বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। এই বছরে প্রথম বই মেলায় ঘুরতে গিয়ে আবার নতুন নতুন বই সংগ্রহ করেছি সেগুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আপনারা জানেন আমি মেলায় যেতে খুব পছন্দ করি। মেলার কথা শুনলে আমার যেতে না পারলে ভালো লাগে না। সেটা যেকোন মেলা হতে পারে। পৌষ মাসে আমাদের এখানে প্রচুর মেলা হয়। দেশের বাইরে থাকার কারণে সেসব মেলায় যেতে পারিনি। তাই ফিরে যখন শুনেছি আমাদের এখানে বইমেলা হচ্ছে।ঠিক তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাবার জন্য।আর এই প্রথমবার বারাসাতে বইমেলা হচ্ছে। আর আপনারা জানেন আমার প্রিয় মানুষটি কেমন বই পাগল। ও বই পড়তে খুবই পছন্দ করে। ও বই মেলা থেকে প্রচুর বই কিনবে।আবার মাঝে মধ্যে গাড়ি নিয়ে চলে যায় কলকাতা কলেজ স্ট্রিট বই কিনতে। যদিও এখন আর সেভাবে বই পড়ার সময় পায় না।তারপরও রাতে কাজ শেষ করে একটু হলে ও বই পড়ে ঘুমায়। বই কিনতে ও পড়তে আমার ও ভালো লাগে কিন্তু ওর মতো এত না। ঠিক তেমনই হয়েছে আমাদের টিনটিন বাবু। তার কয়েকমাস পর পর নতুন বই কিনতে হবে। তখন নতুন বই কিনে না দিলে আর বই পড়বে না। তাহলে বুঝতে পারছেন আমার বাড়ীতে বই ছাড়া কিছু নেই হা হা হা। আমার দিন কাটে সবার বই গুছাতে গুছাতে। মাঝে মাঝে রেগে গিয়ে বলি এত বই পড়ার সময় পাও না তো কেনার কি দরকার আছে।
আমাকে বলে "বই মানুষের পরম বন্ধু " এখন সময় না পেলে ও ভবিষ্যতে বই পড়বো।
গতকাল সন্ধ্যায় আমরা বই মেলায় ঘুরতে যাই।তবে আগে থেকে সেরকম যাওয়ার কোন প্ল্যান ছিলো না। কাল ভাবলাম একটু ঘুরে আসি কোথাও থেকে। কিন্তু কাছাকাছি কোথায় যাবো বুঝতে পারছিলাম না।আবার তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে হবে। টিনটিন বাবুর পড়া আসে আবার এদিকে আমার দেবরকে রেখে গিয়েছি। গাড়িতে উঠে বলছে বারাসাতে বইমেলা হচ্ছে চলো একবার গিয়ে ঘুরে আসি। আমি বললাম তুমি বই মেলায় গেলে তো বই কিনবে কিন্তু খুব একটা টাকা নেই কাছে। আমাকে বলে চলো অসুবিধা হবে না। ভিতরে ঢুকে দেখি সেরকম বেশি লোকজন নেই। আসলে বইমেলায় খুব একটা লোক আছে না। তবে কয়েকজন মধ্য বয়সী লোক আর বই প্রেমী ছাড়া কোন লোক থাকে না। তাই একটু ফাঁকা ফাঁকা বইয়ের দোকান গুলো। তবে হ্যা তিনটি খাবারের দোকান আসছে সেখানে প্রায় সব লোক। যাই হোক আমাদের কাজ হলো বইয়ের দোকান ঘুরা আর নতুন নতুন বই কেনা। তাই আমরা বই দেখা করেছি।
তবে আমরা খুব বেশি বই কিনলাম না। সব মিলিয়ে ১৫ -১৬ টি বই কিনেছি। আসলে আর কয়েকদিন পরই কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা তাই ইচ্ছা করেই আর বই কিনলাম না। তাই যে গুলো না কিনলে নয় তাই কিনেছি।আর টিনটিন বাবুর জন্য কয়েকটি বাংলা শেখার জন্য বই কিনেছি। আসলে বাবু বাংলা পড়তে পারে না আর পড়তে ও চায় না। তার ম্যাডাম বাংলা পড়াতে চাইলে ইংরেজি বই নিয়ে বসে। বাংলা পড়তে গেলেই রেগে যায়। বাংলার স্বরবর্ণ একটাও চেনে না। বলতে ও পরে না। আর ইংরেজী বইয়ের প্রতিটা শব্দ চেনে বলতে পারে লিখতে ও পারে। এই সমস্যাটা ওর দিদির ও আছে। ওর দিদি ও বাংলা পড়তে গেলে কান্না করে। আর বলবে এই বই টা না থাকলে ভালো হতো। এটাকে বাদ দিয়ে দেও। আর ইংরেজিতে একটানা কথা বলে যাচ্ছে বয়স মাত্র ৯ বছর। ইংরেজিতে না বললে কোন কথা বুঝতে পারে না। তার বন্ধু বান্ধবরা ও বাংলা ছেড়ে দিয়ে ইংরেজিতে কথা বলে যায়। গল্প করার সময় ও ইংরেজিতে বলছে। আমার বাবুর ভিতর ও সেই লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি। এমনকি কাল মেলাতে গিয়ে ও নিজে নিজে পছন্দ করে ইংরেজি গুলো কিনেছে। একটাও বাংলা বই নিতে চাইলো।
নিচের বই গুলো মেলা থেকে কিনেছি। এবার খুব কম বই কিনেছি। আসলে হাতে সময় ছিলো না। তাই সব কয়েকটি বইয়ের দোকান ঘুরতে পারিনি। বাবুকে ৭.০০ টায় পড়াতে আসে তার আগে ফিরতে ফিরতে হবে। তাই ফিরে এলাম বাড়ীতে।
এই গুলো টিনটিন বাবুর নিজে পছন্দ করে কিনেছে। মেলা থেকে ফিরে শুধু এই বই গুলো পড়ছে। এমনকি তার কাকাকে ও এই বই গুলো দেখিয়েছে।
এগুলো তার বাবা কিনেছে। কিন্তু এগুলো এখনো মেলে দেখিনি। এই বই গুলো আলাদা করে রেখেছে। আর বলছে এই বই পঁচা।
আজ এই পর্যন্ত। কাল আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
নতুন বছরের প্রথম বইমেলা সুন্দর কিছু দৃশ্য ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। এখানে অসংখ্য বইয়ের পাশাপাশি ছোট্ট বাচ্চাদের খেলনার সামগ্রী তুলে ধরেছেন বর্ণনা সহকারে। আশা করি যখন বইমেলায় উপস্থিত ছিলেন খুবই সুন্দর একটি আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত হয়েছে আপনজনদের সাথে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
১৫-১৬ টা বই কিনেছেন বৌদি তাও বলছেন বেশি কিনেন নি।তাহলে আন্তর্জাতিক মেলায় কতগুলো কিনবেন সেটাই ভাববার বিষয়।আর দাদা যে বই প্রিয় মানুষ, সেটা তো আমরা জানি।টিনটিন বাবুও দিদির গুণ পেয়ে যাচ্ছে দেখছি ইংরেজির উপর বেশি নজর।এজন্য মেলায় গিয়ে ইংরেজি বই দেখছিল।গতকাল সন্ধ্যায় মেলায় গিয়ে বেশ ভালো একটি সময় পার করেছেন বৌদি।ধন্যবাদ সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বাংলা তুলনায় ইংলিশ সহজ সব বাচ্চাদের জন্য ,আমার ছেলেও বাংলা বর্ণমালা গুলো লিখতে চাই না ,ইংরেজি লেটার গুলো নিজে নিজে লিখে। কি একটা মুশকিল বৌদি এদের নিয়ে ,যখন পড়বে তখনই কোন ভাবেই পড়ানো যাই না। যাই হোক টিনটিন বাবু অনেক বই কিনেছে মেলা থেকে। ভালো লাগলো। টিনটিন বাবুর জন্য শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এ বছরে বইমেলাতে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সত্যি বইমেলা থেকে অনেক বই কিনেছেন। টিনটিন বাবুো বই কিনেছে। বাড়িতে এসে সেই বই পড়ছে ও তার কাকাকে বই গুল দেখিয়েছে। সত্যি অসাধারণ মূহুর্তের ফটোগ্রাফি দেখে খুবি ভালো লেগেছে আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বইমেলায় ঘুরে ১৫ থেকে ১৬ টা বই কিনেছেন তাও কম কিসের বৌদি। আর এটা শুনে বেশ হাসি পাচ্ছে টিনটিন বাংলা পড়তে চায় না। সে একজন বাঙালি হয়ে যদি বাংলা না পরে তাহলে কিভাবে হবে😪
বাংলা বই দেখে পাশে রেখে দিচ্ছে কিন্তু আমার তো ইচ্ছে করছে বইগুলো খুলে দেখতে। তবে সব কিছুর পাশাপাশি বাংলা জানাটাও হয়তোবা তার জন্য অনেক বেশি ভালো হবে। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো বৌদি আপনার আজকের ব্লগটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাহাহা,বাচ্চাদের সমস্যা হয় ইংরেজি পড়তে চায়না তাই।এখন দেখছি আমাদের টিনটিন বাবু একেবারেই তার উলটো।অনেক বই কেনা হলো তাও বৌদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে যারা বই পাগল তাদের কাছে ১৫-১৬ বই তো দূরে থাক সমস্ত দোকানের বই কিনে নিলেও যেন মনে হয় কোন বই কিনা হয়নি। টিনটিন বাবু তো দেখছি দাদার মতই হচেছ। বাপরে বাপ তাও আাবার ইংরেজী বইয়ের দিকে বেশী ঝোক! মনে হচ্ছে বই মেলায় ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছেন বৌদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit