হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আবারো চলে আসলাম আপনাদের মাঝে হাজবেন্ডের জন্মদিনের শেষ পর্ব নিয়ে। আসলে আয়োজনটা বেশ বড়ই ছিল তাই জন্য মূলত এত পর্ব করা। কারণ একসাথে সবগুলো বিষয় আসলে শেয়ার করা সম্ভব নয়। তো আমরা সেদিন সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ রেস্ট নিচ্ছিলাম। মানে নিজেদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা বলছিলাম। তো কথা বলা শেষ হলে এরপরে আমরা ভাবলাম বার্থডে বয় আমাদেরকে এত বড় ট্রিট দিল কিন্তু তাকে যদি গিফট না দিই তাহলে কি হবে। আসলে আমি আমার গিফট বক্সটা আগে থেকেই এনে রেখেছিলাম।
তবে ওই যে বললাম এর আগে ওর সকল জন্মদিনে ওকে কিছু দিলে সেটা ওর সাথে গিয়েই কিনেছি। কিন্তু এবার একটু সারপ্রাইজ রেখেছিলাম। তবে গিফট কেনার জন্য ওর থেকেই টাকা নিয়েছি হা হা। আসলে আমাদের সব টাকা তো একই তাই। এমনিতে সে আন্দাজ করতে পেরেছিল আমি কিছু কিনবো। কিন্তু কে কিনবো সেটা বলেনি। হয়তো আমার গিফট গুলো খুলে একটু বেশি সারপ্রাইজ হবে। কারণ জিনিসগুলো সারপ্রাইজ না হলেও যেখান থেকে কিনেছি জায়গার কথা শুনেই সারপ্রাইজ হবে। আসলে গিফটের জিনিসগুলো সবগুলো আমি নিজের হাতে কিনিনি।
সবগুলো কেন বলছি কারণ হচ্ছে আমি কয়েকটা জিনিস কিনেছিলাম শুধুমাত্র একটা নয়। আসলে ওর জিনিসপত্রগুলো সব সময় কম্ফোর্টেবল ভাবে পাওয়া যায় না। তাই জন্য এখন ফেনীতে একটা শোরুম আছে সেখান থেকেই কিনে। তবে ও ভাবতে পারেনি যে আমি সেখান থেকেই কিনবো। তো আপনাদেরকে বলে দি আমি ওর জন্য কি কি কিনেছিলাম। ওর যে জিনিসপত্র গুলো কাজে লাগবে সেগুলোই আমি মূলত কিনেছি। কারণ আন্দাজে কোন গিফট দিয়ে লাভ নেই। যেগুলো ব্যবহার করতে পারবে সেগুলোই কেনাটা বেটার।
তাই জন্য আমি একটা টিশার্ট, একটা প্যান্ট, এক জোড়া জুতা , একটা বেল্ট, একটা ওয়ালেট, ঘরে পড়ার জন্য দুইটা লুঙ্গি এইতো এসব কিছুই কিনেছিলাম। এই সবকিছুই কিনেছিলাম। আর সবকিছু একটা বক্সে করে রেপিং করেছি। তাই জন্য আমার গেট বক্স টা একটু বড় হয়ে গেছিল। তো এরপর আমরা সবাই ভাবলাম একে একে গিফট দিয়ে ছবি তুলি। তো সবার আগে আমি চলে গেলাম গিফট বক্স দিতে। তবে এত বড় গিফট বক্স দিতে আমার কেন জানি না হাসি পাচ্ছিল। তো আমরা বেশ কয়েকজন একজন একজন করে গিফট দিয়েছিলাম।
গিফট গুলো দিতেও আবার সবার ছবি তুলেছিলাম। তো এই মুহূর্তটাও কিন্তু বেশ এনজয় করেছি আমরা। তবে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল আসলে সেদিনের মুহূর্তটা। তো সবার দেখতে দেওয়া শেষ হয়ে গেলে, আমরা কয়েকজন মিলে একসাথে একটা সেলফি তুললাম। তবে এখানে আরো কয়েকজন ছিল না সবাই এর আগে বেরিয়ে গিয়েছিল। তো সবাই মিলে সেদিনের মুহূর্তটা অনেক বেশি এনজয় করেছি। এরকম মুহূর্ত কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তো এরপর আমরা সবাই রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আবারো গাড়ি করে গাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারো আসবো নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1860315906565636401?t=gfdRi2Kj2S-bDFe-wiREKg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার গিফট বক্সটা তো আসলেই অনেক বড়। অনেক কিছু গিফট দিয়েছেন ভাইয়াকে। কাচ্চি ডাইনে কাটানো শেষ পর্ব দেখে ভালো লাগলো। এটা ঠিক বলেছেন যেটা দরকার সেই জিনিসটা গিফট দিলেই ভালো হয়। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়ার জন্মদিন উপলক্ষে আপনারা বেশ অনেকেই অনেক আনন্দ করেছেন দেখেছি। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার বিষয় ছিল একত্রিত হয়েছেন অনেক ব্লগার। আবারো ফিরে আসুক এমন আনন্দের দিন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit