেন।এবং আপনি অসুস্থ হওয়ার কারণে নিচে নেমে গিয়েছেন জেনে একটু খারাপ লাগলো যাইহোক বৌদি সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে। এবং আপনাদের জার্নিটা অনেক মধুময় হোক এটাই প্রত্যাশা।♥♥

দিদি সিকিমের পাহাড় হয়তো সরাসরি কখনো দেখতে পারবো না। আপনার মাধ্যমে দেখতে পারতেছি। পাড়াড় গুলো যে অনেক উচুঁ সেটা আমরা এমনিতেই বুঝেতে পারতেছি। যেখানেই ঘুরতে যাওয়া হয় কিছু সময় নিয়ে গেলে তখন ভাল ভাবে দেখা যায়। তারপরও আপনারা ভালই আনন্দ করছেন। ধন্যবাদ দিদি।

পৃথিবীযে কত সুন্দর এবং পৃথিবীর কত জিনিসই এখনও দেখা বাকি আপনার এই ছবিগুলো দেখে তাই মনে হচ্ছে। অনেক চমৎকার হবে সিকিমের বিষয়গুলো সিকিমের দৃশ্যগুলো আপনি উপস্থাপন করেছেন। তবে দিদি আমারও ইচ্ছা রয়েছে একদিন অবশ্যই এই জায়গা গুলোতে ঘুরতে যাবো।

সত্যিই তাই ,বৌদি বিদেশের থেকে আমাদের দেশের জায়গাগুলো কোনো অংশে কম নয়।পাহাড় অনেকের কাছেই প্রিয়।দাদার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে পেরেছি।খুবই ঠান্ডা এইসব জায়গা।পাহাড় ও তিস্তা নদীটি খুবই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ বৌদি।