"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৯ শীতের পিঠা " চুঁচি পত্রা পিঠা" রেসিপি

in hive-129948 •  3 years ago 

Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কনটেস্ট - ৯ তৈরি (আমার প্রিয় শীতের পিঠা) প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ধন্যবাদ।

শীতকালে পিঠার সাথে বাঙালিদের রয়েছে এক গভীর সম্পর্ক।শীতকাল এলে বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। নতুন চালের গুঁড়ো ও খেজুরের গুড়ের তৈরি হয় জিভে আনা বিভিন্ন ধরনের পিঠা। পিঠা এমন একটি খাদ্য যা বাঙালিদের কাছে ভীষণ প্রিয়। পৌষের ঠান্ডা হাওয়া ছাড়া শীতকে যেমন ভাবা যায় না তেমনি পিঠা ছাড়া বাঙালির ঐতিহ্যকে ভাবা যায় না। শীতকাল মানেই পিঠা পুলির উৎসব। শীতকাল এলেই বাঙালির ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়। কত রকমের নাম জানা ও অজানা তৈরি করা হয়। আর এ গুলো পিঠা বানাতে বেশি দেখা যায় গ্রামাঞ্চলে। এ সব পিঠা বানাতে শহরাঞ্চলে তেমন দেখা যায় না। শহর অঞ্চলের মানুষ তো পিঠার কথা ভুলে গেছে। তবে শীত কালে বিভিন্ন জায়গায় পিঠা পুলির উৎসব চলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি হয়।

শীতের পিঠার কনটেস্ট দেখে আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমি যখন ছোটো ছিলাম তখন আমার ঠাকুমা, মা, কাকী মা সবাই মিলে ঢেঁকিতে চালের গঁড়ো বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানাতো। আজও আমার মনে পড়ে সেই পিঠার কথা। একটু কষ্ট করে ঘরে পিঠা তৈরি করে প্রিয় মানুষদের কে খাওয়ানোর মজাই আলাদা। আমি সব রকমের পিঠা পছন্দ করি। যে দিন বাড়ীতে পিঠা তৈরি করতো সেই কয়টা দিন আমি পিঠা ছাড়া কিছুই খেতাম না। আমার বাবার বাড়িতে মাসের ভিতর একবার পিঠা খেতে চাইতাম। আর আমার মা বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানাতো।

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার তৈরি করা নতুন একটি পিঠার রেসিপি। এটি আমার খুবই পছন্দের একটি পিঠা। আর তা হলো " চুঁচি পত্রা পিঠা"। আমি খুব একটা ভালো পিঠা বানাতে পারি না তবে আমি চেষ্টা করি। আমাকে কেউ কোনোদিন পিঠা বাননো শিখায়নি। কারণ মা বাবা ও শশুর শাশুড়ি কেউই আমার কাছে থাকে না। তারা বছরে একবার আছে। তা আবার কয়েক সপ্তাহ থেকে চলে যায়। তাই আমি সবকিছু একা একা করি। তবে এই পিঠা বানানো খুবই সহজ এবং টেস্টি একটি খাবার। আমি আগেই বলেছি আমার নতুন নতুন খাবার তৈরি ভালো লাগে। তাই আমি সারাক্ষন ভাবি কি ভাবে নতুন নতুন কিছু করা যায়। যে দিন আমি পিঠা বানাই সেদিন থেকে এই পিঠার ফ্যান হয়ে গেছে সবাই। এবং আমার ও খুব পছন্দের একটি পিঠা।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

IMG_20211109_232646.jpg

IMG_20211109_232826.jpg
উপকরণ:
১. চালের গুঁড়া - ৫০০ গ্রাম
২. খেজুরের গুড় - ২ কাপ
৩. নারকেল কোরা - ৫ কাপ
৪. লবণ - এক চিমটি
৫. দুধ - পরিমান মতো
৬. একটি পরিস্কার কাপড়
৭. ঘি - ১ কাপ
৮. গুঁড়ো দুধ - ৩ চামচ

IMG_20211109_175106.jpg
চালের গুঁড়া

IMG_20211109_181040.jpg
গুঁড়ো দুধ

IMG_20211109_180921.jpg
নারকেল কোরা

IMG_20211109_175129.jpg
খেজুরের গুড়

IMG_20211109_220320.jpg
পরিস্কার কাপড়

IMG_20211109_220200.jpg
ঘি

IMG_20211014_171036.jpg
দুধ
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে আমি চাল ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে গুঁড়ো করে নিয়েছি। দুটি নারকেল কুড়িয়ে নিয়েছি। তারপর খেজুরের গুড় কেটে কুচিয়ে নিয়েছি।

IMG_20211109_175725.jpg
২. এরপর চুলার ওপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে নারকেল কোরা ও খেজুরের গুর একসাথে দিয়ে দিতে হবে।

IMG_20211109_181328.jpg
৩. এবার খুন্তি দিয়ে নারকেল কোরা ও খেজুরের গুড় এক সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিতে হবে। এবং বার বার নেড়ে চেড়ে দিতে হবে। নাড়তে নাড়তে যখন নারকেলের পুর হালকা শক্ত হয়ে আসলে তখন তিন চামচ গুড়ো দুধ দিয়ে দিতে হবে।

IMG_20211109_181623.jpg

IMG_20211109_191850.jpg
৪. আবার খুন্তি দিয়ে ৫ মিনিট ধরে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।

IMG_20211109_192131.jpg
৫. এবার নারকেলের পুর গাঢ় হয়ে শক্ত হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।

IMG_20211109_192335.jpg
৬. এবার একটা পাত্রে পরিমান মতো চালের গুঁড়ো দিতে হবে। গুঁড়োর ভিতর এক চিমটি লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।

IMG_20211109_192927.jpg
৭. মিশানো হয়ে গেলে অল্প অল্প করে উষ্ণ গরম দুধ দিয়ে চালের গুঁড়ো পাতলা পাতলা করে গুলে নিতে হবে। এটা দুধ দিয়ে গুলে নিলে বেশি ভালো হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে বেটার টা যেনো বেশি গাঢ় না হয়। বেটার টি পাতলা হতে হবে।

IMG_20211109_193031.jpg

IMG_20211109_193058.jpg

IMG_20211109_220233.jpg
৮. এবার চুলায় একটা ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিতে হবে।

IMG_20211109_220351.jpg
৯. ফ্রাই প্যান গরম হয়ে গেলে এক চামচ ঘি ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপর একটা কাপড় দিয়ে ফ্রাই প্যান ভালো করে মুছে নিতে হবে। চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে। তারপর ওই বেটার এর ভিতরে একটা পরিস্কার কাপড় চুবিয়ে নিতে হবে। ওই বেটার এ চুবানো কাপড় নিয়ে গরম ফ্রাই প্যানে সোজা করে একটা পাতলা করে চালের গুঁড়োর বেটার দিয়ে দিতে হবে। যোগ চিহ্নের মতো বেটার দিয়ে দিতে হবে। ওই বেটার এর উপর এক চামচ ঘি দিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।

IMG_20211109_224104.jpg

IMG_20211109_225234.jpg

IMG_20211109_225311.jpg

IMG_20211109_222149.jpg

১০. এরপর ওই যোগ চিহ্নের মাঝা মাঝি অল্প একটু নারকেলের পুর দিয়ে দিতে হবে।

IMG_20211109_225337.jpg
১১. এরপর নারকেলের পুর চার পাশ ভাজ করে নিতে হবে। অনেক টা পাটিসাপটার মত। খুন্তি দিয়ে এ পিট ও পিট উল্টায় দিতে হবে। এভাবে ২ মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। এভাবে বাকি বেটার টুকু দিয়ে একই ভাবে পিঠা বানিয়ে নিতে হবে।

IMG_20211109_225425.jpg

IMG_20211109_225506.jpg

IMG_20211109_232830.jpg

IMG_20211109_232826.jpg

IMG_20211109_232725.jpg

IMG_20211109_232646.jpg
তৈরি হয়ে গেল মজাদার একটি পিঠা " চুঁচি পত্রা পিঠা" । এই পিঠা বানানো খুবই সহজ। এবং খুব তাড়াতাড়ি একটি তৈরি করা যায়। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

চুঁচি পত্রা পিঠা একটি মজাদার খাবার। আর গ্রামে ম্যাক্সিমাম বাড়িতে এই পিঠাটি শীতের টাইমে তৈরি করবেই।সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বৌদি আপনি যেভাবে ছবি এবং বর্ণনাগুলো দিয়েছেন এতে অতি সহজেই পিঠা তৈরি করতে পারবো।কারণ এই পিঠাটি আমি যতবারই তৈরি করেছি কিন্তু আপনার মত এত সুন্দর হয় না। তাই আজকে আপনার এই রেসিপি দেখে আবার তৈরি করবো বলে চিন্তা করেছি।

আপু আপনার পিঠার নামটি খুব ইউনিক। চুঁচি পত্রা পিঠা। এই নাম আমি আগে কখনো শুনিনি ।আজকে প্রথম শুনলাম । আর আপনার পিঠা বানানোর রেসিপি টা অনেকটা আমাদের পাটিসাপটা পিঠার মত। যা শীতকাল আশকেই যাঁরা প্রচুর খাই। আপনার পিঠা বানানোর পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে পিঠাটি খুব মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এরকম একটি নামের পিঠা বানানো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

অনেক টা পাটিসাপটার মতো কিন্তু পাটিসাপটা না । এটা কাগজের মত পাতলা হতে হবে। পাটিসাপটার বেটার একটু গারো হয়। এটা আমার নিজের তৈরি একটি পিঠা।

হম্ম আপু আপনার রেসিপির মানেই ইউনিক কিছু।

বৌদি আপনার পিঠাটা যেমন দেখতে ইউনিক হয়েছেন নামটিও তেমনি অন্য রকম হয়েছে ।ভিতরের নারিকেলটা যখন বানালেন তখন যে সুন্দর কালার হয়েছে তারপর আবার গুড়া দুধ দিয়েছেন। এভাবে নারকেলের ভিতরে গুড়া দুধ দিলে খুবই মজা হয় খেতে। চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে কত মজা হয়েছে। আমি এখান থেকে নতুন নতুন অনেক পিঠার রেসিপি শিখছি আমি পিঠা বানাতে পারেন আপনাদেরটা দেখেই শান্তি। অনেক ধন্যবাদ বৌদি।

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু। এটি সম্পূর্ণ আমার নিজের তৈরি। আমার মনে যা আছে আমি তাই বানাই।

আপু অনেক সুন্দর একটা রেসিপির সাথে পরিচয় হলাম। কেননা এর আগে কখনো নাম শুনিনি আর দেখিনি। সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। তবে আপু একদিন বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করব। প্রত্যেকটা ধাপ দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভালো হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ আপু নতুন ইউনিক একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

বৌদি দারুন এবং অসাধারণ পিঠা বানিয়েছেন। পিঠটা দেখতে চমৎকার লাগছে শুধু ভাবছি যে খেতে আরো কত চমৎকার হবে। নামটা খুবই ইউনিট লেগেছে আমার কাছে এই নামের পিঠার ব্যাপারে আমি আগে কখনো শুনিনি এবং খাইও নি। কিন্তু পিঠাটা অনেকটা পাটিসাপটার মত। রেসিপিটা কিছুটা ওরকম লেগেছে আমার কাছে।

বৌদি আমি প্রথমে পিঠার ডেকোরেশন দেখে ভেবে ছিলাম, হয়তো কিছুটা জন্মদিনের কেক হতে পারে কিন্তু পরের ফটো গুলো ও লেখা গুলো পড়ে বুঝতে পারলাম এইটা পিঠা । যদিও এই পিঠার নাম অঞ্চলভেদে আলাদা । তবে আপনার উপস্থাপনা ও চেষ্টা অলওয়েজ গুড । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

বৌদি আপনাকে যে আর কি বলবো আমার মাথায় আসে না এবং মুখেও ভাষা থাকেনা!! আপনার এক একটি রেসিপি একেক ধরনের হয়।আর প্রত্যেকটা রেসিপি এতটা ইউনিক হয় যে কি আর বলব। আপনার পিঠাটি দেখেই মনে হচ্ছে অনেক বেশি স্বাদের হয়েছে। আমারতো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।
নাকি আমি ভিসা নিয়ে চলে আসব বৌদি?
আপনি বলেন।🤪
কি যে করি! আপনার এই চুঁচি পত্রা পিঠা দেখেই একদম লোভ লেগে গেলো। আর তৈরি করার ধরণটা দারুন।

আপনি ভিসা নিয়ে চলে আসুন আপু। আমি আপনাকে সব রকম খাবার খাওয়াবো।

😢সুযোগ থাকলে চলেই যেতাম।

বৌদি আপনি সবসময় সুন্দর সুন্দর রেসিপি তৈরি করেন। তবে এবার পিঠা প্রতিযোগিতায় সবগুলো রেসিপির মধ্যে আপনার পিঠাটি সবচেয়ে সুন্দর লাগছে আমার। পিঠা গুলোকে খেয়ে 😄 দেখতে পারলে মন অনেক প্রশান্তি পেত বৌদি।আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।

বৌদি আপনার কনটেস্টে অংশগ্রহণ আমার কাছে খুবই আনন্দের এবং কি আপনি নতুন এবং ইউনিক একটা রেসিপি আমাদের উপহার দিয়েছেন। তবে আপনি যে রেসিপিটি করেছেন চুঁচি পত্রা পিঠা নামটি খুব ইউনিক। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো যেটা আপনি পিঠা যেভাবে তৈরি করেছেন অনেকটা পাটিসাপটা পিঠার মত। কিন্তু আপনি এতে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ব্যবহার করেছেন। আমার কাছে খুবই অবাক লাগলো আপনার ছোটবেলার কথা গুলো। আপনি ঢেঁকির কথা বলেছেন হ্যাঁ এটা 100 ভাগ সত্য দেখিতে মা বোন চাচি রা আতপ চালের গুড়ি দুপতো। আর সেই চাউলের গুড়ো দিয়ে সবার জন্য পিঠা তৈরি করে খাওয়াতো আসলে বিষয়টা খুবই আনন্দে। এখনকার প্রজন্মের মানুষ ডেকি কি জিনিস নামও জানেনা চিনেও না অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা রেসিপি ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম বৌদি।

আপনি অলটাইম অনন্য🥰কখনো নামও শুনি নাই আর খাওয়া তো পরের কথা😄খুবই ভালো লাগছে দেখতে হয়তো খেতেও ভালো।ডেকোরেশনও ভালোই হয়েছে❣️

বৌদি আপনার আজকের পিঠার যে নাম তা আগে কখনও শুনেছে বলে মনে হয় না। প্রথম ছবিটা দেখেই বেশ অন্যরকম মনে হচ্ছিল। আপনার প্রত্যেকটা রেসিপিতে নতুনত্ব দেখা যায় আমার খুবই ভালো লাগে। আজকে পিঠা রেসিপি টা তো একেবারেই ইউনিক মনে হচ্ছে। দেখেই খুব ভাল লাগছে মনে হচ্ছে খেতেও ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ বৌদি আমাদের মাঝে এত সুন্দর এবং ইউনিক একটি পিঠা রেসিপি নিয়ে আসার জন্য।

সত্যিই শীতের পিঠার সাথে বাঙ্গালীদের এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। গ্রামে যাওয়া হচ্ছেনা তাই এবার এখনো শীতের পিঠা খাওয়া হয়নি। এই পিঠার মতোই অনেকটা এক ধরনের পিঠা আমাদের এখানে তৈরি হয় যেটা কে ছিট পিঠা বলা হয়ে থাকে। অনেক চমৎকার হয়েছে আপনার পিঠা তৈরির ধাপ গুলো। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

না এইরকম পিঠা কখনো খাইনি😳। আমার জন্য একেবারে ইউনিক একটি পিঠার রেসিপি ছিল। "চুঁচি পত্রা পিঠা" নামটা যেরকম অদ্ভুত তৈরি পদ্ধতি টাও বেশ কঠিন। সুন্দর ছিল পিঠার রেসিপি টা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।

অও,👌👌
দারুন ও লোভনীয় সুন্দর পিঠা বানিয়েছেন বৌদি।নামটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।একদম নতুন শুনলাম।অনেক উপকরণের মিশ্রনে তৈরি পিঠা মজাদার হতেই হবে।দারুণ হয়েছে।দেখেই আমার কাছে কিছুটা ভাপা পিঠার মতো লেগেছে তবে এটি একটু পাতলা টাইপের।ধন্যবাদ বৌদি ।

হ্যা ঠিক বলেছো। এটি খুবই পাতলা।

বৌদি এমন একটা নাম দিয়েছেন পিঠার দারুন 👌👌👌 আমার মনে হয় কেউ কখনো শোনে নি। নারকেল কোরা তার সাথে অল্প গুরো দুধও আছে দেখছি,, একদম জমে যাওয়ার কথা। আপনার যে কোন রেসিপির পরিবেশনা এত সহজ সরল হয় যে, যে কেউ আরামছে তৈরি করতে পারবে। ভালো লাগলো নতুনকিছু শিখে। অনেক ভালবাসা রইলো দিদি।

এই পিঠা টি সম্পূর্ণ নিজের তৈরি ও নামটি নিজের দেওয়া। তবে পিঠা টি খেতে খুবই মজার ছিল।আমার নতুন কিছু করতে ভালো লাগে।

দিদি এই পিঠার নাম আমি এই প্রথম শুনলাম। আগে কখনো শুনি নি এই পিঠার নাম । আমি আগেও বলেছি দিদি আপনার রেসিপি সবসময় ইউনিক হই। সব সময় এর মতো এই পিঠার রেসিপিও ইউনিক ছিল। পিঠা গুলো বানানোর প্রসেসটা খুব আকর্ষণীয়। দিদি যেহেতু এই পিঠার নাম আমি আগে জানতাম না এখন আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম। অনেক শুভকামনা রইল দিদি। এরকম ইউনিক রেসিপি আরও পেতে চাই।

চুঁচি পত্রা পিঠা রেসিপি একদম ইউনিক একটি রেসিপি বৌদি। নারকেলের পুর দিয়ে আপনি দারুন ভাবে এই পিঠাটি তৈরি করেছেন। সাধারণত শীতকালে নারকেলের পুর দিয়ে তৈরি পিঠা গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। এই পিঠাটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভাল হয়েছে। পিঠা তৈরির ধাপ আপনি সুন্দরভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এক কথায় অসাধারণ হয়েছে রেসিপিটি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

ওয়াও বৌদি আপনার তৈরি চুঁচি পত্রা পিঠাটি অনেক সুন্দর ভাবে বানিয়েছেন।দেখতে অনেক চমৎকার হয়েছে।আপনার হাতে অনেক যাদু আছে বৌদি,যেই রেসিপি তৈরি করেন ,তাই দারুণ হয়্।তবে সত্যি কথা দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে ।এতে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ বৌদি।

আমি কল্পনা করি কেকের স্বাদ খুব সুস্বাদু হতে হবে, আমি একই জিনিসের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম যে আপনার মা আমাকে কখনই রান্না করতে শেখাননি এবং বর্তমানে আমি অনেক কাজ করি যখন আমাকে খাবার তৈরি করতে হয় কারণ আমার মেনু খুব বৈচিত্র্যময় নয়, আমি কেবল কিছু জিনিস প্রস্তুত করুন। কখনও কখনও আমি নতুন খাবারে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করি কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি যা প্রস্তুত করি তা আমার কুকুরও খায় না। 😭

বৌদি এতো নিত্যনতুন রেসিপি কোথায় পান বলেন তো! 😍
এতো সুন্দর করে খাবার গুলো বানান আবার ধারাবাহিকভাবে ছবিগুলোও দিয়ে দেন
যাতে সবাই ট্রাই করে দেখতে পারে।

অনেক সুন্দর হয়েছে পিঠা টা আর আমার দেখা ইউনিক একটি পিঠা এই চুচি পত্রা পিঠা।

নামটাও বেশ!

চুঁচি পত্রা পিঠা সত্যিই নতুন একটা রেসিপি আমি দেখলাম। শীতের জন্য আশা করি এটা আমরা বাড়িতে তৈরি করতে পারব আপনি এত সহজভাবে বর্ণনা দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো তুলে ধরেছেন। আসলেই আপনার রেসিপি মানেই ইউনিক এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল। অনেক ভাল ছিল বৌদি

শীতের সময় বাংগালীর ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর একটা ধুম পরে ,আর পিঠা যদি না বানানু হয় তবে শীতের মজায় পাওয়া যায়না , আপু আপনার কথা গুলু আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লাগে ,খুব গুছিয়ে কথা বলেন আপনি , আপু চুচি পত্র পিঠা আগে কখনো নাম এ শুনিনাই ,তবে যে পিঠা তে নারকেল আর খেজুরের রস থাকে সেই পিঠা গুলু অমৃত লাগবে সেটা আমি জানি , অনেক সুন্দর করে পিঠা তৈরি উপস্থাপন করেছেন আপু।

দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেইসাথে সাধুবাদ জানাই খুবই সুন্দর নতুনত্ব পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম একটি নাম আপনার রেসিপি থেকে প্রথম শুনলাম, আপনি খুবই সুন্দর একটি নাম দিয়েছেন পিঠার, শুভকামনা রইল দিদি আপনার জন্য।

পিঠা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। পিঠা গুলি সত্যি অনেক লোভনীয়। ঠিক বলেছেন বৌদি এখন তেমন দেখা যায় কম এই পিঠা। আপনি পারফেক্ট তৈরি করেছেন। অনেক শুভেচ্ছা রইলো

খুব ইউনিক নাম এবং পিঠা তৈরির ধাপ। সত্যিই দেখতে যেমন সুন্দর দেখাচ্ছে তেমনি তৈরি করার পদ্ধতিও খুব সুন্দর হয়েছে। খুব পাতলা করে এই পিঠা তৈরি করার ক্ষেত্রে দিদি হয়ত অনেক সময় লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ দিদি, এত সুন্দর একটি পিঠা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

দিদি চুচিপত্রা পিঠা আমি কখনো খাইনি। তবে আপনার এই পিঠা তৈরীর বর্ণনা গুলো পড়ে জিভে তে এমনিতে জল চলে এসেছে। এবার অবশ্যই বাড়িতে একবার ট্রাই করবো চুচি পিঠা তৈরি করতে। দিদি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

"চুঁচি পত্রা পিঠা"নামটি যেমন ইউনিক তেমনি পিঠা টিও আমার কাছে একদম ইউনিক লাগছে। তবে দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজা হবে। আপনি প্রতিটি ধাপ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আমিও চেষ্টা করব এই রেসিপিটি তৈরি করার। ধন্যবাদ আপনাকে বৌদি।

আমি এই পিঠা প্রথম দেখলাম এবং তৈরী করার কৌশল টাও অভিনব মনে হয়েছে আমার কাছে। দারুন একটি পিঠা রেসিপি শিখলাম। রিস্টিম করে রাখলাম দিদি। এক কথায় অসাধারণ। ভাল থাকবেন দিদি। ধন্যবাদ।