নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৪২ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৪২ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফকির গ্রাম।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারী	জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্ট	সুলাইমান
অভিনয়ে	আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালক	কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনা	অনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনা	জুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা নতুন ফকির দুইটাকে দেখতে পাই ভিক্ষা করছে। তখনই ওখানে মেম্বারের লোক আসে। আর তাদের সাথে ঝগড়া শুরু করে দেয়। কারণ ওই ফকিরের দুইটার জন্যই তাদেরকে এখন পুলিশ খুঁজছে। এরপর তাদের মধ্যে কিছুক্ষণ তর্ক বিতর্ক হয়। আর ওই ফকির দুটা বন্দুক দেখিয়ে তাদেরকে ভয় দেখায়। তারপরে সায়েম তার বউকে দেখা যায় ভিক্ষা করছে। আর তখনই সেখানে কাদের ফকির আসে। কাদের ফকির ওদের কাছে নিজের এবং সুন্দরী খালার বিয়ের কথা বলতে এসেছিল। এরপর ওরা তো ওনাকে শরম পেতে বারণ করে তাদেরকে উৎসাহিত করছিল বিয়ের জন্য। যেহেতু তিনি চান্দুর জন্য কিছু করতে পারছিলাম না। তাই সায়েমের বউ বলে তার সাথে মর্জিনার বিয়ে দিয়ে দিতে বলে। এত তারা দুইজন মিলে তাকে অনেক কথা শোনায়। তারপরে ওখান থেকে কাদের ফকির চলে যায়, আর সায়েম এবং তার বউও চলে যায়।

এরপর একটা নতুন মেয়ে ফকিরকে দেখা যায় গ্রামে ভিক্ষা করার জন্য এসেছে। তখনই চান্দুর সাথে তার দেখা হয় এবং পরিচয় হয়। তারপর তারা সব ফকিরের সাথে পরিচয় হওয়ার জন্য সেখান থেকে চলে যায় একসাথে । তারপরে মেম্বারের দুই ছেলেকে দেখা যায় রাস্তা দিয়ে আসছিল। তখনই তারা পুলিশকে দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে গুলির ভয় দেখিয়ে থামায়। আর তাদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ওখানে মেম্বার চেয়ারম্যান আসে। তারপর মেম্বার চেয়ারম্যানের কথায় পুলিশ আর তাদেরকে ধরে নেয় না। আর তিনি বলে যান প্রমাণসহ যখন ধরবে তখন আর ছেড়ে দেবে না। এরপর মানিক ফকির এবং রতন ফকিরকে দেখা যায় রাস্তা দিয়ে আসছিল। তখনই তারা চান্দু এবং ওই নতুন মেয়ে ফকিরকে তারা দেখে। এরপর মেয়েটার সাথে তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।

তারপরে নতুন ফকির দুইটাকে দেখা যায় পুলিশের কাছ থেকে দৌড়ে আসছে। তখন ওখানে দোকানদার আসে আর তাদেরকে সবকিছু বলে। ওই ফকিররা যখন তাকে বন্দুক রাখার জন্য দেয়, তখন তো সে ভয় পেয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর সায়েম এবং তার বউকে দেখা যায় ভিক্ষা করছিল। একটা সময় তাদের সাথে চান্দু এবং নতুন ফকিরের দেখা হয়। এরপর তো তাদের সাথেও নতুন ফকির মেয়েটাকে পরিচয় করিয়ে দেয় তাও আবার দূর থেকে। আর নতুন মেয়েটার নাম হচ্ছে আসমানী। আর সায়েম তো আই লাভ ইউ ফেরেন বলে নাচতে থাকে। এরপর সেখান থেকে সায়েম এবং তার বউ চলে যায়। আর চান্দুও আসমানীকে নিয়ে মর্জিনার সাথে দেখা করানোর জন্য চলে যায়। এরপর ডাক্তার আপাকে দেখা যায় আসছিল। আর তখন ওনার সাথে মানিক রতনের দেখা হয়। তখন সেখানে পুলিশ আসে। আর সায়েম এবং মানিককে তল্লাশি করে সেখান থেকে চলে যায়। তারপর মানিক রতন ও ভিক্ষা করার জন্য চলে যায়।

চান্দু এবং আসমানীকে তারপরে দেখা যায়। তারা যখন যাচ্ছিল তখন সুতা ফকিরের সাথে তাদের দেখা হয়। তারপর চান্দু আসমানীকে সুতা ফকিরের সাথে দেখা করার। এরপর সুতা ফকির বলে আমি সিঙ্গেল কিন্তু চান্দু ডাবল। এটা বলে আসমানীকে নিয়ে হাত ধরে সেখান থেকে সে চলে যায়। তারপরে চান্দু ও সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে বিদেশি আকাশের বোনের সাথে চম্মন এবং তার বাবার দেখা হয়। ওই ভাবীটা তো চম্মনের বাবাকে বিভিন্ন কথা শুনিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। আর বলে মানিক ফকির এবং চম্মন নাকি তার ভাইকে লুকিয়ে রেখেছে কোথাও। তারপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে সব ফকিরকে দেখা যায় মাদক এর বিষয়টা নিয়ে কথা বলছে।

তারা নিজেরাও বুঝতে পারছে না আসলে এগুলো কে করছে। তারা যখন এগুলো বলছিল তখন ওই নতুন ফকির দুইটা ও তাদের সাথে তাল মিলাচ্ছিল। এরপর ওখানে কাদের ফকির এবং সুন্দরী খালার বিষয়ে অনেক কথা হয় আর সবাই বিষয়গুলো নিয়ে হাসাহাসি করে। যাইহোক তারপরে সুন্দরী খালা সেখান থেকে রেগে চলে যায়। কারণ সবাই এগুলো নিয়ে বিভিন্ন কথা বলছিল। এরপর দেখা যায় ডাক্তার আপার সামনে চেয়ারম্যান এবং মেম্বারের লোক দাঁড়িয়ে আছে লাঠি হাতে নিয়ে। আর ডাক্তার আপা যখন তাদেরকে পুলিশের ভয় দেখায়, তখন তারা ডাক্তার আপাকে শেষ করে দেওয়ার কথা বলে। যখনই তারা লাঠি দিয়ে ডাক্তার আপাকে মারতে যাবে, তখনই আসমানী গাছের আড়াল থেকে লুকিয়ে পুলিশের বাঁশি বাজায়। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

এভাবে আমরা দেখেছি নতুন একটা ফকির এসেছে ফকির গ্রামে। আর সেই ফকিরের নাম হচ্ছে আসমানী। চান্দু ফকির আসমানিকে অনেক ফকিরের সাথেই পরিচয় করে দিয়েছে। অন্যদিকে আবার মেম্বারের লোকদেরকে যখন পুলিশ গ্রেফতার করতে যাচ্ছিল, তখনই মেম্বার এবং চেয়ারম্যান ওখানে চলে আসে। আর পুলিশকে গ্রেফতার করতে দেয় না। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে ওয়ার্নিং দিয়ে চলে যায়। এই পর্বের শেষে আমরা এটা দেখতে পেয়েছি যে, ডাক্তার আপা যখন মেম্বারের লোকদের পুলিশের ভয় দেখাচ্ছিল, তখনই তারা ডাক্তার আপাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরে কি হবে এখন এটাই দেখতে হবে। আর আমি চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্বের রিভিউ খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার জন্য। আশা করছি সেই পর্যন্ত আপনার অপেক্ষায় থাকবেন।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক