নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৬৪ ) (শেষ পর্ব)

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের (শেষ পর্ব) শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফকির গ্রাম।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারী	জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্ট	সুলাইমান
অভিনয়ে	আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালক	কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনা	অনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনা	জুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, মেম্বারের লোক এই সবকিছু নিয়ে চিন্তা করছে। কারণ তার সাথে অনেক জনকেই পুলিশ ধরে নিয়ে চলে গিয়েছে। আর তখনই ওখানে আসমানী এসে তাকেও ধরে নিয়ে চলে যায়। আর তখন ওখানে মেম্বার এবং তার বউ আসে। আর তাকে বাঁচানোর জন্য বললে মেম্বার তাকে হুমকি দেয়, আর তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। আর মেম্বার এবং তার বউ বাড়িতে নিয়ে যেতে চায় প্রিন্স সহ। আর সে বলে ঠিক আছে যাবে। এরপর আমরা সকল ফকিরকে দেখতে পাই একটা জায়গায় একসাথে হয়েছে। আর তখন সুতা ফকির সবাইকে সুখবর দেয়, এই ফকির গ্রামে থাকা সকল মাদক কারবারিকে পুলিশ ধরে নিয়ে চলে গিয়েছে। এখন এই গ্রাম মাদক মুক্ত হয়ে গিয়েছে। তখন সবাই মিলে একসাথে নাচতে থাকে। এরপর আমরা প্রিন্স এবং আসমানীকে দেখতে পাই, রবিকে নিয়ে সুন্দরী খালার কাছে এসেছে।

আর প্রিন্স যখন তার সুন্দরী খালাকে আম্মু বলে ডাকছিল তখন রবি তাকে বলে তার আম্মুকে কেন আম্মু বলছে। তারপর রবির সাথে প্রিন্সের পরিচয় করিয়ে দেয়, আর বলে এটা হচ্ছে রবির ছোট ভাই মঙ্গল। রবি তো অনেক কান্না করতে থাকে তার ভাইকে পেয়ে। তারপর প্রিন্স রবিকে বারণ করে দেয় যেন আর মারামারি না করে। কিন্তু রবি বলে আমিতো এখন আরো বেশি করে মারবো, কারণ আমার ছোট ভাইয়ের বউ পুলিশ। রবি চলে যাওয়ার পর প্রিন্স তার মাকে বলে তাদেরকে খাবার খাওয়ানোর জন্য। এরপর আমরা রতন আর ডাক্তার আপাকে দেখতে পাই বসে বসে গল্প করছিল। আর তখন ওখানে ফুলি আসে। আর বলে তাকে চেয়ারম্যান বলেছে তার নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য। তখন তাদের কাছ থেকে সে বিদায় নিয়ে কান্না করতে করতে চলে যায়।

তারপরে আমরা চম্মন এবং তার বাবাকে দেখতে পাই ভিক্ষা করছিল। আর তখনই ওখানে মানিক আসে। আর তাদেরকে ভিক্ষা করার জন্য বারণ করে দেয়। সেই সাথে তাদের হাতে তাদের বাড়ির দলিলটা দেয়, আর জানায় টাকা পরিশোধ করে তাদের দলিল সে ফিরে এনেছে। এরপর আরো কিছু টাকা দেয় ব্যবসা করে খাওয়ার জন্য। আরে তারপরে সে ওখান থেকে চলে যায়। আর তারাও তাদের বাড়িতে ফিরে চলে যায়। রাতের বেলায় আমরা দেখতে পাই সকল ফকিরদের কে এক জায়গায় বসিয়ে প্রিন্স আসমানী সবাই সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য বসেছে। আর এই গ্রামকে উন্নতি করার জন্য তারা সবাই একসাথে হয়েছে। তারপর আমরা মানিক আর রতনকে দেখতে পাই, তারা ফ্যাক্টরির কথা বলছিল। আর মানিক রতনকে এটা জানায় ফ্যাক্টরি করার পর রতন কে ম্যানেজার হিসেবে রাখবে। তারা যখন কথা বলছিল তখন ওখানে কাদের আর সুন্দরী খালা আসে।

আর মানিককে তাদের বিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এরপর সে তাদের বিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা নিয়ে নেয়। এরপর রতন মানিককেও জানিয়ে দেয় বিয়ে করার জন্য। মালিক আর কখনো বিয়ে করবে না বলে দেয়। তারপর রাতের বেলায় আমরা দেখতে পাই, সকল ফকিরকে প্রিন্স এবং আসমানী পড়াচ্ছে। এরপর আমরা মর্জিনা আর চান্দুকে দেখতে পাই, ইংরেজিতে কথা বলতে বলতে একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। আর তারা কথা বলার সময় ওখানে রবি আসে। রবি তাদের সাথে ঝগড়া শুরু করার পর ওখানে আসমানে আসে আর তাকে থামায়। তারপর রবি তাদেরকে সরি বলে ওখান থেকে চলে যায়। আর আসমানী চান্দু এবং মর্জিনাকে নিয়ে চলে যায়। এরপর আমরা পাঁচ মাস পরের কাহিনী দেখতে পাই। সবাই আরো অনেক শিক্ষিত হয়ে গিয়েছে। আর নতুন নতুন অনেক ভালো ভালো জামা কাপড় পড়েছে। আর এই গ্রামে ফ্যাক্টরি, স্কুল, স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে সবকিছুই হয়ে যাবে।

আর সবাই অনেক আনন্দ করতে থাকে, আর একে অপরের সাথে কোলাকুলি করতে থাকে। তারপর আমরা সায়েম কে দেখতে পাই সে ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছে। আর তার বউকে বলে দেয় ভালোভাবে থাকার জন্য। আর কিছু নিয়ে আসবে কিনা এগুলো জিজ্ঞেস করে। এভাবে তারা কিছুক্ষণ কথা বলে চলে যায়। তারপর আমরা কাদের ফকিরকে দেখতে পাই, সুন্দরীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাজারে যাচ্ছে। আর তখন ওখানে চান্দু এবং মর্জিনা আসে। আর উনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় মেলে। তারপর ওখানে রতন আসে আর উনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মেলে যায়। এরপর আমরা আবারও সবাইকে একসাথে দেখতে পাই। এই গ্রামটা এখন অনেক উন্নত হয় গিয়েছে। আর এটা নিয়ে তারা সবাই খুবই আনন্দিত, এখানে আর একটা ফকিরও নেই। আর তারা সবাই মিলে সবার সাহায্য করার চেষ্টা করবে বলে। আর সবাই শেষ পর্যন্ত সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নাটকটা শেষ করে দেয়। আর এখানেই এই নাটকটা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

দেখতে দেখতে আজকে ফকির গ্রাম নাটকের শেষ পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। নাটকটা দিতে দিতে শেষ হয়ে গেল। আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল নাটকটা। নাটকটি যেমন অনেক হাসির ছিল ঠিক তেমনি ভাবে অনেক বেশি শিক্ষনীয় ছিল। শেষ পর্ব টা খুব ভালো লেগেছিল কারণ শেষ করবে সবার সাথে সবার খুবই সুন্দর মিল দিয়েছে আর আস্তে আস্তে গ্রামটাকে তারা সবাই মিলে উন্নত করে ফেলেছে এখন আর তাদের এই গ্রামে কোন ফকির নেই। আর এখন সবাই মিলেমিশে অনেক আনন্দে রয়েছে। এখন সবাই মানিকের বাবার দেওয়া ফ্যাক্টরিতে কাজ করে নিজেদের সংসার চালায়, আর সবাই খুব ভালো রয়েছে। পরবর্তীতে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হবো অন্য কোনো নাটক রিভিউ নিয়ে।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক