নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৬১ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৬১ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফকির গ্রাম।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারী	জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্ট	সুলাইমান
অভিনয়ে	আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালক	কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনা	অনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনা	জুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, কাদের ফকির ঘর থেকে বের হচ্ছিল। আর তখনই রবি তার কাছে এসে টাকা চায়। কিন্তু কাদের ফকির তাকে টাকা দিতে চায় না। বরং চান্দুকে আরো বেশি করে মারার জন্য বলে। তাহলে নাকি তাকে পাঁচ হাজার থেকেও আরো বেশি টাকা দিবে। আর রবি এতে রাজি হয়ে যায়। তারপর সে ওখান থেকে চলে যায়। আর তখনই তার মা এই দিক দিয়ে যাচ্ছিল, তখন কাদের ফকিরের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে আর চলে যায়। রাতের বেলায় আমরা ঝুমাকে দেখতে পাই বাহিরে বসে রয়েছে। আর তখনই প্রিন্স আসে আর তার সাথে কথা বলে। তখন ঝুমা তাকে বলে ওই ফকির মেয়েটার সাথে যদি মিশে, তাহলে নাকি তার বাবা তাকে তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেবে। তারা দুজনেই জানে না আসলে প্রিন্সের বাবা কি বলে।

আর প্রিন্স বলে এবার তাহলে সে নিজে আসল মাকে খুঁজে বের করবে। আর এটা বলে সে ওখান থেকে চলে যায়। তারপর আমরা দেখতে পাই, মর্জিনা আর চান্দু কোথাও যাচ্ছিল। আর তখনই তাদের সাথে আসমানীর দেখা হয়। আর কিছুক্ষণ কথা বলার পর তারা সবাই তাদের গন্তব্যে চলে যায়। তারপর আমরা রতন আর ডাক্তার আপাকে দেখতে পাই কোথাও যাচ্ছিল। আর সায়েম আর তার বউয়ের সাথে তাদের দেখা হয়। তখন তারা টিক্কা ফকির আর কমলার কথা বলে। তারপর তারা সর্দারের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে চলে যায়। এরপর আমরা মানিক ফকির আর তার সেক্রেটারি কে দেখতে পায় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু মানিক শর্ট প্যান্ট পড়ে কোনোভাবেই হাঁটতে পারছিল না। আসলে সেই এগুলোতে কমফোর্টেবল না।

তারপর সে তার সেক্রেটারিকে বলে সে নাকি এখানে ভিক্ষা করবে। আর তাকেও তার সাথে ভিক্ষা করার জন্য বলে। কিন্তু সেক্রেটারি তাকে বুঝাতে থাকে। তবুও সে বোঝেনা, আর তাকে বলে ভিক্ষা করার জন্য তার সাথে। এরপর রাস্তায় দাঁড়িয়ে যখন ভিক্ষা করছিল, তখন একটা লোক তাদেরকে বিভিন্ন কথা শুনিয়ে চলে যায়। এরপর মানিককে তার সেক্রেটারি কিছু টাকা দেয়, তারপর তারা ওখান থেকে চলে যায়। এরপর চেয়ারম্যান বাড়িতে টিক্কা ফকির আর কমলাকে আমরা দেখতে পাই এসেছে। আর ফুলি তাকে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। কিন্তু তারা পুরো ফকির গ্রাম উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে। চেয়ারম্যান সাহেব যখন বাহিরে আসে তখন তারা তাকে সবকিছু বলে। আর রতন ফকিরকে উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে চলে যায়।

রাতের বেলায় আমরা প্রিন্সকে দেখতে পাই আসমানীকে বিয়ে করে বাড়িতে এসেছে। কিন্তু তার বাবা মা এসব কিছু দেখে অনেক রেগে যায়। বিশেষ করে তার বাবা। আর তাকে বলে দেয় ফকিরের রক্ত তার গায়ে তাইতো সে এরকম কাজ করেছে। তার পাশাপাশি সে এটাও বলে সে হচ্ছে সুন্দরী ফকিরের ছেলে। কিন্তু প্রিন্সের এই মা কোনো ভাবেই তাকে যেতে দিচ্ছিল না। প্রিন্স ওখান থেকে চলে যাওয়ার পর তিনি অনেক জোর জবরদস্তি করতে থাকে। অন্যদিকে সকল ফকিররা একসাথে হয়েছিল ওই মাদক বিক্রি করা ফকির গুলোর জন্য। সামনে অনেক বড় বিপদ আসছে এটাই সর্দার তাদেরকে বলে। আর সর্দার তাদেরকে বলে দেয় সবাইকে একসাথে থাকার জন্য। আর সবাই রাজি হয়ে যায় একসাথে থাকার জন্য। তারপর তারা যে যার বাড়িতে চলে যায়। সকালবেলায় আমরা প্রিন্স আর আসমানীকে দেখতে পাই সুন্দরী খালার বাড়িতে এসেছে। আসমানী তখন সুন্দরী খালাকে ডাকতে থাকে।

আর তখন প্রিন্স সুন্দরী খালাকে আম্মু বলে ডাক দেয়। তখনই সুন্দরী খালা বাহিরে আসে। আর তাকে জড়িয়ে ধরে। তারপর তারা তাকে সবকিছু বলে। আর প্রিন্স তাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টা জিজ্ঞেস করে। আর তখন সুন্দরী খালা তাকে সবকিছু বলে দেয়। তারপরে প্রিন্স রবিকে খোঁজার জন্য আসমানির সাথে চলে যায়। তারপর আমরা বিদেশি আকাশের বোনকে দেখতে পাই, বাহিরে বসে রয়েছে। আর তখন চম্মন আসে আর রান্নাবান্না করেছে বলে দেয়। তখনই তাকে আরো কাজ করার জন্য পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে বিদেশি আকাশ আসে, আর তার বোনকে জানায় বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছে আর ভিসা পাসপোর্ট সবকিছুই রেডি। তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যাবে চিন্তা করে। তারপর আমরা রবিকে দেখতে পাই, টিক্কা ফকির আর কমলা ফকিরের সাথে মিলে ভিক্ষা করছে। আজ সে অন্ধ সেজে ভিক্ষা চাচ্ছিল। তার সামনে চান্দু আর মর্জিনা দাঁড়িয়েছিল কিন্তু সে এটা জানতো না। তারপর টিক্কা ফকির কমলা ফকির তাকে বলে দেয় তার কথা। আর তখনই এই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

এই নাটকের প্রতিটা পর্বের মতো এই পর্বটাও অনেক সুন্দর হয়েছে। তোমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছিল এই পর্বটা দেখতে। এই পর্বে আমরা একটা বিষয় ক্লিয়ার হয়েছি। তা হচ্ছে প্রিন্স কোনো মেম্বারের ছেলে নয়। সে হচ্ছে এই ফকির সুন্দরী খালার ছেলে। প্রিন্স আসলে আসমানীকে বিয়ে করে নিয়েছে। আর এজন্য তার বাবা তাকে ওনার কাছে আর রাখতে চায়নি। আর সবকিছু জানার পর প্রিন্স সকাল বেলায় তার মায়ের কাছে চলে যায়। অন্যদিকে আবার বিদেশী আকাশ আর তার বোন বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তাদের ঘরবাড়িও বিক্রি করে দিয়েছে। আর টিক্কা ফকির এবং কমলাকে ফকির গ্রাম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বললেও তারা বের হয়নি। আর তারা এই গ্রামে খারাপ কিছু করার চিন্তা করেছে। শেষে আমরা আবার দেখতে পেয়েছি রবি তাদের সাথে যোগ দিয়েছে। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। আশা করি আপনারা সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০