ভ্রমণ :- ফেনীর বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ( শেষ পর্ব )

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম মেলায় যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত। আসলে ফেনীর বাণিজ্য মেলাটা অনেক বড় হয়ে থাকে। তাই জন্য গত পর্বে সম্পূর্ণ বিষয়গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেনি। আজকে আবারও চলে আসলাম কিছুটা মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। যেহেতু নাশিয়া আগেই একটা ময়ূরের মত রাইডে উঠেছিল। সেখান থেকে নামার সাথে সাথেই আমরা আর একটু সামনের দিকে গেলাম। কিন্তু এখানে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন রকমের রাইড এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর ওতো একটা থেকে নেমে আরেকটাতে ওঠার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে দেয়।

আসলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে এইরকম জায়গায় যাওয়া আসলেই মুশকিল। আর এমন ভাবে বলবে আমরা না শুনে পারি না। পরবর্তীতে অনেক বড় একটা স্লিপার ছিল। সেটাতে ওঠার জন্য বায়না করতে শুরু করলো। ভাবলাম যেহেতু অনেকদিন পারে এসেছি তাহলে ওর ইচ্ছে মতোই হোক। এইজন্য টিকিট কেটে ওকে বড় স্লিপার টার ভিতরে ঢুকিয়ে দিলাম। কিন্তু ওখানে গিয়ে হল আরেক কান্ড। সেখানেও তার সাথে আমাকে যেতে হবে। না হলে সে একা একা উঠবে না। কিন্তু এখানে সামনে দিয়ে একটা রেস্ট্রিকশন ছিল। শুধুমাত্র বাচ্চারা যাবে আর কেউ ভিতরে যেতে পারবেনা।

আর এই জন্য সামনের দিকে দাঁড়িয়েই সে কান্নাকাটি করা শুরু করল। কিন্তু আমার পক্ষে তো ওইখানে যাওয়ার কোনভাবেই সম্ভব না। এদিকে আবার টিকিটও নিয়ে নিলাম। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা। পরবর্তীতে যার থেকে টিকিট নিয়েছি। সেই লোকটাকে বলেছিলাম যেহেতু বাচ্চা এখানে উঠতেছে না তাহলে ওকে অন্য কোন রাইডে উঠতে দিতে। লোকটা এমনিতে ভালোই ছিল। পরবর্তীতে ওকে অন্য আরও একটা রাইডে উঠতে দিলো। সেখানে ওঠেও সে খুব আনন্দই পাচ্ছিল। আসলে বাচ্চাদের আনন্দই তো আমাদের আনন্দ।

এরপরে সেখান থেকে বেরিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। এই মেলাতে অনেকগুলো দোকান বসে ছিল। মানুষের ভিড় ছিল অনেক বেশি। সবাই কম বেশি কেনাকাটা করছিল দেখলাম। তো আমরাও চারিদিকে একটু ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। ভাবছিলাম কি কেনা যায়। পরবর্তীতে আমার প্রয়োজনীয় কয়েকটা জিনিসপত্র কিনলাম। এসব কিছু কেনাকাটা করে ভীষণ ভালো লেগেছিল। যদিও এগুলোর খুব একটা দাম ছিল না। তবে ছোটখাটো জিনিসগুলো আমাদের প্রয়োজন হয় বেশি। এজন্য কিছু জিনিস কিনেছিলাম।

পরবর্তীতে আরো দেখলাম অনেকগুলো জামা কাপড়ের দোকান এবং ব্যাগ জুতোর দোকান। সেখানেও দেখছিলাম কোন কিছু কেনাকাটা করা যায় কিনা। কিন্তু পছন্দের কিছু না পেয়ে আর কেনাকাটা করা হলো না। পরবর্তীতে আরো কিছুক্ষণ আমরা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। যখন সন্ধ্যা হয়ে আসলো ভাবলাম আর না ঘুরে চলে যাই। আসলে যেতে যেতে আবার অনেক রাত হয়ে যাবে। তাই জন্য বাড়িতে ফিরে আসলাম। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারো আপু আপনাদের মাঝে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি