ভ্রমণ :- চট্টগ্রাম গুলিয়াখালি ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

কয়েকদিন আগে আমাদের এক বড় ভাই জিজ্ঞেস করছিল তারপর একজন স্টুডেন্ট এবং ভাই মিলে কোথাও একটা ঘুরতে যাবে। তো তার জন্য আমাদেরকে জিজ্ঞেস করল যাবো কিনা। তো আমরা তো ঘুরতে যাওয়ার জন্য এক পায়ে প্রস্তুত। তার জন্য ভাবলাম প্রতিনিয়ত এত বেশি ব্যস্ত থাকি, একটু ঘুরে আসলে ভালোই লাগবে। আসলে জায়গাটা ছিল চট্টগ্রাম গুলিয়াখালি। এই জায়গায় কখনো যাওয়া হয়নি। তো আমাদের সবার জন্য একটা মাইক্রোবাস আগে থেকে কনফার্ম করে নিল। পরবর্তীতে আমরা একেবারে সকাল সাতটার মধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলাম।

আমরা সবাই মিলে গাড়িতে উঠে পড়লাম। যদিও সবাই কিন্তু আমাদের আগেই চলে এসেছে। আমাদের জন্যই তাদের একটু অপেক্ষা করতে হলো। তো গাড়ি করে গুলিয়াখালি পৌঁছাতে প্রায় তিন ঘন্টার মত লেগে গেল। তবে একটা জায়গায় গাড়িটা পার্কিং করে আমরা ভেতরের দিকে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম। আমরা যেখানে গেলাম ওই জায়গাটায় যেতেই বেশ খানিকটা হেঁটে যেতে হয়েছে। কারণ ওই দিকে আসলে গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে জায়গাটা দেখে আমি একেবারে মুগ্ধ হলাম। জায়গাটার প্রাকৃতিক পরিবেশ এত বেশি অসাধারণ ছিল।

যেটা আসলে সত্যিই সামনে থেকে না দেখলে ভালো লাগবে না। তবে এই জায়গায় ফটোগ্রাফি গুলো এত দারুন আসছিল , আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে চারপাশে প্রাকৃতিক পরিবেশ। গাছপালা এমন কি সমুদ্র। তবে এরকম সমুদ্র আমার এর আগে দেখা হয়নি। কারণ হচ্ছে এখানে দেখলাম কিছু গাছের শেকড় উপরের দিকে উঠানো। এই কাজগুলো এর আগে আমি দেখিনি। তবে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এখানে আবার বসার জন্য বেশ সুন্দর ব্যবস্থাও ছিল। আমরা প্রথমে গিয়ে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করছিলাম।

তবে একটা বিষয় খেয়াল করলাম এই জায়গাটায় অনেক বড় বড় কিছু গর্ত রয়েছে। তবে গর্ত ছাড়া জায়গাগুলো সবুজ ঘাসে ভরা। যেগুলো দেখতেই অনেক বেশি ভালো লাগতেছিল। কেউ যদি না দেখে হাটে তাহলে কিন্তু গর্তে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি প্রথমেই হেঁটে হেঁটে চারপাশের জায়গাটা দেখছিলাম। আসলে কোথাও গেলে সুন্দর একটা জায়গা দেখবো এটাই হচ্ছে বড় কথা। এমনিতে গাড়িতে এত জার্নি করার পর বেশ ক্লান্ত লাগছিল। কিন্তু পরিবেশটা দেখে একেবারে মনটা ভালো হয়ে গেল।

মনে মনে ভাবতে ছিলাম যদি আমাদের বাড়ির পাশে এরকম একটা পরিবেশ থাকতো। তাহলে হয়তোবা আরো বেশি ভালো লাগতো। এখানে যদি কেউ আসে তাহলে আমি মনে করি শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যটা উপভোগ করতে পারবে। যেটা কিনা বর্তমানে বড় বড় দালানকোটার মাঝে হারিয়ে গেছে। আমি মনে করি ঘুরতে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এত সুন্দর জায়গা উপভোগ করা। এত মনোমুগ্ধকর একটি জায়গায় সত্যিই আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তবে এখানে এসে আমার মেয়েটা একটা কান্ড করল। কি করলে সেটা যে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। আজকে এ পর্যন্ত। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। এ পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি