শারদীয়ার কনটেস্ট ১৪২৮ সপ্তমী পূজার ফটোগ্রাফী ১২ ই অক্টোবর

in hive-129948 •  3 years ago 

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শারদীয়া দূর্গা পূজার সপ্তমী পূজার ফটোগ্রাফী শেয়ার করবো।"আমার বাংলা ব্লগে শারদীয়া দুর্গোৎসব কনটেস্ট দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। প্রতিবছর একই সময়ে ঠিক একরকম ভাবে মা আমাদের মাঝে আছেন। কিন্তু মানুষের জীবন বিভিন্ন পরিক্রমায় চলতে থাকে। এই দুটো বছর করোনা মহামারীর কারণে সেই আগের মতো ঠাকুর দেখা প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঘুরে বেড়ানো, পূজার মেলায় যাওয়া মনের ভিতরে একটা পুজোর আনন্দ কিছুই নেই। এখন মনে শুধু একটাই ভয় কাজ করে। আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি কিভাবে মানুষের জীবন পরিবর্তন হয়ে যায়। আগে পুজোর ৫ টি দিন সকাল থেকে শুরু হতো পূজা দেখা।অঞ্জলী দেওয়া থেকে শুরু সারাদিন বাইরে বাইরে বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গে করে পুজো দেখা। আমি এবার পূজায় তেমন কোথাও যায়নি। ২০২০ সালে বাড়ী থেকে বের হয়নি। আমাদের ফ্ল্যাটের কাছে। ২ টি পূজা হয়েছিল। তার ভিতর মাঠের কাছে পূজায় গিয়েছিলাম। আর তার পাশে একটা প্যান্ডেলে গিয়েছিলাম। দক্ষিণ 24 পরগনা কৈলাস নগর মৈত্রী সংঘ খেলার মাঠ। প্রথম ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম।

IMG_20211012_192000.jpg
ঠাকুর মশায় সপ্তমী পূজার সামগ্রী গুছিয়ে রাখছেন।

IMG_20211012_191838.jpg
পূজার মন্ডপে ঢুকার গেট।

IMG_20211012_203810.jpg
ঠাকুর মশায় সন্ধ্যায় আরতি করছে।

IMG_20211012_200653.jpg
পূজার মন্ডপ এর ভিতরে কারুকার্য।
IMG_20211012_200649.jpg

IMG_20211012_200532.jpg

IMG_20211012_200507.jpg
মন্ধিরে প্রবেশের পথ।প্রচুর লোকের সমাগম।
আমার দ্বিতীয় প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার কিছু মুহূর্ত:

IMG_20211012_190855.jpg
দক্ষিণ 24 পরগনা বারাসাত মধ্যমগ্রাম স্পোর্টিং ক্লাব। মধ্যমগ্রামে বেশ কয়েকটি প্যান্ডেল তৈরি করেছিল। প্রায় প্রত্যেকটিতে প্রচুর মানুষের সমাগম তাই আমরা সিকিউরিটির কারণে মাত্র একটি পূজার প্যান্ডেলের ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। পূজার মণ্ডপে ঢোকার প্রথম গেট। এই গেটের দুপাশে 2 টি সুন্দর হাতি তৈরি করেছে। হাতি দেখে টিনটিন বাবু এখানে যেতে চাইলো। ভেবেছিল হাতির কাছে দাঁড়িয়ে টিনটিন বাবুর কয়েকটি ফটোগ্রাফী করবো। কিন্তু সে ছবি তুলতে চাইলো না। তাই আমি ছবি তুলে ভিতরে গেলাম।

IMG_20211012_191814.jpg

IMG_20211012_191420.jpg

IMG_20211012_191410.jpg

IMG_20211012_191331.jpg

IMG_20211012_191155.jpg

IMG_20211012_191154.jpg

IMG_20211012_191138.jpg
মন্দিরের ভিতরে নিজের নিরাপত্তা বজায় রেখে মায়ের সঙ্গে সেলপি তুলেছি।

IMG_20211012_191012.jpg
মন্দিরের ভেতরে যাওয়ার পথের পাশে কলসি কাঁখে বধূর মূর্তি বানানো।

IMG_20211012_185517.jpg
বাড়ি ফেরার শেষ মুহূর্তে মা ও টিনটিন বাবুর সাথে সেলফি।

IMG_20211012_185454.jpg
প্রতিটি ছবি আমার এন্ড্রয়েড ফোন- redmi note & Pro
থেকে সব কয়েকটি ছবি তুলেছি। আশা করি, আপনাদের আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।এই ছিল আমার একদিনের পূজা দেখতে যাওয়া।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বৌদির ফটোগ্রাফি গুলি খুব সুন্দর হয়েছে। করোনা বিধি মেনে বাড়ির কাছেই পূজা দেখেছেন পরিবার নিয়ে এই করোনা কালীন সময়ে খুব ভালো কাজ করেছেন। আগে নিজেদের জীবন তারপর পূজা। অনেক ভালো লাগলো চমৎকার মুহূর্ত গুলি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য বৌদি

আপু অনেক সুন্দর ভাবে পূজা উদযাপন করেছেন। প্রতিবছরের পূজা এইভাবে কাটুক এই কামনাই করি। অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে ধৈর্য্য সহকারে পোস্ট তৈরী করেছেন। আপু আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল অবিরাম।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

বৌদি আপনার প্রতি টা ছবি এক কথায় অসাধারণ। আমাদের টিনটিন বাবাই কে অসাধারণ লাগছে কিন্তু 👌❣️❣️❣️❣️❣️

অনেক অনেক দোয়া রইল আপনাদের পরিবারের জন্য।

ধন্যবাদ

❤️❤️❤️🙏🙏🙏🙏

আপু আপনার পূজোর সকল ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। মন্দিরের ভেতরের যাওয়ার পাশের সবুজ পথের ফটোগ্রাফিটা খুবই সুন্দর হয়েছে। টিনটিন বাবুকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছি।

আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

নিজের নিরাপত্তা সুরক্ষিত রেখে ঘোরাফেরা করেছেন এটা খুবই ভালো ছিল । আর আপনার ফোন আমার ফোন সম্ভবত একই মডেলের। Redmi note 9 pro max. আপনার ফোনের ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে ১৬ নাম্বার ছবিটা । প্রতিটি ঘাস ,বোর্ডের ডিজাইন ,লাইট এবং সবকিছু ডিটেলস ভাবে ফুটে উঠেছে। কালার কম্বিনেশন টা সুন্দর ছিল।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

বৌদি আপনাকে এবং টিনটিন বাবুকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনি আপনার পরিবারের সকল সদস্যের সাথে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবগুলো আমাদের মধ্যে সবসময় আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করে তেমনি আপনি সপ্তমীতে আপনার পরিবার পরিজনদের সাথে অনেক আনন্দ করেছেন এবং পূজামণ্ডপে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনি খুব সুন্দর ভাবে মন্দিরের প্রতিটি দিক ফটোগ্রাফির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।আপনাকে আশীর্বাদ করি আপনি যেন সারা জীবন এভাবেই ছোট্ট টিনটিন সোনা ও আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সুখী জীবনযাপন করতে পারেন। অনেক অনেক ভালোবাসা নিবেন বৌদি।❤️❤️

দিদি, অনেক সুন্দর ভাবে পূজা উদযাপন করেছেন। প্রতিবছরের পূজা এইভাবে কাটুক এই কামনাই করি। আর টিনটিন বাবুকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

ভালো লাগার কিছু মহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, এই জন্য শুরুতেই আজ ধন্যবাদ দিলাম বৌদি।

সবগুলো দৃশ্যই বেশ সুন্দরভাবে ক্যাপচার করেছেন, তবে শুরুর দৃশ্যগুলো বেশী ভালো লেগেছে আমার কাছে। টিনটিনকে খুব কিউট লেগেছে। ধন্যবাদ

বৌদি, দারুন পোষ্ট সাজিয়েছেন।
দূর্গা প্রতিমার মুখ এতই অপূর্ব আর মিষ্টি লাগছে। খুব সুন্দর পোস্ট, এবারে আমি বেশি ঠাকুর দেখি নি।
আপনাদের সকলের পোস্ট দেখে কতগুলো ঠাকুর দেখা হয়ে গেল!!!☺️

বৌদি এবং আমাদের কলিজার টুকরা টিনটিন বাবুর পূজা উদযাপন অনেক সুন্দর ভাবে কেটেছে। আপনি ফটোগ্রাফিতে এত পারদর্শী সেটা আমার জানা ছিল না আপনার ফটোগ্রাফ গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি পারেন না এরকম কোন কাজ আছে কিনা আমার ভাবতেও খুব কষ্ট হচ্ছে। আপনার সকল রকম প্রতিভা আছে এবং কি সেগুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। আমি খুবই আনন্দিত আপনার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রহিল আপনার জন্য আপু।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

বৌদি আপনার ছবি তোলা কিন্তু খুব ভালো হয়, আর আমার কাছে মন্ডপের ভাস্কর্যগুলো খুব ভালো লেগেছে। ভাস্কর্য আমার সবসময় পছন্দের, তাই জন্য আমি যেখানে ভাস্কর্য দেখি সেই ছবিগুলো আমি একটু ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করি। কারণ নিখুঁত হাতের কাজ দেখতে কার না ভালো লাগে। আপনি অনেক ভাল পোস্ট লিখেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল বৌদি।

দিদি আপনার পূজার সপ্তমী দিনের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর ছিল। এই করোনাকালীন মুহূর্তে বাঁধাধরা নিয়ম মেনে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সপ্তমীর দিনের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি খুবই সুন্দর দিন কাটিয়েছেন। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে টিনটিন বাবুর ছবিতে তাকানোর লুক।

সবার আগে বলবো টিনটিন আর আপনার কথা, টিনটিন বাবু তো সবসময় কিউট, কিন্তু আপনাকে আজ অনেক সামনে থেকে দেখতে পেলাম,, এক কথাই অসাধারণ লাগছে আপু। মানতে হবে। অনেক সুন্দর আপনি।

আর ফটোগ্রাফি গুলো প্রসংসার বটে। আমি কিন্তু অনেক মনযোগ দিয়ে দেখছি। অনেক ভাল লাগলো। উদযাপন টাকে উপভোগ করলাম।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

দিদি, আপনার সপ্তমী দিনের পূজার বর্ণনাগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে এবং উপভোগ্য হয়েছে। পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলোকে হয়েছে অসাধারণ। দিদি, আমি অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করি। আমি মনে করি ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

মুহূর্ত গুলো আবারো ফিরে আসুক আরো বিশুদ্ধ হয়ে । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

অনেক সুন্দর ভাবে পূজা উদযাপন করেছেন বৌদি। ভালো লাগার কিছু মহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই জন্য ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি।আগামী বছরেই এভাবেই পূজা কাটবে আপনার সেই কামনা করি।

মায়ের প্রতিমাগুলি অসাধারণ এবং কারুকার্যও। আপনি প্রত্যেকটি ছবি খুব সুন্দরভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন।দেখে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ বৌদি।

দিদি সত্যি কথা বলতে আপনাদের ওখানে পূজো মানেই সুন্দর্য্য , আনন্দ , আর ভরপুর খাওয়া দাওয়া । আমরা টিভিতে মন্ডপ গুলো দেখি । বিশেষ করে থিম পূজো গুলো তো দারুন। ইশ্বরের কৃপা হলে একবার পূজোতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে আপনার করোনা কালীন সচেতনতা প্রশংসনীয় কারন আমাদের এখানে মাক্স পড়ে পূজো দেখতে বেড় হয়েছে হয়তো ১% মানুষ। টিনটিন বাবুর জন্য ভালবাসা রইল আর আপনাদের সকলের জন্য বিজয়ার শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন ।

বৌদি আমার ছোট বেলা থেকে বেশ পূজা মেলায় যাওয়া হয় ।কিন্তু আপনাদের দেশে যত সুন্দর করে প্রতিমা বানানো হয় আমি মুগ্ধ হই দেখে ।প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর হইছে।