রেসিপি :- সুজির বিরিয়ানি রেসিপি।

in hive-129948 •  4 days ago 

IMG20241107180610.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব সুজির বিরিয়ানি রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।

আজকের এই রেসিপিটা এর আগেও আমি কয়েকবার তৈরী করে চেয়েছিলাম। আসলে আমার কাছে মিষ্টি জাতীয় রেসিপি গুলো খুব একটা ভালো লাগেনা। তার জন্য আমি ঝাল দিয়ে সুজি রেসিপি টা তৈরি করলাম। ঝাল দিয়ে তৈরি করলে যে কোন রেসিপি খেতে আমার বেশি ভালো লাগে। তার উপরে আবার এভাবে তৈরি করলে খেতেও অনেক ভালো লাগে। আমি মূলত সন্ধ্যা বেলা নাস্তা হিসেবে এটা তৈরি করলাম। সন্ধ্যেবেলার নাস্তা এরকম রেসিপি বলে খেতেও বেশি ভালো লাগে। এই রেসিপিটা আমাদের ঘরের সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। তাই জন্য কখনো সুজি আনলে আমি রেসিপিটা তৈরি করি। আশা করি রেসিপি টা আপনাদের ভালো লাগবে।

তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG20241107180557.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ :

উপকরণপরিমাণ
সুজি২ কাপ
আলু২ টা
পেঁয়াজ কুচি১ কাপ
চিনি১ টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ কুচি২ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া২ টেবিল চামচ
লেবুর রস২ টেবিল চামচ
লবনপরিমাণমতো
তেলপরিমাণমতো

IMG_20241112_115219.jpg

রান্নার বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে আমি আলু গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিলাম।

IMG20241107172622.jpg

ধাপ - ২ :

এরপর আমি চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। উপরের মধ্যে সুজি গুলো দিয়ে দিলাম। এরপর সুজি গুলো নেড়েচেড়ে ঠেলে নিলাম। এরপরে ছেলে থেকে নামিয়ে নিলাম।

IMG_20241112_114754.jpg

ধাপ - ৩ :

এরপর আমি আবারো চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিলাম। এর পরের মধ্যে তেল দিয়ে দিলাম। এরপরের মধ্যে আলুর টুকরো গুলো দিয়ে দিলাম। এরমধ্যে সামান্য পরিমাণে হলুদ এবং লবণ দিয়ে দিলাম। এরপর কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম।

IMG_20241112_114812.jpg

ধাপ - ৪ :

এরপর আলুগুলো ভাজা হয়ে গেলে এক পাশে নিয়ে এর মধ্যে আবার পেঁয়াজকুচি এবং কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম। এভাবে ভেজে নিলাম।

IMG_20241112_114831.jpg

ধাপ - ৫ :

এরপরের মধ্যে সুজি গুলো দিয়ে দিলাম। এগুলো দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে নিলাম।

IMG_20241112_114842.jpg

ধাপ - ৬ :

এর পরের মধ্যে সামান্য পরিমাণে পানি মিশিয়ে নাড়তে থাকি। এরপর আবারো কিছুটা পানি মিশিয়ে নেড়ে নিলাম।

IMG_20241112_114853.jpg

ধাপ - ৭ :

এরপরে আমি এর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।

IMG_20241112_114917.jpg

শেষ ধাপ :

এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

IMG20241107180610.jpg

IMG20241107180551.jpg

IMG20241107180603.jpg

IMG20241107180604.jpg

IMG20241107180557.jpg

IMG20241107180615.jpg

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেসিপি
ডিভাইসRedmi note 9
ফটোগ্রাফার@tasonya
লোকেশনফেনী

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সুজি দিয়ে খুব সুন্দর বিরিয়ানি তৈরি করেছেন আপনি। এত সুন্দর ভাবে বিরিয়ানি তৈরি করতে দেখে যেন চোখ ফেরানো দায়। আশা করি অনেক লোভনীয় আর সুস্বাদু ছিল আপনার এই বিরিয়ানি।

আসলে এরকম ইউনিক কিছু দেখলে সবারই লোভ লাগে।

সুজির বিরিয়ানি হয় এটা আপনার পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। তবে এরকম জিনিস গুলো মিষ্টি হওয়া থেকে ঝাল হলেই কিন্তু বেশি ভালো লাগে। মোটকথা আমিও আপনার মতই ঝাল প্রেমী মানুষ। ঝাল ঝাল করে সুজির চমৎকার একটি বিরিয়ানি তৈরি করেছেন। যেহেতু এটি একটি ইউনিক রেসিপি তাই অবশ্যই আপনার রেসিপি প্রসেস এবং বর্ণনা গুলি অনুসরণ করে বাসায় তৈরি করে খেয়ে নিব।

এটা একদিন তৈরি করে দেখবেন খেতে ভালো লাগবে।

এই সময় কেন যে এখন তোমার রেসিপি টা দেখলাম। এই সময়টাতে কিন্তু এরকম একটা লোভনীয় রেসিপি পেলে মজা করে খেতে পারতাম। এই রেসিপিটা খেতে আমি এত পছন্দ করি যে দেখলে জিভে জল চলে আসে। তেমনি তোমার তৈরি করা রেসিপি দেখে ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলি। খুবই মজাদার ভাবে তৈরি করেছ, এটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আর অনেক মজা করে খেয়েছিলাম সবাই মিলে। এক কথায় দুর্দান্ত হয়েছে তোমার তৈরি করা আজকের রেসিপি।

আমার নিজেরও এখনো খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে সবাই অনেক মজা করে খেয়েছি।

অসাধারণ সুন্দর হয়েছে আপু আপনার সুজির বিরিয়ানি রেসিপিটি।রেসিপিটি খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার ছিলো।রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।

সুন্দর করে ভাগ করে নিলাম যেন আপনারা চাইলে এই বিরিয়ানি টা তৈরি করতে পারেন।

সুজির বিরিয়ানি রান্না করা যায় আমার জানা ছিল না। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেখে গেল।মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

কি বলেন আপু অনেক বেশি মজা হয়েছিল এই সুজির বিরিয়ানি।

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে ইউনিক পদ্ধতিতে সুজির বিরিয়ানি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো আপু আমাকে দাওয়াত দিতে পারতেন। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আসলে জিভে জল চলে আসার মতই ছিল। পরবর্তীতে তৈরি করলে অবশ্যই দাওয়াত দিবো।

আরিব্বাস। দারুন সুন্দর ভাবে সুজির বিরিয়ানি বানিয়ে ফেললেন তো। এমনি বিরিয়ানি প্রচুর খাই। কিন্তু সুজির বিরিয়ানি কখনো খেয়ে দেখিনি। আপনার রেসিপি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করলো। দেখি খুব তাড়াতাড়ি একদিন ব্রেকফাস্ট বানিয়ে ফেলবো। তারপর আপনাকে রিপোর্ট দেবো যে কেমন খেলাম। আপনি দারুণ সুন্দর একটি আনকমন রেসিপি শেয়ার করেছেন।

অবশ্যই দাদা বানিয়ে ফেলুন। দেখবেন এটার ফ্যান হয়ে যাবেন।

সুজির বিরিয়ানি রেসিপি খুবই ভালো লেগেছে আপু। নতুন ধরনের একটি রেসিপি দেখলাম। এভাবে কখনো বাসায় রান্না করা হয়নি। অবশ্যই একদিন বাসায় রান্না করতে বলব। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এটা অনেক ইউনিক তবে খেতে খুব মজা।

সুজির বিরিয়ানি রেসিপি সত্যিই দারুন হয়েছে আপু। সুজি দিয়ে যে বিরিয়ানি তৈরি করা যায় আগে জানতাম না। আর এত মজার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। কোন একদিন সময় পেলে অবশ্যই এই রেসিপি তৈরি করবো।

হ্যাঁ অনেক বেশি দারুণ হয়েছিল এই বিরিয়ানী টা।

আপনার কাছ থেকে এই প্রথম সুজি দিয়ে বিরিয়ানি রেসিপি দেখেছি। বিরিয়ানির রেসিপি দেখতে খুবই কালারফুল হয়েছে। বিরিয়ানির রেসিপি আশা করি খেতে খুবই ভালো লাগছিল। এরকম ইউনিক কিছু তৈরি করে খেতে খুবই ভালো লাগে পরিবারের সবাইকে নিয়ে।

দেখতে যেমন লাগছে খেতেও ভালো লেগেছিল।

জীবনে অনেকবার বিরিয়ানি খেয়েছি কিন্তু এভাবে কোনদিন সুজির বিরিয়ানি খাওয়া হয়নি। জানিনা কতটা সুস্বাদু আর খাওয়ার মত ছিল। তবে দেখে যা বুঝতে পারলাম অনেক টেস্ট হয়েছে।

এই বিরিয়ানি টা যেহেতু খাওয়া হয়নি অবশ্যই খেয়ে দেখবেন।

আপু আপনার কাছ থেকে ভিন্ন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। এভাবে সুজি দিয়ে যে বিরিয়ানি তৈরি করা যায় তা কখনো জানা ছিল না। আপনার উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবো। সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে এমন মজাদার খাবার খেতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপু ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

সন্ধ্যাবেলায় বেশ মজা করে খাওয়া যাবে।

সুজির বিরিয়ানি নাম দেখে চমকে গেলাম। ভাবছি সুজিরও বিরিয়ানি হয়? তা হতেই পারে আজকাল যেভাবে ফিউরান দেশ বানানো হয়। তারপর রেসিপিটি পুরো দেখে পড়ে যা বুঝলাম তাহলে আমাদের দেশের ঝাল সুজি বা ঝুরো সুজি হল আপনার সুজির বিরিয়ানি। আপনি কখনো এই রান্নাটাতে আদা কুচি এবং কারি পাতা শুরুতেই পেঁয়াজ ভাজার সময় দিয়ে ভাজবেন এবং তার পরে বাকিটা রান্না করবেন দেখবে না আরো অন্যরকম লাগছে খেতে।

এরকম ভাবে অবশ্যই করে দেখব। খেতে আশা করি ভালো লাগবে।

আপনার হাতে তৈরি করা রেসিপি গুলো দেখলেই বোঝা যায়, আপনি রেসিপি তৈরি করতে বেশ পারদর্শী। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সুজির বিরিয়ানি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা সুজির বিরিয়ানি রেসিপি টি দেখে লোভ লেগে আপু। আপনি বেশ দারুন ভাবে রেসিপি টি তৈরি সম্পন্ন করেছেন।

বিভিন্ন রকম রেসিপি তৈরি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর এরকম ইউনিক রেসিপিগুলো একটু বেশি ভালো লাগে।

প্রথম শুনলাম এই রেসিপিটির নাম, দেখে অবশ্য বেশ স্বাদের কিছু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আইডিয়াটি নোট রাখলাম হি হি হি। ধন্যবাদ

ভালোই করেছেন নোট করে, ভাবিকে বলবেন তৈরি করে খাওয়াতে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

কথায় আছে না তেল মসলা দিয়ে যে কোনো খাবার রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। আপনি দেখছি সুজি দিয়ে মজাদার খিচুড়ি তৈরি করে ফেলেছেন আপু। দেখে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। এটা খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অবশ্যই সময় করে একদিন বাসায় তৈরি করে ফেলব সুজির এই মজাদার খিচুড়ি রেসিপি। ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।