বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি আগেই বলেছি এবার দুর্গা পূজার সময় প্রচুর ঘুরেছি। এবং ছোট বড় অনেক ঠাকুর দেখেছি। পূজার আগে আমাকে একদিন বলে বনগাঁয় অনেক সুন্দর পূজো হয়। যাবে ঠাকুর দেখতে। সত্যি বলতে আমি ঠাকুর দেখতে খুবই ভালো লাগে।আমি তো শুনে এককথায় রাজি হয়ে গেলাম। আর এ দিকে টিনটিন বাবুর ম্যাডামের বাড়ি ঐখানে। তাই বাবুর ম্যাডাম কে মেসেজ করলাম যে আমরা আসছি সপ্তমীতে তোমাদের ওখানে। ম্যাডাম শুনে তখনই বলে
আমি আপনাদের জন্য অপেক্ষা করে থাকবো।যথারীতি সপ্তমীতে আমরা সকাল সকাল রওয়ানা দিয়েছিলাম।প্রায় ৩ ঘণ্টা পর আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম। এরপর বাবুর ম্যাডামের সাথে দেখা করে ওর মাধ্যমে আমরা অনেকগুলো ঠাকুর দেখি। একটা দুঃখের বিষয় ভালো ঠাকুর দেখতে যখনই ফটোগ্রাফি করতে যাই। ঠিক তখনই আর ফোনে ছবি তোলা যাচ্ছিলো না। পুরোপুরি আমার ফোন হ্যাং হয়ে গিয়েছিলো। ফোনে কোন কাজ করতে পারছিলাম না। তার আগে বাবু আমার ফোন ছুড়ে মারছিলো।হয়তো বা এই কারণে ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
পরে আপনাদের দাদা বললো ম্যাডামের ফোন দিয়ে ছবি করো। পরে ওর কাছ থেকে। নিয়ে নিও। ম্যাডাম ও বললো আমার ফোন আছে এটা দিয়ে করো। তাই সেদিন কিছু প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি ম্যাডামের ফোন দিয়ে করা হয়। আজ সেই গুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।
এই প্যান্ডেল টি তৈরি করেছে অভিযান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকে। অনেকটা কেদারনাথ মন্দিরের মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এবং মায়ের মূর্তি ও দেখার মতো ছিলো। প্যান্ডেলটি সামনে থেকে যতটা না সুন্দর দেখাচ্ছিলো ভেতরে ঢুকে দেখি চোখ জুড়ানো সাজসজ্জা। যা দেখে সত্যি আমি চোখ ফেরাতে পারছিলাম না।
এটা প্যারিসের অপেরা হাউজ তৈরি করা হয়েছে। আমি তো ভাবতে পারিনি প্যারিসে না গিয়ে কলকাতায় থেকে নামকরা অপেরা হাউজ দেখতে পারবো। দেখেই মনে হচ্ছে না এটা বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছে।
আরো অনেক গুলো ঠাকুর দেখে ছিলাম। এর আগে আপনাদের দাদা কিছু ছবি শেয়ার করেছে। তাই আমি
দ্বিতীয় বার সেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলাম না।তাইআজ এই পর্যন্তই। কাল আবার নতুন একটি বিষয় নিয়ে আবার আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
প্রথমবার বনগাঁয় দুর্গাপূজায় ঠাকুর দেখার মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দরভাবে সাজানো এই মণ্ডপগুলো। সত্যি লাইটিং গুলোর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৌদি দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম,
তবে আমার সব থেকে বেশি রাতের লাইটিং ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগে।
প্যারিসের অপেরা হাউজ এটা দেখে আমি অবাক, এতো সুন্দর তার মধ্যে কিনা বাশের তৈরি, এতো দক্ষতার সঙ্গে তৈরি করেছে দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না। অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এ হে এটা কেমন হলো। তবে যে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন সেগুলোও বেশ দারুণ ছিল। তবে টিনটিন এর জন্য আরও কিছু ফটোগ্রাফি মিস করে গেলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টিনটিন বাবু দেখছি কারো মোবাইল ফোন ছাড়ছেনা। আমার মেয়েটাও একই রকম ফোন পেলেই ছুড়ে মারে। তবে প্যারিসে না গিয়েও প্যারিসের অপেরা হাউজ সত্যি অবাক হলাম। আমার কাছে তো অসাধারণ লাগলো। তাছাড়া প্রত্যেকটা ডেকোরেশন এমনকি লাইটিং অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার মাধ্যমে সত্যি অসাধারণ পুজোর মন্ডপ দেখার সুযোগ হলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ,বনগাঁ ও তো অনেক সুন্দর প্যান্ডেল করেছে।টিনটিন বাবুর কি ফোন জিনিসটা পছন্দ নয়।আসলেই ছবি তোলার সময় ফোন হ্যাং হয়ে গেলে খুবই মুশকিলে পড়তে হয়।তবু ও টিনটিন বাবুর ম্যাডামের ফোন দিয়ে দারুণ ছবি তুলেছেন বৌদি।ভালো লাগলো দেখে, ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit