নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৩১ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৩১ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফকির গ্রাম।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারী	জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্ট	সুলাইমান
অভিনয়ে	আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালক	কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনা	অনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনা	জুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই মানিক ফকির ঘরের সামনে বসে রয়েছে। আর রতন এসে তার সাথে যখন কথা বলছিল, সে অনেক মন খারাপ করেছিল। তখন সেখানে চম্মন আসে। আর বলে তাকে সে বিয়ে করবে। আর এখনই যেন মানিক তাকে বিয়ে করে। কিন্তু মানিক তাকে বাড়িতে চলে যেতে বলে। কিন্তু চম্মন মানিকের ঘরে চলে যায়। এরপর দেখা যায় ঝুমা ঘরের বাহিরে বসে রয়েছে। আর তখনই সেখানে প্রিন্সের বন্ধু আসে। আর ঝুমাকে একটা চকলেট দেয়। আর তার সাথে লাইন মারার চেষ্টা করে। এরপর বলে প্রিন্স কোথায়। এরপর ঝুমা প্রিন্সকে ডেকে দেয়। আর প্রিন্স তার বন্ধুকে নিয়ে চলে যায়, কারণ আজকে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে তারা আড্ডা দেবে। এরপর দেখা যায় চান্দুর দোকানে সায়েম এবং তার বউ এসেছে। আর তার বউ চকলেট খেতে চাইলে সায়েম চান্দুকে বলে তার বউকে দুইটা চকলেট দেওয়ার জন্য।

এরপর চান্দু তার কাছে টাকা চাইলে সায়েম বলে বাকির খাতায় যেন টাকা লিখে রাখে পরে দিয়ে দিবে। এভাবে তারা ও টাকা না দিয়ে চলে যায়। তারপর চান্দু আবারো মন খারাপ করে বসে থাকে। এরপর দেখা যায় চেয়ারম্যান বেলকনিতে বসে রয়েছে। আর তখন চেয়ারম্যানের জন্য ফুলি চা নিয়ে আসে। আর প্রিন্সের ব্যাপারে তার কাছে প্যাচ লাগিয়ে দেয়। বলে জোনাকিকে নাকি প্রিন্স ডিস্টার্ব করে। এটা শুনে চেয়ারম্যান অনেক রেগে যায়। এরপর বলে মেম্বারের সাথে নাকি সে কথা বলবে। এ বিষয়ে প্যাচ লাগিয়ে দিয়ে তো ফুলি অনেক খুশি হয়ে যায়। তারপরে দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ ভিক্ষা করছিল। আর অন্যদিকে চম্মনের বাবা চম্মনকে খুঁজতে ছিল। এরপর চম্মনের বাবা তাদের দুজনকে চম্মনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করে।

আরো বিভিন্ন রকম কথা হয় তাদের মধ্যে। তারপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। মেম্বার নিজের বাড়ির সামনে পাইচারি করছিল, আর প্রিন্সকে নিয়ে ভাবছিল। তখন প্রিন্সের মা এসে মেম্বারকে বলে প্রিন্স নাকি ফকিরদের প্রতি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। সে নাকি সুন্দরী এবং তার ছেলের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। এটা শুনে তো প্রিন্সের বাবা অনেক চিন্তা করতে থাকে টেনশন করে। এরপর দেখা যায় রতন মানিকের বাড়িতেই চম্মনের সাথে বসে বসে সবজি কাটছিল। আর তারা বিভিন্ন রকম কথা বলছিল। তারপর সেখানে মানিক আসে। আর চম্মনকে বলে যেন সে বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু চম্মন যেতেই রাজি হয় না। তবে মানিক তাকে অনেক ধরনের কথা বলে যেন সে বাড়িতে চলে যায়। রতন মানিককে বোঝানোর চেষ্টা করলেও মানিক বোঝেনা। এরপর দেখা যায় চম্মনের বাবা তাকে খুঁজতেছে।

আর তখনই আকাশ এবং তার বোনের সাথে উনার দেখা হয়। তখন চম্মনের বাবা তাদের দুজনকে সবকিছু খুলে বলে। এরপর আকাশও চম্মন কে খুঁজা শুরু করে। তারপর দেখা যায় চান্দুর দোকানে মর্জিনা এসেছে। এরপর চান্দু তাকে সবকিছুই খুলে বলে। সবাই এসে বাকিতে নিয়ে যাচ্ছে এগুলো বলে। তারপর মর্জিনা বলে ঠিক আছে আমি আপনার থেকে টাকা দিয়েই কিনবো। সে একটা চকলেট নিলে টাকা দিতে চাইলে চান্দু তার থেকে টাকা নিতে চায় না। এরপর সেখানে কাদের ফকির আসে। আর মর্জিনা সেখান থেকে চলে যায়। তাদের এসে চান্দুর সাথে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এরপর কাদের ফকির চান্দুর দোকান থেকে একটা চিপস ছিড়ে নিয়ে দৌড়ে চলে যায়। তারপর দেখা যায় সুতা এবং তার বন্ধুরা একটা জায়গায় বসে রয়েছে। আর নিজেদের ব্যবসা নিয়ে কথা বলতে থাকে।

তখন সেখানে তাদের আরো একজন লোক মানে চেয়ারম্যানের চামচা আসে। আর তাদের কাছে আরো মাল চায় বিক্রি করার জন্য। এরপর তারা তখন সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ বসে বসে কথা বলছিল। আর তখনই সেখানে সুন্দরী খালা আসে। আর তাদেরকে বলে চম্মন নাকি মানিকের বাড়িতে গিয়ে সংসার পেতেছে। এইসব কথা শুনে তো সায়েমের মাথা গরম হয়ে যায়। আর সে মানিককে মারার জন্য বেরিয়ে পড়ে। যখনই মানিকের বাড়িতে সায়েম আসে তখন এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। এর পরবর্তী পর্বে কি হয় এখন এটাই দেখতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি আমি পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

ব্যক্তিগত মতামত

এই পর্বে আমরা এই বিষয়টা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারি যে, প্রিন্স ফকিরদের প্রতি অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আর এটার জন্য তার বাবা-মা দুজনেই অনেক চিন্তিত। আমার তো মনে হয় সুন্দরী খালাকে নিয়ে কোন কিছু গন্ডগোল রয়েছে। তাদের মধ্যে আসলে কি সম্পর্ক এটা আস্তে আস্তে আমরা জানতে পারবো। এই পর্বে আমরা আরো দেখেছি চম্মনকে তার বাবা বিদেশি ছেলের সাথে বিয়ে দিচ্ছে বলে, সে মানিকের বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু মানিক তাকে বিয়ে করতে রাজি হয় না এই মুহূর্তে। কারণ সায়েম ফকির এই বিষয়ে জানতে পারলে যে কোন কিছু করে ফেলতে পারে। আর শেষে ঠিক এরকমটাই হয়েছে। সায়েম জেনে গিয়েছে আর এখন তার বাড়িতে এসেছে। আর তখন এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। আশা করছি আপনারা পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকবেন।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক