রেসিপি :- টমেটো সস রেসিপি।

in hive-129948 •  2 days ago 

IMG-20250304-WA0004.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব টমেটো সস রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।

টমেটোর সৃজন আসলেই আমি চেষ্টা করি টমেটো সস তৈরি করার। কারণ বিভিন্ন ধরনের ভাজা পোড়া খাবারের সাথে টমেটো সস খুবই প্রয়োজন পড়ে। আবার দেখা যায় বিভিন্ন রেসিপিগুলো তৈরি করলে পরিবেশন করার জন্য ও সস এর প্রয়োজন পড়ে। এই জন্য ঘরে টমেটো সস রাখতেই হয়। কিন্তু বাজারে বর্তমানে সসের দাম অনেক বেশি। কিন্তু এখানে আমি শুধুমাত্র ১০০ টাকার টমেটো দিয়ে বেশ ভাল পরিমাণে সস বানিয়েছি। যেটা আমার মনে হয় অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খাওয়া যাবে। এজন্য আমি চেষ্টা করি এই রেসিপিটা প্রতি বছর তৈরি করার জন্য। আপনারাও চাইলে এভাবে কিন্তু টমেটো সস তৈরি করে সংরক্ষণ করতে পারেন। আশা করি রেসিপিটা আপনাদের ভালো লাগবে।

তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG-20250304-WA0008.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ :

উপকরণপরিমাণ
টমেটো৪ কেজি
চিনি২ কাপ
তেতুল১ কাপ
ভিনিগার১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ কুচি২ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া২ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ২ টা
লবনপরিমাণমতো

IMG_20250305_220405.jpg

রান্নার বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে আমি সবগুলো টমেটো ধুয়ে পরিষ্কার করে এরপর টুকরো টুকরো করে কেটে নিলাম।

IMG_20250305_184742.jpg

ধাপ - ২ :

এরপর টমেটো টুকরোগুলো একটা পাতিলের মধ্যে নিয়ে চলে বসিয়ে দিলাম। এরমধ্যে আমি কয়েকটা পেঁয়াজের টুকরো দিয়ে দিলাম। কার সাথে কিছুটা লবণ দিয়ে দিলাম। এভাবে এগুলোকে সিদ্ধ করে একদম গলিয়ে নিয়েছি। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।

IMG_20250305_184802.jpg

ধাপ - ৩ :

গলানো টমেটো টা ঠান্ডা করার পর একটা ব্লেন্ডার করে নিলাম। এভাবে আমি পুরোটা পরিমাণে ব্লেন্ড করে নিয়েছি। এরপর আমি একটা চালনি দিয়ে ছেঁকে নিয়েছি।

IMG_20250305_184823.jpg

ধাপ - ৪ :

এরপর আবারো চুলায় একটা পাতিলের মধ্যে ব্লেন্ড করা টমেটো নিয়ে নিলাম। এর পরের মধ্যে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো চিনি।

IMG_20250305_184836.jpg

ধাপ - ৫ :

এরপরে আমি এরমধ্যে ভিনিগার দিয়ে দিলাম।

IMG_20250305_184855.jpg

ধাপ - ৬ :

এরপরে আমি এরমধ্যে তেঁতুলের কাঁদ দিয়ে দিলাম। এভাবে একটু রান্না করলাম।

IMG_20250305_184920.jpg

ধাপ - ৭ :

এরপরে আমি এরমধ্যে মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিলাম। এরপরে নেড়েচেড়ে দিলাম।

IMG_20250305_184932.jpg

ধাপ - ৮ :

এরপরে আমি এভাবে ঘন হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। ঘন হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।

IMG_20250305_184947.jpg

শেষ ধাপ :

এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

IMG-20250304-WA0006.jpg

IMG-20250304-WA0008.jpg

IMG-20250304-WA0004.jpg

IMG-20250304-WA0007.jpg

IMG-20250304-WA0003.jpg

IMG-20250304-WA0010.jpg

IMG-20250304-WA0005.jpg

IMG-20250304-WA0009.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসRedmi note 9
ফটোগ্রাফার@tasonya
লোকেশনফেনী

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

টমেটো সস রেসিপি আমার খুবই প্রিয়।যে কোন ধরনের জিনিসের সাথে টমেটো সস রেসিপি খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে টমেটো সস রেসিপি তৈরি করেছেন।টমেটো সস রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে গেল আপু। প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।

Screenshot_2025-03-08-10-37-53-15_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2025-03-08-10-36-13-94_0b2fce7a16bf2b728d6ffa28c8d60efb.jpg

অনেক সুন্দর রেসিপি হয়েছে। আমিও এমন ভাবে টমেটো সস রেসিপি করেছিলাম। আপনার রেসিপির ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। কাঁচের বোয়ামে সংরক্ষণ করলে বেশি ভালো থাকে।

ঠিক বলেছেন আপু যেকোনো ধরনের রেসিপি পরিবেশন করতে গেলে টমেটো সস প্রয়োজন পড়ে। আর বাজারেও এখন টমেটোর সসের দাম অনেক বেশি। আপনি মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে টমেটো কিনে অনেক সস তৈরি করেছেন দেখছি। আমার কাছে মনে হয় বাজার থেকে সস কিনে আনার চেয়ে এভাবে বাড়িতে তৈরি করলে এটা খেতে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত হয়। খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু।

টমেটো সস রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুস্বাদু মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার কাছে দারুন লেগেছে।

টমেটো সস একটি বহুমুখী এবং সহজে তৈরি করা যায় এমন রেসিপি, যা বিভিন্ন খাবারের সাথে ব্যবহার করা যায়।টমেটো সস পাস্তা, পিজা, স্যান্ডউইচ, বা গ্রিলড মিটের সাথে ব্যবহার করা যায়। এটি একটি বহুমুখী সস যা বিভিন্ন খাবারের সাথে মানানসই। আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক মজাদার হয়েছিল।

আপু আপনার তৈরি টমেটো সস্ দেখে তো ভাজাপোড়া খাবার খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুন্দর করে বাড়িতে টমেটো সস্ তৈরি করা যায় সেটা আজকে পোস্ট থেকেই জানতে পারলাম। আমার তো সস দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আমি এমনিতেই টমেটোর সস অনেক বেশি পছন্দ করি। অনেক সুন্দর একটি ইউনিক এসিপি আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বেশ ভালো করেছেন আপু সারা বছরের জন্য টমেটোর সস বানিয়ে। সস সব সময়ই লাগে। তা হোক বিকালের নাস্তায় বা রেসিপি তৈরিতে বা পরিবেশনে। অল্প উপকরণে মজার সস তৈরি করেছেন। বেশ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে সস তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপু।

টমেটো সস খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি খুব মজার টমেটোর সস রেসিপি করেছেন। তবে আপনি অনেকগুলো টমাটো দিয়ে সস বানিয়েছেন। অনেকদিন পর্যন্ত রেখে খেতে পারবেন। আর টমেটো সস যেকোনো সময় খেতে বেশ মজাই লাগে। রেসিপিটি সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

যখন বাজারে টমেটো খুব সহজে পাওয়া যায় তখন যদি আমরা এভাবে টমেটো সংরক্ষণ করি কিংবা সস তৈরি করি তাহলে পরবর্তীতে খাওয়া যাবে। আপু আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো।

এখন পর্যন্ত নিজ হাতে টমেটো সস রেসিপি তৈরি করা হয়নি। আপনি দেখছি বাড়িতে বসেই টমেটো সস রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। আমিও বাসায় চেষ্টা করবো এই রেসিপি তৈরি করার।

আপনার আগেও দু একজনের পোস্টে টমেটো সস তৈরি করার রেসিপি দেখেছি। তবে সবার পদ্ধতিতেই কিছু না কিছু আলাদা ব্যাপার রয়েছে। আমি এখনো পর্যন্ত টমেটো সস বানিয়ে উঠতে পারিনি। তবে ইচ্ছে আছে কাল বা পরশু বানানোর।। দেখা যাক কি হয়। আপনার টমেটো সসের রংটা খুব সুন্দর হয়েছে একেবারে দোকানের মত।

বাজারের প্যাকেটজাত সসের দাম একটু বেশিই মনে হয়। আপনি ঘরোয়া উপায়ের চমৎকারভাবে টমেটো দিয়ে টমেটো সস বানিয়েছেন আপু। ১০০ টাকার টমেটো দিয়ে অনেকটাই সস হয়েছে দেখে বুঝা যাচ্ছে।

দারুন সুন্দরভাবে ঘরেই টমেটো সস বানিয়ে রেখেছেন দেখছি। এমনভাবে ঘরে টমেটো সস বানিয়ে নিলে বাইরে থেকে কিনে এনে আর সস খেতে হয় না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ টমেটো সস এর রেসিপিটি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। এর ফলে আমরাও যে কোন সময় এই সস বানিয়ে ফেলতেই পারি।

ওয়াও আপু আজকে আপনি মজার টমেটো সস রেসিপি বানিয়েছেন। তবে টমেটো সস খেতে খুব মজা লাগে। আমি কিন্তু বাড়িতে প্রায় সময় টমেটো সস বানিয়ে থাকি। আর টমেটো সস দিয়ে খাওয়া দাওয়া করলে আলাদা একটা মুখের রুচি আছে। মজার টমেটো সসের রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।