বন্ধুরা,
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আপনারা অনেকেই জানেন ১৮ তারিখে আমার দেবরের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী ছিলো। এই দিনে ওরা দুজনে এক সাথে পথ চলা শুরু করেছিলো। আসলে ঐ দিনটি পর প্রতিটা মেয়ের কাছে মূলবান। এই দিনে জীবনের নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়। সুখে দুঃখে সারাজীবনের জন্য একজনকে পাশে পাওয়া। যে সে সারাজীবনের সাথী হবে। তাই ওদের বিবাহ বার্ষিকী নিয়ে কিছু করার ইচ্ছা ছিলো।কিন্তু কিছুদিন হলো একটু সুস্থ হয়েছি। এখনো সেভাবে কিছুই করতে পারিনা। তারপর আবার টুনকু বাবু সবে এক মাস পূর্ণ করেছে।তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও পারিনি। তবে শুধু ভেবেছিলাম ওদের দুজনকে একটু সারপ্রাইজ দিবো। আপনারা অনেকেই জানেন ওরা দুজনে মা কে ডাক্তার দেখানোর জন্য দিল্লী গিয়েছিলো।তাই সারপ্রাইজ দিতে অনেকটা সুবিধা হয়েছিল। আমি আগে থেকে সবকিছু মনে মনে প্ল্যান করে রেখেছিলাম। কিন্তু সেটা আমি কাউকে জানতে দেইনি। এমনকি আপনাদের দাদাকে ও না।
ওদের বিবাহ বার্ষিকীর তিন দিন আগে দিল্লী থেকে ফিরেছিল। ওরা ফিরলে আমি মজা করে বলছি সামনে তো তোমাদের এক সঙ্গে পথ চলার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। তো তোমরা কি প্ল্যান করেছো। আমাকে ওরা বললো তুমি যদি পালন করো তাহলে হবে। তা না হলে আমরা কিছুই করবো না। আমি এমন অভিনয় করেছি যে ওরা বুঝতেই কিছুই পারেনি। আসলে বিয়ের পর থেকে আমি সব কিছুই নিজে উদ্যোগ নিয়ে সবাইকে নিয়ে করেছি। আর সেই উদ্যোগে সবারই সাপোর্ট পেয়েছি। তবে এবারের উদ্যোগে আমাকে নিলয় ও আমার এক ভাইপো ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছে। ওরা না থাকলে আমি হয়তো কিছুই করতে পারতাম না। একদিকে আমি সে ভাবে এখনো সুস্থ হয়ে উঠতে পারিনি।তারপর আবার টিনটিন বাবু ও টুনকু বাবু এখনো অনেক ছোট। দুজনকে সামলাতে গিয়ে আমি নিজে হিমসিম খেয়ে যাই।আমার সারাদিন কেটে যায় ওদের দুজনকে নিয়ে।
আপনাদের দাদাকে সবকিছু জানালাম। আমি জানি সে আমার কোন কাজে বাধা দেবে না। সংসারের একটা নিয়ম আছে একে অপরকে সবকিছু বলা। সংসারটা হলো দুজনের। যাইহোক আমি আমাদের ভাইপো ও
নিলয় কে সবকিছু বললাম। ওরা আমাকে আশ্বাস দিয়ে বলে।আপনার কিছুই চিন্তা করতে হবে না। আমরা সবকিছু করবো। আপনি শুধু ফোনে ফোনে সবকিছু বলে দেবেন।
প্রথম প্ল্যান করলাম ওদের দুজনকে আগের দিন রাত ১২ টার পর সারপ্রাইজ দিবো। ওদের দুজনের জন্য ফুল আর বেলুন দিয়ে ঘর সাজাবো। আর ওরা যখন ঘরে ঢুকবে তখন ওদের কে গোলাপ দিয়ে বরণ করা হবে আর ফুলের পাপড়ির উপর দিয়ে হেঁটে যাবে। সেই জন্য ওরা আমাকে অনেক গোলাপ ফুল, গাঁদা ফুল, ও ছোট ছোট ক্যান্ডেল এনে দিলো। আর আমি আগ থেকে বিভিন্ন রকমের বেলুন অর্ডার করেছিলাম।
আগের দিন রাতের জন্য একটা অর্ডার করেছিলাম। এ সবই ওদেরকে লুকিয়ে প্ল্যান করেছিলাম। ওরা দুজনে শুধু জানে আমরা ঐ দিন একটু খাওয়া দাওয়া হবে আর কেক কাটা হবে। সেই জন্য শুনি ওরা নাকি একটা ছোট কেক এনেছে রাতে কাটার জন্য। এটা শুনে আমার খুবই হাসি পাচ্ছিলো। ওরা যে কি করে ভাবলো আমি থাকতে ওদের দুজনের বিবাহ বার্ষিকী পালন করা হবে না? যাইহোক আমি দাঁড়িয়ে থেকে শুধু বলে দিলাম আর নিলয় ও সেই ভাইপো ঘর সাজাতে লাগলো। কারণ আমার নিচে বসতে কষ্ট হয় আসলে এখনো তো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। তাই আমি চেয়ারে বসে বসে বেলুন ফুলিয়ে দিচ্ছিলাম।
আমরা ঘর সাজিয়ে ওদের দুজনকে ডেকে নিলাম। সেই সাথে আপনাদের দাদাকে। ওরা দুজন ঘরের দরজা খুলে তো অবাক। ওদের দুজনকে হেঁটে যেতে বললাম আর আমরা ফুলের পাপড়ি ছিটাতে লাগলাম।আমার বাবু তো কেক কাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বাচ্চা তো কেক কাটতে খুবই পছন্দ করে। আর আমাদের। বাড়ীতে তো প্রায়ই কেক কাটা হয়ে থাকে। যে কোন উপলক্ষ্যে কেক কাটার আয়োজন করা হয়। তাই দ্রুত কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। ওদের দেখে তো মনে হয়েছিলো দুজন খুবই খুশি হয়েছে। অসুস্থ থাকায় এর থেকে বেশি কিছু করতে পারেনি। তবে এর থেকে বড় করে বিবাহ বার্ষিকী পালন করার ইচ্ছা ছিলো। যাই হোক এটা তো হলো রাতের জন্য। এরপর আছে পরের দিনের জন্য সারপ্রাইজ।
আমাদের জন্যও এটা বেশ আনন্দের ছিলো বৌদি, আমরা ছোট দাদার বিয়ে দেখেছি, আনন্দ করেছি এবং তার ভালোবাসার এক বছর পূর্ণতার আয়োজনও দেখতে পেলাম। বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়েছেন, সারপ্রাইজটা মনে হচ্ছে দারুণ ছিলো। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহুর্তের অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ ছোট দাদার বিবাহ বার্ষিকীতে খুব সুন্দর একটি সময় কাটালেন। দিদি আপনাদের বন্ধন গুলো দেখলে খুবই ভালো লাগে। আপনারা দুই বোন মিলে বেশ সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন পরিবারের সবার সাথে। যখন আপনাদের পোষ্ট দেখি আপনাদের এত সুন্দর ভালোবাসার মুহূর্ত গুলো দেখি তখন বেশ মুগ্ধ করে আমাকে। সবাই মিলে বিবাহ বার্ষিকীর খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করলেন। যেটা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদেরকে শেয়ার করলেন। শুভকামনা সব সময় সবার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবাই মিলে দারুন আয়োজন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো বৌদি। বিবাহ বার্ষিকী মানেই অন্য রকমের অনুভূতি। ছোট দাদা এবং বৌদিকে বিবাহ বার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি বড় দিদির মতো কী সুন্দর করে সবটা করেছেন৷ অনেক ভালো লাগা পেলাম। আর সমস্ত সাজানোর মধ্যে ওদের প্রতি আপনার সংসারের প্রতি আপনার যত্ন, মায়া মমতার ছোঁয়া পেলাম। অনেক অনেক খুশিতে ভরে থাকুন আপনারা সবাই এই কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট দাদা এবং দিদির এক বছর পূর্ণ হল বিবাহের ।দিদি আপনি দারুণ সারপ্রাইজ দিয়েছেন যেটা দেখে মুগ্ধ হলাম। আসলে এরকম সারপ্রাইজ পাওয়াটা অন্য এক ভালো লাগা কাজ করে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছেন। মনে হচ্ছে নতুন বিবাহের আয়োজন ভালো লাগলো। দিদি আপনার সুস্থতা কামনা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট দাদা এবং স্বাগতা বৌদির প্রথম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে চমৎকার আয়োজন করেছেন বৌদি। আপনি থাকতে এমন বিশেষ দিন উপলক্ষে কোনো আয়োজন করা হবে না, সেটা তো হতেই পারে না। বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit