জেনারেল রাইটিং:- আমি জানি না" বলতে শেখাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা।

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা আমি কিছু বিষয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। তেমনি আজকেও আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটি বিষয়ের উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আসলে এসব বিষয়গুলো থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি এবং শিখতে পারি। যেগুলা হয়তোবা বাস্তব জীবনে আমাদের কাজে লাগবে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে পোস্টটা পড়ে।

"আমি জানি না" এই শব্দটা এমন একটা শব্দ, যেটা কিনা আমাদের কে অনেক কিছুতে ই সাহায্য করে থাকে। এই কথাটা বলতে শেখা আসলেই সবচেয়ে বড় একটা শিক্ষা। এই শব্দটা আমাদেরকে অনেক বিপদে পড়ার হাত থেকেও বাঁচিয়ে থাকে অনেক সময়। আবার এটা আমাদের নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরকেও সাহায্য করে থাকে। সব মানুষেরই উচিত এই কথাটা বলতে শেখা। তবে সব সময় এই কথাটা ব্যবহার না করলেই ভালো। সময় এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হয় এই কথাটা ব্যবহার করার জন্য। তবে এই শিক্ষাটা সবার মধ্যেই থাকা দরকার। সময় মত যারা এটা ব্যবহার করতে পারে, তারা বুঝে এটার গুরুত্ব কত বেশি।

মনে করেন, দুজন মানুষকে আপনি দেখেছেন মারামারি করতে। পরবর্তীতে হয়তো তারা একে অপরের নামে কেস করবে। আর এগুলো নিয়ে অনেক কিছুই হবে। তাদের বিষয়ে যদি কেউ সাক্ষী দিতে যায়, তাহলে দেখা যাবে ওই মানুষগুলো ওই সাক্ষীটাকে মারার চেষ্টা করবে। আর ওই জায়গায় আপনি হতে পারেন, যে কিনা ওই দুজনকে মারামারি করতে দেখেছেন। এখন যদি আপনি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, আপনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাহলে তারা আপনাকে কিছুই করবে না। কিন্তু আপনি যদি জানেন কথাটা বলেন, তাহলে দেখা যাবে তারা আপনাকে কিছু না কিছু করার জন্য উঠে পড়ে লাগবে পরবর্তীতে। আর এর ফলে আপনার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই এরকম সময় গুলো বুঝেই কথাটার ব্যবহার করতে হবে।

মানুষ নিজের মনকে সব সময় শান্ত রাখতে পারেনা। তাই অনেক সময় অনেক ডিসিশন নিয়ে ফেলে। যেগুলো হয়তো তার জীবনে নেওয়া অনেক বড় ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। হুটহাট করে এই সিদ্ধান্তগুলো না নিয়ে একটু ভেবেচিন্তে যদি নেওয়া হয়, তাহলে সে ভালো কিছুই করতে পারবে নিজের জীবনে। এরকমটা এইজন্যই বলছি, কারণ বিয়ের সময় অনেক মেয়ে রয়েছে যারা কিনা বিয়ের সিদ্ধান্ত হুটহাট করে নিয়ে ফেলে। আর এটা হয়তো তারা নিজের কারণে করে না। হয়তো ফ্যামিলির চাপেও করে থাকে। একটা ফ্যামিলি যদি একটা মেয়েকে প্রতিনিয়ত বিয়ের প্রেশার দেয়, তাহলে দেখা যাবে মেয়েটাকে যখন ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে। আর তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হবে, সে এই বিয়েতে রাজি কিনা। তখন ওই সময় মেয়েটা বলবে আমি জানি না আমার ফ্যামিলি জানে। তারা রাজি হলে আমি রাজি, কিন্তু এই কথাটা সবসময় বলা উচিত না, বিশেষ করে এই বিষয়ে।

কারণ ফ্যামিলিও সব সময় সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারে না। বিশেষ করে এই ফ্যামিলি গুলো, যারা কিনা একটা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগে থাকে। আর কোনো রকম একটা ছেলে পেলেই তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। ছেলেটা যেরকমই হোক না কেন, অল্প একটু খোঁজখবর নিয়ে তারা আর খোঁজ খবর নেয় না, আর মেয়েটার সাথে ছেলেটাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে যদি এই কারণে মেয়েটার জীবনটা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে তার সবকিছুই শেষ। আর পরবর্তীতে সে নিজের ফ্যামিলিকে কি বা বলতে পারবে। কারণ যা হওয়ার তো তার সাথে হয়েই গিয়েছে। আর এই জন্য তাদের উচিত একটু ভেবেচিন্তে তারপর উত্তর দেওয়া। আর বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হওয়া।

আমরা যখন বিপদে পড়বো, তখন যদি আমরা এটা বুঝতে পারি যে, এখন যদি আমি জানিনা বলি তাহলে হয়তো বেঁচে যেতে পারি। কিন্তু যদি জানি বলি, তাহলে বিপদে পড়ে যেতে পারি। আর ঠিক ওই মুহূর্তেই আমাদেরকে জানি না কতটা বলা লাগবে। বেশিরভাগ সময় আমি জানিনা এই বিষয়টা ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে কিছু কিছু সময় ছাড়া। এই একটা শব্দ আমাদের কে অনেক বড় শিক্ষা দিয়ে থাকে আমাদের জীবনে। আর এই শিক্ষাটা অর্জন করা দরকার প্রত্যেক মানুষের। আর এই জন্য আমি আপনাদেরকেও এটাই বলবো যে, জানিনা বলাটা শিখুন। তাহলে দেখবেন ভালো কিছু অর্জন করছেন। আর ভালো কিছুই হবে। সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা অর্জন করুন সবাই।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি