ভ্রমণ :- বন্যার পরে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

in hive-129948 •  4 months ago 

IMG-20240929-WA0010.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

আমাদের এদিকে বন্যার পরে আসলে আমাদের এদিকের জায়গা গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। এজন্য ভাবলাম চারপাশে একটু দেখতে বের হব। আসলে নদীর পাড়ের অবস্থা গুলো অনেক বেশি খারাপ। আমাদের এদিকে নদীর পাড়ে একটা রেস্টুরেন্ট ছিল। ভাবলাম সেখানে একটু ঘুরতে যাই। তো আমরা গিয়েছিলাম বাইকে করে। আমি, নাশিয়া , আমার হাজবেন্ড, আমার ভাগ্নি সহ আমরা সবাই গিয়েছিলাম। তবে সেখানে গিয়ে আমরা একেবারে অবাক হয়ে গেলাম। দেখলাম নদীর পাড়ের রেস্টুরেন্ট আসলে ডুবে গিয়েছিল।

IMG-20240929-WA0012.jpg

IMG-20240929-WA0011.jpg

তাই জন্য মূলত এটা বন্ধ হয়ে গেছে। আবার নিচের দিকে মাটির অবস্থাও খুবই খারাপ। তো আমরা সেখানে গিয়ে প্রথমেই একটু পরের দিকে কয়েকটা বসার জায়গা ছিল, সেখানে কিছুক্ষণ বসে কথা বলছিলাম। তবে সেদিনের পরিবেশটা ছিল খুবই সুন্দর। আকাশটা ছিল অনেক সুন্দর এবং পরিষ্কার। তবে নিচের দিকে দেখলাম সবকিছু কেমন যেন হয়ে গেল। এদিকে রেস্টুরেন্টে নামার একটা খুব সুন্দর ছিল। এরপরে ভাবলাম একটু নিচের দিকে নেমে দেখি। কিন্তু একেবারে নিচে নামা সম্ভব না , কারণ মাটি গুলো একেবারে নরম হয়ে গেছে।

IMG-20240929-WA0003.jpg

IMG-20240929-WA0008.jpg

আসলে পানির নিচে থাকতে থাকতে মাটি একেবারে নরম হয়ে গেছে। তো আপনারা একেবারে নিচে না নেমে কিছুক্ষণ সিড়িতে বসে ছিলাম। তবে এমনিতে পরিবেশটা খুবই ভালো লেগেছে। এদিকে আবার রাস্তার পাশে দেখলাম ঝাল মুড়ি ওয়ালা বসেছে। তাই জন্য ভাবলাম ঝাল মুড়ি খাওয়া যাক। এইজন্য ঝাল মুড়ি নিয়ে আসলাম। তবে ঝাল মুড়ি গুলো খেতে একেবারে বিচ্ছিরি ছিল। আসলে আমার মনে হয় ঝাল মুড়ি এত খারাপ আর কখনো খাইনি। আসলে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। সেটা যদি মজাই না হয় তাহলে কি আর ভালো লাগে।

তোর কোন রকমে খেয়ে শেষ করলাম। আসলে খাওয়ার জিনিস ফেলে দেওয়া ঠিক নয় তাই জন্য। তবে এর আগে একটা জায়গায় ঝাল মুড়ি খেয়েছি, সেগুলো অসম্ভব মজাদার ছিল। তো কি আর করার সেখানে আবারো কিছুটা সময় কাটাতে শুরু করি। পরে ভাবলাম এরকম একটা জায়গায় বসে চা খেতে মনে হয় ভালো লাগবে। কিন্তু দেখলাম, এর পাশেই একটা চায়ের দোকান ছিল। এর আগে আমরা এখান থেকে খেয়েছিলাম। কিন্তু এখন দোকানটা বন্ধ হয়ে গেছে। এই দোকান তো উপরেই ছিল, কেন বন্ধ হয়েছে এটাই বুঝতে পারলাম না।

IMG-20240929-WA0009.jpg

IMG-20240929-WA0002.jpg

তো তাই জন্য আপনার ভাইয়াকে বললাম উপরের দিকে আর দোকান আছে কিনা দেখে আসতে, তো সেই গেল উপরে দোকান দেখতে। আমরা এখানেই বসে তার পাশের পরিবেশটা উপভোগ করছিলাম। পরবর্তীতে দেখলাম সেখান থেকে ওয়ান টাইম কাপে করে চা নিয়ে আসলো। এটাতে আমি একেবারে অবাক হলাম। পরে বলল একটু দূরে একটা দোকান ছিল। যাই হোক বেশ ভালোই হয়েছে। মুহূর্তটা অন্তত দারুন ভাবে উপভোগ করতে পারলাম। আবার এদিকে চা খেতে খেতে বেশ ভালোই আড্ডা জমেছে।

IMG-20240929-WA0014.jpg

IMG-20240929-WA0000.jpg

আসলে মাঝে মাঝে এরকম পরিবেশের ঘুরতে আসতে ভীষণ ভালো লাগে। তাই জন্য চেষ্টা করে মাঝে মাঝে ঘুরতে আসার। তবে এখন কিন্তু আবার নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। কি যে হবে সেটাই বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে এপারের জায়গাগুলো একেবারে ভেঙে যাবে। তো আমরা জায়গাটা উপভোগ করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসলো। তার জন্য সেখানে আর না বসে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তবে সময়টা ভীষণ ভালোই কাটিয়েছে। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আবার নদীর পার ভাঙ্গতে শুরু হয়েছে এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। বন্যার পর এই এলাকাগুলোর পরিস্থিতি এখনো ঠিক হয়নি। মাটির অবস্থা এখনো অনেক খারাপ। তবে জায়গাটা বেশ সুন্দর। আপনারা দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনাদের ভ্রমণের এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

অবস্থায একেবারে খারাপ এলাকা গুলোর। জানিনা কি হবে আর।

আপু নদীর পাড়ে বসে বসে চা খেতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। এরকম সুন্দর মুহূর্তের সবাই মিলে একসাথে চা খেতে আর আড্ডা দিতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে বুঝলাম ভীষণ মজা করেছেন। তবে এবার বন্যার কারণে এই এলাকাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

চেষ্টা করেছি এই মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

আসলে বন্যার পরে সব জায়গার অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে যায়। যাইহোক জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। এসব জায়গায় গিয়ে ঘুরাঘুরি করলে মনটা একেবারে ফ্রেশ হয়ে যায়। তবে ঝালমুড়ি খেতে যদি বাজে হয়,তাহলে খেতেই ইচ্ছে করে না। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ ভাইয়া ঝাল মুড়ি খেতে বাজে হলে খেতে একেবারে ইচ্ছে করে না।

বন্যার পর প্রকৃতি ও পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়।আর নদীর পাড়ে থাকাটা যেমন প্রশান্তির তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ।রেস্টুরেন্টের অবস্থা এসময় এমন থাকাটা স্বাভাবিক তবে বেশ কালো কাঁদায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে দেখলাম।তারপরও আপনারা দারুণ সময় পার করেছেন আশা করি, ধন্যবাদ আপু।

ঠিক বলেছেন একেবারে। এটা যেমন প্রশান্তির তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ বটে।

বন্যার পরে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন করে ভালো লাগলো। নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে নদীর স্নিগ্ধ বাতাস হৃদয়কে মুগ্ধ করে দেয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আসলেই নদীর পাড়ের স্নিগ্ধ বাতাস একেবারে মুগ্ধ করে দেয় হৃদয় কে।

বন্যার পরে আপনার ভাগ্নি সহ সবাই মিলে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের বাড়ির পাশের রেস্টুরেন্ট ও বন্যার পানিতে ডুবে গিয়েছে এবং এই রেস্টুরেন্টের এই অবস্থা দেখে পিছনে খারাপ লাগছে। আসলে আমাদের এলাকার বন্যার কারণে আশেপাশের নদী কেন্দ্রিক যে রেস্টুরেন্ট বা পর্যটক কেন্দ্রগুলো ছিল সবই একই অবস্থা হয়েছে যেটা খুবই খারাপ লাগে। আসলে সেখানে আরো ঘুরতে যাওয়া হবে না।

চেষ্টা করেছি সবাই মিলে একটু বাহিরে যাওয়ার জন্য। অবস্থা একেবারে খারাপ ওই দিকের।

ঝাল মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা জানিনা কি জন্য ঝালমুড়ি গুলো বিচ্ছিরি ছিল। বন্যার পরে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।আসলে আপনারা হয়তো এই মুহূর্তটা অনেক সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ পোস্টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ অনেক সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছিলাম।

বন্যা পরবর্তী সময় নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়া শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে বন্যা হয়ে যাওয়ার পরের অবস্থা দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।

বন্যার পরের অবস্থা দেখতে পেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।

বন্যার পরে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো দেখে একটু খারাপ লাগছে। এক সময় ব্রিজের নিচে কত সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। কিন্তুু এখন বালি জমে কি একটা অবস্থা হয়েছে। আশা করা যায় আবার সব কিছু ঠিকঠাক হবে। ধন্যবাদ।

আসলেই রেস্টুরেন্টটা অনেক সুন্দর ছিল। এখন এটার অবস্থা একেবারে খারাপ।