ভ্রমণ :- চট্টগ্রাম গুলিয়াখালি ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ( পর্ব ২ )

in hive-129948 •  23 days ago 

IMG-20241206-WA0053.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

গত পর্বে কিছুটা মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবার চলে আসলাম এর পরের মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে। আসলে এই জায়গার প্রাকৃতিক পরিবেশটা অনেক বেশি সুন্দর। তবে ওই যে বললাম এখানে কিন্তু সমুদ্র ছিল। সমুদ্রের এপার থেকে কিন্তু ওই পাড়ের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এখানে কিন্তু অনেক বড় কয়েকটা স্পিডবোর্ড ছিল। তো সবাই স্পিডবোর্ডে একটু ঘুরতে চাইল। এইজন্য একটা লোকের সাথে কথা বলে ঠিক করা হয়েছে। আমাদের সবাইকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে। কিন্তু স্পিড বোর্ডের চালক একটা ছেলে ছিল।

IMG-20241206-WA0046.jpg

IMG-20241206-WA0052.jpg

যার কথা আমার একদম ভালো লাগেনি। মানে কেমন জানি একটা কথা বলছিল। আমাদের একজন ভাই আসতে দুই মিনিট দেরি হচ্ছিল। তবে লোকটা এক মিনিটও অপেক্ষা করতে রাজি নয়। এটা তো হতেই পারে একটু দেরি। লোকটার ব্যবহার আমার খুব খারাপ লেগেছে। পরবর্তীতে ভাইয়া বলল আপনার দেরি হলে আপনি চলে যেতে পারেন। সেখানে আবার একটা বয়স্ক লোক ছিল। ওই লোকটা বলল না না অসুবিধা নেই আপনারা যান। পরবর্তীতে আমরা সবাই মিলে উঠলাম। সত্যি এটাতে উঠে খুব বেশি ভালো লাগতেছিল। যদিও অনেক বেশি রোদ ছিল।

রোদের দিকে একদমই তাকাতে পারছিলাম না। ‌‌ তবে চারপাশের পরিবেশটা অনেক বেশি উপভোগ করছিলাম। পরবর্তীতে আপনাদের ভাইয়া দাঁড়িয়ে চারপাশের জায়গাটা উপভোগ করছিল। পানি গুলো অনেক বেশি দারুন লাগছিল দেখতে। তারপর আমাকেও দাড়াতে বলল । দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগতেছিল। মনে হচ্ছিল যেন সকল কাজকর্মের কথা বলেই গেলাম। তবে বেশ খানিকটা দূরে যাওয়ার পর দেখলাম অনেকগুলো গাছ নিয়ে একটা বাগান রয়েছে সেখানে। যদিও নিচের অংশে শুধু পানি আর পানি।

IMG-20241206-WA0051.jpg

IMG-20241206-WA0048.jpg

এই গাছের মধ্যে দেখলাম সাদা সাদা অনেকগুলো বক বসে আছে। বকগুলো যখন উড়ে বেড়াচ্ছিল তখন দেখতে ভালো লাগতেছে। তবে এগুলো উড়ে যাওয়ার কারণে ছবি তুলতে পারিনি। তবে আমার ইচ্ছে করেছিল বক গুলোর ছবি তুলতে। যতদূর পর্যন্ত যাচ্ছিলাম জায়গাটা আরো বেশি সুন্দর লাগছিল। সত্যি বলতে স্পিডবোর্ডে ওঠার মজাই আলাদা। সমুদ্র আমার অনেক বেশি পছন্দের। তাই জন্য বেশিরভাগ সময় সমুদ্রে ঘুরতে যাওয়া হয়। পাহাড় খুব একটা পছন্দ নয়। কারণ হচ্ছে পাহাড়ে উঠতে উঠতেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

IMG-20241206-WA0057.jpg

এই প্রথমবার আমি দাঁড়িয়ে স্পিডবোর্ডে চারপাশের পরিবেশটা উপভোগ করলাম। যদিও এর আগে স্পিডবোরে উঠেছিলাম কিন্তু এরকম দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে পারেনি। সময়টা সত্যিই অনেক বেশি দারুন ছিল। আমি মনে করি এটা অনেক ভালোলাগার একটি বিষয়। আমাদেরকে অনেকটা দূর পর্যন্ত নিয়ে তারপর আবারো একই রকম ভাবে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে আসলো। তো আমরা সবাই আবারও সেখান থেকে নেমে গেলাম। এরপরে কিন্তু এখানে আরো অনেক বেশি মজা হয়েছে। এ বিষয়গুলো পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো
আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

IMG-20241206-WA0054.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঘুরতে আমিও খুব ভালোবাসি। তাই এখানের ভ্রমণপোস্টগুলো খুব উপভোগ করি। আপনার পোস্টে গুলিয়াখালির ছবিগুলো খুবই চমৎকার হয়েছে। বোটের ড্রাইভারগুলো মোটামুটি এরকমই হয়। সামান্য দেরীতেও হাজার বিরক্তি। যেন যত তাড়াতাড়ি পারে এক ব্যাচ ছাড়লেই শান্তি।

ঘুরতে আপনিও অনেক বেশি ভালোবাসেন শুনে খুশি হলাম।

চট্টগ্রাম গুলিয়াখালি ঘুরতে যাওয়া দ্বিতীয় পর্বটি অসাধারণ ছিল আপু। এরকম করার উদ্দীনের মধ্যে স্পিডবোর্ডে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লেগেছিল মনে হচ্ছে পানির মধ্যে। তবে আপনি স্পিডবোর্ডে দাঁড়িয়ে অনেক সুন্দর সময় অনুভব করেছেন। আমি এখন চড়ে ছিলাম তবে তাড়ানোর সাহস হয়নি।

আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল ঘুরতে।

চট্টগ্রাম গুলিয়াখালি ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। পরিবারের সবার সাথে ঘুরতে যেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর দারুনভাবে সময়টা উপভোগ করা যায়। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমণ পোস্ট দেখে।

সময়টা খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছিলাম।

চট্টগ্রাম এর গুলিয়াখালি জায়গাটা এখন ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য একটি প্রিয় জায়গা। বেশ সুন্দর দেখতে। আপনি আপনার পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর মজাই অন্য রকম। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর মহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

এখানকার সৌন্দর্য খুবই দারুণ। যার কারণে খুব ভালো লেগেছে ঘুরাঘুরি করতে।

আপু আপনাদের চট্টগ্রাম গুলিয়াখালি ঘুরতে যাওয়ার মূহুর্ত দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু ঘুরতে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর যদি এমন সুন্দর জায়গা হয় তাহলে তো কথায় নেই। আপনারা নিশ্চয় অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

সত্যি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি আপু।

বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে পারলে সত্যি খুব ভালো লাগে। ঠিক তেমনি অসাধারণ একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। চট্টগ্রামের এই সুন্দর স্থানটা আমি কখনোই দেখি নাই। আজকে আপনারা সেখানে ঘুরতে গেছেন বলেই দেখার সুযোগ মিললো আমার। আপনাদের যাত্রা শুভ হোক।

ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা সবার মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করতে পেরে ভালো লেগেছে।

Screenshot_2024-12-22-17-30-52-81_0b2fce7a16bf2b728d6ffa28c8d60efb.jpg

Screenshot_2024-12-21-22-43-58-06_23bb9e0ea952186c441897efdc323bdd.jpg

চট্টগ্রাম গুলিয়াখালি অনেক ভালো সময় কাটানো হয়েছিল । আর আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল ঘুরাঘুরি করতে। তুমি আজকে অনেক সুন্দর করে ঘুরাঘুরি করার দ্বিতীয় পর্ব সবার মাঝে শেয়ার করেছো। আমার তো দিনটার কথা এখনো পর্যন্ত মনে পড়ছে। এরকম জায়গা গুলোতে মাঝেমধ্যে গেলে খুব ভালোই লাগে।

আজকে দ্বিতীয় পর্ব টা শেয়ার করার চেষ্টা করলাম সবার মাঝে।

ঘোরাঘুরি করতে আমার বেশ ভালো লাগে। তবে আমার ছেলেটা আপু ভীষণ দুষ্ট। ওকে নিয়ে দূরে কোথাও জার্নি করতে ভীষণ ভয় করে। এই যেমন আপনার মেয়ে অনেক সুন্দর ভাবে দাঁড়িয়ে প্রকৃতি দেখছে কিন্তু আমার ছেলে লাফ দিতে চাইত। পানি দেখলে একটুও ভয় পায় না। ও ভাবে এটাতে সুইমিং করা যাবে।মা মেয়েকে অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপু ঘোরাঘুরির সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।