ভ্রমণ :- ফেনী জেলা পরিষদ শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত ( শেষ পর্ব )

in hive-129948 •  last month 

IMG-20241101-WA0038.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

এর আগে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা কিছুটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে চলে আসলাম শেষের পর্ব নিয়ে। আসলে এই শিশু পার্কের ভেতরে অনেক কিছুই ছিল। তার জন্য একটু আলাদা আলাদা ভাবে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। গত পর্বে তো বানরের বিষয়টা শেয়ার করেছিলাম। এখানে আরও একটা স্লিপার ছিল যেটায় দুই দিকে দুইজন বসে তারপর উঠে থাকে। কিন্তু না সে এত এটা দেখেই দৌড়ে গেল উঠতে। তবে সে তো একা এটাতে উঠতে পারবে না। তাই জন্য ওর আব্বু অন্য পাশে হাত দিয়ে ধরে রেখেছিল। তারপর সে সুন্দরভাবে উঠে বসতে পেরেছে।

IMG-20241101-WA0062.jpg

IMG-20241101-WA0046.jpg

আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে নাশিয়ার থেকে বেশি খুশি মনে হয় আর কেউ হয় না। নাকি সব বাচ্চারাই এরকম আসলে বুঝতে পারছি না। তো এটাতে কিছুক্ষণ বসে বেশি ভালোই মজা নিচ্ছিল। ও তো একেবারে জুতা ফেলে খালি পায়ে দৌড়ানো শুরু করেছে। ওর আব্বু বলতেছে মাটিতে পা দেওয়া ভালো। তাই আর কিছু বলল না। এরপর দেখলাম আর একটু সামনের দিকে একটা বিমানের মত রাইড ছিল। সে তো এখান থেকে ধরে আবার চলে গেল ওইটাতে উঠবে বলে। তারপর ওর আব্বু ওকে ওই রাইডে উঠিয়ে দিল।

IMG-20241101-WA0042.jpg

IMG-20241101-WA0044.jpg

তবে এটা কিন্তু চলছিল না। উঠে বসেই যা মজা নিতে পারে নিল। কিন্তু এটা কিছুটা উপরে হওয়ার কারণে দেখতেও বেশ মজাই লাগতেছিল। আসলে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন পরিবেশটাও বেশ সুন্দর আর ঠান্ডা ছিল। তার জন্য মূলত একটু বেশি ভালো লেগেছে। তাছাড়া আবার মানুষজনের আনাগোনা খুবই কম ছিল। তাই জন্য এত দৌড়াদৌড়ি করতে পেরেছে। ওই বিমানের মত রাইডে উঠে সে তো একেবারে খুশি। ওর জন্য একেবারে আমাদেরও মাথা খারাপ হয়ে গেল। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। তবে ওর আনন্দ দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে।

IMG-20241101-WA0037.jpg

IMG-20241101-WA0039.jpg

এখান থেকে আবার নেমে চলে গেল আর একটা জায়গায়। সেখানে ছিল একটা ট্রেন চলার মত রাস্তা। তবে ওইখানে ট্রেনে ওঠার কোন সুযোগ ছিল না। তাই জন্য কিছুক্ষণ ওই রাস্তার মধ্যেই দৌড়াদৌড়ি করছিল। মানে কোনভাবেই সে একটু স্থির হয়ে দাঁড়াচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন সব আনন্দ ওর একারই হচ্ছে। আবার মাঝে মাঝে ছবি তুলবে বললে একটা পোজ দিচ্ছে। তবে সেটা কিন্তু একেবারে সুন্দর ভাবে দাঁড়িয়ে নয়। ছোটো ছুটি করার মধ্যেই দিচ্ছে। তাই জন্য একটা ছবিও সুন্দরভাবে তোলা হয়নি।

IMG-20241101-WA0043.jpg

IMG-20241101-WA0063.jpg

তবে এখানে আবার খুব সুন্দর বসার জায়গা তৈরি করেছে যেগুলো দেখতে গাছের মতো। আমরা নিজেরাও কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। তো ওই জায়গাটাতে গিয়ে যখন নাশিয়া ছবি তুলতে বললাম। সে একটু দাঁড়িয়ে ছিল। তখন একটা ছবি তুলেছিলাম। ছবিটা কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। এরপরে এখান থেকে চলে গেল একটা বড় নৌকার কাছে। যদিও নৌকাটা চলছিল না। কিন্তু ওকে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বলছিল। সেখানে উঠে কিছুক্ষণ মজা নিচ্ছিল। এই যে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে আমাদের এই অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল। তো সবকিছুতে ওঠা শেষ হলে ভাবলাম এখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। তবে সময়টা বেশ ভালই কেটেছে। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Screenshot_2024-11-30-09-43-47-57_0b2fce7a16bf2b728d6ffa28c8d60efb.jpg

Screenshot_2024-11-30-09-55-03-67_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2024-11-30-09-59-00-70_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

বাচ্চারা সব সময় বাইরে বের হতে পারলে এবং ঘুরাঘুরি করতে পারলে অনেক বেশি আনন্দ পায়। নিভৃত অনেক বেশি আনন্দিত হয় যখন ওকে নিয়ে কোথাও বাইরে বের হওয়া যায়। নাশিয়া তো দেখছি বেশ অনেক খুশি হয়েছে পার্কে ঘোরাঘুরি করে। এত সুন্দর মুহূর্তটা পড়তে পেরে বেশ ভালো লাগলো আপু।

আমার মেয়ে এরকম জায়গাগুলো খুব পছন্দ করে। তাই তাকে নিয়ে প্রায় সময় যাওয়া হয়।

শিশু পার্কে অনেক ধরনের রাইড এর ব্যবস্থা আছে দেখছি। নাশিয়া ভীষণ আনন্দ করেছে এত সব ধরনের রাইডে চেপে। এই শিশু পার্কের ছবি দেখে মনে হচ্ছে পার্কটি বেশ বড় এবং সাজানো গোছানো। এমন সুন্দর শিশু পার্কে কিছু সময় ঘুরলে বড়দেরও মন ভালো হয়ে যায়।

হ্যাঁ পার্ক টা অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো ছিল। আমার মেয়ে অনেক আনন্দ করেছে।

আপু আপনি ফেনী জেলার শিশু পার্ক এ ঘুরতে যেয়ে অনেকগুলো পর্ব শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা বেশ কয়েকটি পর্ব পড়েছি আমি। মেয়েকে নিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলেন পার্কের মধ্যে। বাচ্চাদেরকে নিয়ে মাঝেমধ্যে এমন সময় গুলো পার করতে হয়। অনেক ভালো লেগেছে আপনার আজকের শেষ পর্বটি পড়ে।

আমার মেয়ে তো বিভিন্ন রাইড এ উঠতে পেরে বেশি আনন্দিত হয়েছে।

আপনার ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে সত্যিই মনে হলো যেন পার্কের পরিবেশটি সরাসরি অনুভব করছি। নাশিয়ার দৌড়াদৌড়ি আর আনন্দে মেতে ওঠার বিবরণটি ভালো লেগেছে, এমন মুহূর্তগুলো পরিবারের সঙ্গে কাটানো সত্যিই মূল্যবান। আপনার লেখা এবং ছবি দেখে পার্কটি ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহ আরও বেড়ে গেল। ধন্যবাদ এত সুন্দরভাবে অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করার জন্য!

আমি চেষ্টা করলাম সুন্দর এই মুহূর্তটাকে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনি সুন্দর করে পোস্টটা পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো।