আম্মুকে দাঁতের সমস্যার কারণে এক্সরে করানোর অভিজ্ঞতা।

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বর্তমানে শীতের প্রকোপ টা একটু বেশি পড়ছে। গত কয়েকদিন তো একদম রোদ দেখা যায়নি। যদিও কালকে থেকে কিছুটা রোদ উঠেছে। আর বর্তমানে দেখছি অনেকেরই দাঁতের সমস্যাটা বেশি দেখা দিচ্ছে। শীত আসলে মনে হয় এই দাঁতের সমস্যা ও বেড়ে যায়। যদিও আমার আম্মুর প্রায় অনেকদিন ধরে দাঁতের ব্যথা শুরু হয়েছে। প্রায় কয়েক বছর আগে এই দাঁতের সমস্যার জন্য একটা দাঁত ফেলে দিয়েছিল।

IMG-20230108-WA0002.jpg

গত কয়েকদিন ধরে বেশ সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। এজন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তখন শুরুতেই ডাক্তার এক্সরে করানোর জন্য বলল। যে দাঁতটা একটু বেশি নড়তেছিল সেটা কেন নড়ছিল এটা জানার জন্য। আমাদের আশেপাশের অনেকগুলো ক্লিনিক রয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে আমার খুব একটা ভরসা নেই। এইজন্য আম্মুকে ফেনী শহরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এক্সরে করানোর জন্য। তো যথারীতি সকালবেলা উঠে ফেনী যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমাদের এখান থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে। ফেনী ভাইটাল পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য অনেকটাই ভালো। এর আগেও আমি একবার আমার একটা আলট্রাসনোগ্রাফি করার জন্য গিয়েছিলাম।

IMG-20230108-WA0008.jpg

IMG-20230108-WA0000.jpg

এইজন্য ভাবলাম আম্মুকেও সেখানে নিয়ে যায় এক্সরে করানোর জন্য। তো আমরা যথারীতি হসপিটালে গিয়ে পৌঁছালাম। সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে রিসিপশনিস্ট এর সাথে কথা বললাম। এখানে প্রায় অনেকটা লম্বা লাইন ছিল। আসলে যে যার সমস্যা নিয়ে এখানে এসেছিল বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য। এছাড়াও এখানে প্রায় অনেক ধরনের চিকিৎসা করা হয়। আমরাও এখানে দাঁড়িয়েছিলাম, এরপর একটা রিসিট নিয়ে এক্সরে করানোর রুম দেখিয়ে দিয়েছিল। তারপর আমরা সেই রুমের দিকে গেলাম। যদিও দাঁতের এক্সরে করার খুব একটা মানুষজন ছিল না। এইজন্য আমরা সাথে সাথেই রুমে প্রবেশ করতে পারলাম। এক্সরে রুমে একজন মহিলা ছিল যিনি, সবকিছু করবে।

আমি আগে থেকেই ভেবেছিলাম বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করব, এইজন্য কয়েকটা ফটোগ্রাফি করলাম।
এক্সরে করার রুমে গিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। যথারীতি মহিলাটি দাঁত এক্সরে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। মুখে কি একটা দিয়ে সবকিছু সেট করলো। মূলত এখানে সম্পূর্ণ মাথাটা একটা মেশিনের ভেতরে দিয়ে, এরপর মুখের ভেতরে ছোট্ট একটা মেশিন দিয়েছিল। এইভাবেই দেখলাম এক্সরে করার প্রস্তুতি নিয়েছে। এরপর অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই এক্সরে করা শেষ হয়ে গেল। তারপর বলল কিছুক্ষণ ওয়েট করতে হবে রিপোর্টের জন্য।

IMG-20230108-WA0006.jpg

IMG-20230108-WA0009.jpg

আসলে আমরা যেহেতু কিছুটা দূর থেকে এসেছি এজন্য ভাবলাম একসাথে রিপোর্ট নিয়ে যাব। এইজন্য আমরা বসে রিপোর্টের জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম। আর তার সাথে দেখছিলাম অনেকেই বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এসেছে। আসলে হাসপাতালে আসলেই বোঝা যায় মানুষের কত ধরনের সমস্যা। হয়তোবা যা আমরা বাড়িতে থেকে উপলব্ধি করতে পারি না। একেকজন একেকজনের সমস্যা নিয়ে হাজির। মানুষের এত ধরনের অসুস্থতা আর সমস্যা গুলো দেখে সত্যি ভীষণ মায়া হয়। তখন মনে মনে ভাবছিলাম সত্যিই সুস্থতাই সবথেকে বড় নেয়ামত। আর এই বিষয়টা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য কতটা প্রয়োজন।

IMG-20230108-WA0003.jpg

যথারীতি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর জিজ্ঞেস করলাম আমাদের রিপোর্ট রেডি হয়েছে কিনা। তখন বলল আর পাঁচ মিনিট সময় লাগবে। এইজন্য আমরা আবারো কিছুক্ষন ওয়েট করলাম। কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর দেখলাম উনারা নিজেরাই ডাকলো রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। তখন তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে নিলাম। এরপর আবারো হাসপাতাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখান থেকে আসতে কিছুটা সময় লাগলো। আসলে হাসপাতাল টা আমাদের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে ছিল। তারপরেও ঠিকঠাকমতো বাড়িতে এসে পৌঁছালাম। এই রিপোর্ট আবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে দেখাতে হবে। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

আমার পরিচয়

1635518106012.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ক্লিনিকে গেলে একটা বিরক্তিকর সময় হলো রিপোর্টের জন্য বসে থাকা।নির্বোধের মতো চুপচাপ চেয়ারে বসে থাকাটা আমার কাছে এতোটা অসহ্যকর লাগে যা বলার মতো না।

আন্টির দ্রুত সুস্থতা কামনা করি,আশা করি ডাক্তার ভালো খবরই দেবেন।

এটা ঠিক বলেছেন চুপচাপ বসে থাকাটা অসহ্যকর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ঠিক বলেছেন আপু সুস্থতা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামত। আসলে অসুস্থ হলেই বোঝা যায় সুস্থতার মূল্য। আপনার আম্মু অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। আসলে শীতের সময় দাঁতের ব্যথা একেবারে বেড়ে যায়। আর দাঁতের সমস্যা হলে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগে। আন্টির সুস্থতা কামনা করছি। আন্টির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।

জ্বী আপু সুস্থ হয়ে উঠলেই ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ঠিক বলছেন আপু ইদানিং শীত একটু বেশি এই বছরে।তবে ২/১ দিন হচ্ছে সুন্দর রোদ দেখা দিচ্ছে।আর রোগের কি কথা বলবেন দাঁতের সমস্যা বলেন কিংবা চোখের সমস্যা বলেন বয়স বাড়ার সাথে সাথেই সব সমস্যা বেড়ে যায়।তবে ইদানীং ভেজাল যুক্ত খাবারের কারণেই সব সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।এখন আর বয়সের কোন তফাৎ নেই সব বয়সের মানুষের মধ্যে এই সব সমস্যা দেখা দিচ্ছে।তবে ডাক্তার দেখিয়ে ভালো সমাধান নিচ্ছেন এটা হচ্ছে ভালো কথা।ডাক্তার যদি বলেন দাঁত ফেলেে দিতে তাহলে ফেলে দিলে ভালো হয় সেটাই ভালো করছেন।

ঠিক বলেছেন আপু এখন বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

খুব ভালো করেছেন আপু শহরের ভাল ডাক্তার দেখিয়েছেন এবং ভালো হসপিটালে দেখিয়েছেন। আপনার মা তাড়াতাড়ি সুস্থ হোক এই কামনাই করি।আর দাঁতের সমস্যা একদম সহ্য করার মতো নয়। ধন্যবাদ আপু আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

জ্বী আপু দাঁতের সমস্যা একদমই সহ্য করা যায় না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আম্মুর জন্য সত্যি ভীষণ চিন্তা হচ্ছে। কারণ দাঁতের ব্যথাটা অনেক বেশি কষ্টকর। তবে ভালোভাবে চিকিৎসার মাধ্যমে যদি সেরে যায় এটাই ভালো। এমনিতে আমাদের এখানে না দেখিয়ে ফেনীতে নিয়ে গিয়েছো এটাই ভালো করেছো। আমি শুনেছি এখন দাঁতের ব্যথাটা একটু কম রয়েছে ওষুধ খাওয়ার পর। তবে আম্মু যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে এটাই কামনা।

এখন দাঁতের ব্যথাটা একটু কম রয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।

আসলে বর্তমান সময়ে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে আর এই শীতের সময় যেকোন ধরনের ব্যথা অনেক বেশি হয়। আপনার আম্মুর ক্ষেত্রে হয়তো বা সেটাই ঘটেছে আসলে দাঁতের ব্যথাটা অনেক বেশি কষ্টদায়ক যেটা ছোটবেলায় খুব ভালোভাবে বুঝেছিলাম। অবশেষে ভালো একটি হসপিটালে আপনার আম্মুকে দেখিয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যাবে বলে আশা রাখি।

জী ভাইয়া দাঁতের ব্যথাটা অনেক বেশি কষ্টদায়ক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনি ঠিক বলেছেন আপু, সুস্থতা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামত।আমিও কিছুদিন আগে দাতঁ এক্সরে করাতে গিয়ছিলাম। কিন্তু একটা জিনিস বিরক্ত লাগে।রিপোর্টের জন্য বসে থাকতে হয়।কিন্তু আমি যেখানে গিয়েছিলাম সেখানে তাড়াতাড়িই দিয়ে দিয়েছিলো।যাই হোক আন্টির জন্য মন থেকে দুআ রইল। তিনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

আপনি দোয়া করেছেন দেখে ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

কয়দিন খুব শীত পরেছিল।শীতে নানা ধরনের রোগ একটু বেশীই বেড়ে যায়। আপনার আম্মুর দাঁতের ব্যথা হয়ত এই শীতে আরো বেড়েছে।তবে তাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছেন, আশাকরি ভাল হয়ে যাবেন।আন্টির সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ আপু।

ভালো হয়ে গেলেই ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সত্যি শীতকাল আসার কারণে অনেক বেশি অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে। দাঁতের ব্যথাটা অনেক বেশি ডেঞ্জারাস। যেটা সহ্য করা খুবই কঠিন। তবে ভালোই ভালো ভালো এক্সরে করানো শেষ করেছিলাম এটাই ভালো লেগেছিল। কিন্তু রিপোর্টের জন্য কিছুক্ষণ ওয়েট করতে হয়েছিল। আশা করি আস্তে আস্তে দাঁতের ব্যথাটা কমে যাবে।

আজ শীতের কুয়াশা কিছুটা কমে অনেক রোদ পড়েছে। দাতের সমস্যা নেই এরকম মানুষ খুব কম আছে। ডাক্তারের পরামর্শে আপনার আম্মুকে নিয়ে দাতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন এবং এক্সরে করিয়েছেন ভাল করেছেন। আর শহরের হাসপাতালে ডায়াগনোসিস মেশিন গুলো ভাল হয়। রিপোর্ট নিয়ে দেখেন ডাক্তার আবার কি বলে। ধন্যবাদ আপু।

ঠিকই বলেছেন সুস্থতা যে আল্লাহর কত বড় একটি নিয়ামত তা আমরা যারা বাসা বাড়িতে থাকি তারা বেশি উপলব্ধি করতে পারি না। কিন্তু কোন কারণে যদি হাসপাতালে যাওয়া হয় সেগুলো উপলব্ধি করতে পারি ভালো করে। তবে আমার কাছে মনে হয় দাঁতের ব্যথাটাই বেশি কষ্টকর। কয়েকদিন আগে আমার নানুকে ওরকম দাঁতের ডাক্তার দেখিয়েছি। অনেকগুলো দাঁত রোড ক্যানেল এবং ক্যাপ বসানো হয়েছিল। যাই হোক আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

সুস্থ থাকা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা বড় নেয়ামত। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না। দাঁত ব্যথা খুবই মারাত্মক একটা ব্যথা। একবার হলে এর থেকে রেহাই পাওয়া যায় না যতক্ষণ না পর্যন্ত দাঁতের ট্রিটমেন্ট করা হয়। আন্টির সুস্থতা কামনা করছি আল্লাহ তাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দিক।