বাঙালি রেসিপি " কাকড়া ভুনা"

in hive-129948 •  3 years ago 

Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কাকড়া ভুনা। এটি খুবই সুস্বাদু ও মজাদার একটি খাবার। কাকড়া একটি খুবই জনপ্রিয় খাবার। এটি কম বেশি প্রায় সকলে পছন্দ করে। আজ আমি কাকড়া ভাতের ভিতর দিয়ে রান্না করবো।আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

IMG_20210925_134234.jpg
উপকরণঃ
১. কাকড়া - ১ কিলো
২. সরিষার তেল - ১ কাপ
৩. লবণ - ১ চামচ
৪. হলুদ - ১ চামচ
৫. জিরার গুঁড়া - ২ চামচ
৬. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ১ চামচ
৭. কাচা মরিচ চিরা - ৪ টি
৮. গরম মসলা - ১ চামচ
৯. একটা স্টিলের কৌটা
IMG_20210925_075904.jpg
কাকড়া

IMG_20210922_200303.jpg
স্টিলের কৌটা

IMG_20210713_111020.jpg
লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া, গরম মসলা ও কাচা মরিচ, সরিষার তেল।
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে কাকড়া কেটে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে।

IMG_20210922_195212.jpg
২. এবার একটা স্টিলের কৌটার ভিতর কেটে রাখা কাকড়া দিয়ে একে একে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া ও গরম মশলা দিয়ে ভালো মেখে নিতে হবে। কাকড়ার গায়ে সব মসলা ভালো করে মেখে গেলে ১ কাপ সরিষার তেল দিতে হবে।ও সামান্য জল দিয়ে আবারও ভালো করে মেখে নিতে হবে।

IMG_20210922_201043.jpg

IMG_20210922_200238.jpg
৩. এবার এই কৌটাকে ভাত উত্রায় গেলে ভাতের ভিতর বসিয়ে দিতে হবে।

IMG_20210922_203934.jpg

IMG_20210922_203737.jpg
আপনারা ভাতের ভিতর না বসিয়ে দিয়ে কড়াই তে জল দিয়ে তার উপর বসিয়ে দিতে পারেন। এতে ও হবে।
৪. এবার ভাত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ভাত হয়ে গেলে কাকড়ার কৌটা নামিয়ে নিয়ে কৌটার মুক খুলে একটা চামচ দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।

IMG_20210925_134126.jpg
৫. দেখবেন কাকড়ার ভুনা তৈরি হয়ে গেছে। এবার
লবণ টেস্ট করতে হবে। কাকড়ার ভুনা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

IMG_20210925_134237.jpg
তৈরি হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু কাকড়ার ভুনা। এটি গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

চট্টগ্রামে গিয়ে একবার সামুদ্রিক কাঁকড়া ভাজা খেয়ে ছিলাম। সুন্দর বানিয়েছেন বৌদি কাঁকড়া ভুনা। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।

ধন্যবাদ আপু।

আমি কোনোদিনো কাকড়া খাইনি। বলতে গেলে এক প্রকার ভয় লাগে খুব।
তবে আপনার রেসিপি গুলো দেখলেই লোভ লাগে। খেতে ইচ্ছে করে।
খুব ভালো রাঁধেন আপনি বৌদি।

ধন্যবাদ আপু।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমার সবচেয়ে প্রিয় রেসিপি কাঁকড়ার রেসিপি। কাঁকড়া গুলি তে ঘি হয়েছে খুব। ঘি আলা কাঁকড়া। দারুন ভাবে ভুনা রেসিপিটি বানিয়েছেন। খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো দেখেই বুঝতে পারলাম। অনেক স্বাদের রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ বৌদি।

আমাদের বাড়ির সবাই খুব পছন্দ করে। ঠিক বলেছেন খুব স্বাদের হয়ে ছিল।

আমি জানি কাকড়া পুষ্টিকর একটি খাদ্য। তার সাথে আপনার সুন্দরতম উপস্থাপনায় মনে হচ্ছে এবারে কাঁকড়া রেসিপি টা তৈরি করে ফেলি।

উপস্থাপনার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ছিল

ধন্যবাদ ভাইয়া।

খুব সুন্দর হয়েছে বৌদি।দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।কাঁকড়া আমার খুব খুব প্রিয়।কাঁকড়ার রেসিপি দারুণ স্বাদের হয়।ধন্যবাদ বৌদি।

আমার ও খুব পছন্দের।

কাঁকড়া ভুনা না কখনো খায় নাই কিন্তু কাঁকড়া দেখছি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটি সম্পন্ন করেছেন। আমি অত্যন্ত সুন্দরভাবে পরিবেশন করেছেন আমাদের মাঝে দেখার মত ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমি কখনো কাঁকড়া খাইনি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ হচ্ছে অনেক ইচ্ছা আছে কিছুদিন পর যখন কক্সবাজার ঘুরতে যাব তখন কাঁকড়া খাব।

একবার খেয়ে দেখুন খুবই টেস্টি। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে।

Looks delicious have a nice meal 😄

বাহ! বেশ বড় সাইজের কাকড়া দেখছি এগুলো, আমি শুনেছি বড় সাইজের গুলো খেতে নাকি একদম চিংড়ি মাছের মতো লাগে এবং তার থেকে অনেক বেশী স্বাদের হয়। যদিও এখনো খাওয়ার সুযোগ হয় নাই। তবে আমাদের দেশের কিছু কিছু অঞ্চলের রেষ্টুরেন্টগুলোতে এখন কাকড়া রান্না পাওয়া যায়। আপনার রান্নাটি দেখে স্বাদ নেয়ার লোভ হচ্ছে। ধন্যবাদ

ভাবী কে বলুন একবার রান্না করতে। আপনারা কি কাকড়া খান ?

না, আমাদের এখানে সবাই খায় না বৌদি, তবে আমার খাওয়ার শখ আছে। আপনার ভাবী তো রান্নাঘর ছেড়ে পালাবে কাকড়া দেখলে, হি হি হি হি

বৌদি আপনার প্রতিটি রেসিপি অসাধারণ। আমি এখন পর্যন্ত কোনদিন কাঁকড়া খাইনি। তবে আপনার এই রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খাবারের রঙ দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

ধন্যবাদ আপু।

কাঁকড়া ভুনা রেসিপিটা যদিও কখনো খাওয়া হয়নি, তবে আপনার রেসিপি ছবিগুলো দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দরভাবে রেসিপির বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

বৌদি খুব সুন্দর একটি রেসিপি দিয়েছেন।কাকড়া আমার খুব পছন্দের একটি খাবার ।তবে আমি গ্রামে গেলে চুলার ভিতর কাকড়া পুরে তার পর খাই খুব ভালো লাগে আমার কাছে ।

কাকড়া খাইনি।
তবে আপনার রেসিপি খুব সন্দুর হয়েছে।

খুব ভালো কাঁকড়া, রেসিপিটি এর জন্য খুব ভাল শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

আমার কাকড়া অনেক ভালো লাগে, অনেকটা চিংড়ি মাছের মতো লাগে, আমি কক্সাবাজার থেকে খাইছি,কুয়াকাটা সমুদ্র থেকেও খাইছি অনেক সুন্দর লাগছে আমার কাছে।

ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ❤️❤️💖💖💖