ভ্রমণ :- পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

কিছুদিন আগে আমরা পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করি। আসলে আমার ভাইয়া বাইরে থেকে আসার পরে এই সিদ্ধান্তটা সবাই মিলে নিয়ে ছিল। তবে আসলে কোথায় ঘুরতে যাবে এটা সিলেক্ট করতেই অনেক বেশি সময় লেগে গেলো। যেহেতু অনেকগুলো মানুষ একসাথে যাবে তাই জন্য জায়গা সিলেক্ট করাটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই মিলে ঠিক করি মুসাপুর ঘুরতে যাবো। কারণ আমাদের আশেপাশে এর থেকে সুন্দর জায়গা আর কোথাও দেখতে পাচ্ছি না।

তবে ওইখানে গিয়ে আমরা আবার পিকনিকের মত খাওয়া দাওয়া করবো তার ইচ্ছে রয়েছে। তো আমাদের সবার যাওয়ার জন্য একটা মাইক্রোবাস ঠিক করলাম যাওয়ার জন্য। আমরা একেবারে সকাল সকাল সবাই মিলে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আসলে এটা মূলত আমাদের এদিকের বন্যার আগের ঘটনা। তো আমরা প্রায় এগারোটার মধ্যে পৌঁছে গেলাম। মুছাপুর যাওয়ার আর রাস্তাটা অনেক বেশি সুন্দর। যাওয়ার পথেই আমি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। আমরা সবাই মিলে গাড়ি থেকে নেমে একেবারে সরাসরি নিচের দিকে চলে গেলাম।

যেটা আসলে অনেক বড় একটা সমুদ্র। আর সমুদ্রের পাশেই আমরা সবাই ঠিক করলাম কিছুক্ষণ হাঁটবো। যেহেতু অনেকক্ষণ গাড়িতে ছিলাম সে জন্য এখানে এসে ভীষণ ভালোই লাগছিল। চারিদিক থেকে প্রচন্ড বাতাস ছিল। এইজন্য আরও বেশি ভালো লাগতেছে। আসলে গরমের মধ্যে বাতাস হলে বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বেশি ভালো লাগলো। তো আমরা এক দিক থেকে হাঁটতে হাঁটতে অন্য আরেকটা দিকে চলে আসলাম। এটা আসলে অনেক বড় একটা জায়গা। এক পাশে থেকে যখন হাঁটছিলাম তখন এর পাশেই পানি গুলো দেখতে খুবই অসাধারণ লাগছিল।

আসলে এখানে কিন্তু কাদা মাটি ছিল। আর আমরা সবাই জুতা খুলেই হাঁটছিলাম। কারণ এখানে জুতা পরে একদমই হাঁটা যাবে না। অনেকদিন পরে এরকম কাদা মাটিতে হাঁটতে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে বেশ খানিক হাঁটার পর আমরা দেখলাম উপরের অংশে অনেকটা পাহাড়ের মত জায়গা। সেখানে গিয়ে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে পড়লাম। এরপর একজন একজন করে উপরে ওঠা শুরু করলাম। উপরে উঠে যেন সবাই হাপিয়ে উঠেছে। এরপর সবাই মিলে সেখানে কিছুক্ষণ বসলাম। আর বসে আবার কিছু ফটোগ্রাফিও করে নিলাম।

এভাবেই আমরা সবাই বেশি ভালো সময় কাটিয়েছি। তবে এভাবে প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিল। তবে যতক্ষণ নিচে হেঁটেছি ততক্ষণ বেশ ভালো সময় কেটেছে। আবার এখানে ছিল অনেক বড় বড় নৌকা। আমি চেষ্টা করেছি নৌকাগুলোর ফটোগ্রাফি করার। তবে ওই যে বললাম আমরা বন্যার আগে গিয়েছিলাম এই জায়গায়। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে বন্যার পানিতে অনেক বড় ব্রিজ টা ভেঙে গেছে। এমনকি চারপাশ থেকে অনেক কিছুই ভেঙে পড়ে গেছে। যেগুলো আমরা আগে দেখেছিলাম। অনেক কিছুই নেই। এটা আসলে খুবই খারাপ লাগতেছে। তো আমরা সবাই দুপুরের সময় পিকনিকের মত করে খাবার খেয়েছি। যেই বিষয়টা আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি