নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৫৮ )

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৫৮ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফকির গ্রাম।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারী	জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্ট	সুলাইমান
অভিনয়ে	আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালক	কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনা	অনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনা	জুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, সায়েম আর তার বউ ঘরে বাইরে বসে ছিল। আর তখনই ওখানে কাদের ফকির দৌড়ে আসে। আর কাদের ফকির সায়েম কে সবকিছুই খুলে বলে। সায়েম তো পুলিশের কথা শুনে অনেক বেশি ভয় পেয়ে যায়। তারা যখন কথা বলছিল, তখন ওখানে তারা পুলিশের বাঁশির আওয়াজ শুনে। আর তারা ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আসলে আসমানী বাঁশি বাজিয়ে ছিল তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য। এরপর সায়েমের বউয়ের সাথে এসে কথা বলছিল। আর চান্দুর জন্য রান্না করে খাবার নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। আর তারা দুজন একসাথে রান্না করার জন্য চলে যায়।

তারপরে রতন কে দেখতে পাই ঘরের বাইরে বসে বসে খাবার খাচ্ছিল। তখনই ওখানে রবি এসে তার কাছ থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে খাবার খাওয়া শুরু করে। আর তখনই ওখানে পুলিশ চলে আসে। আর তাকে তাড়া করে, তখন সে আবারো ওখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর আমরা চান্দু ফকির আর মর্জিনাকে দেখতে পাই রাস্তা দিয়ে আসছিল। তখনই ওদের সাথে সুন্দরী খালার দেখা হয়। এক পর্যায়ে তো মর্জিনার সাথে সুন্দরী খালার ঝগড়া হয়। এরপর সুন্দরী খালা ওখান থেকে চলে যায়। তারপরে মানিক ফকিরকে দেখি চম্মনের শশুর বাড়িতে এসেছে, আর বৃদ্ধ চাচ্ছে। তখনই চম্মন ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। আর তারা কথা বলার সময় বিদেশি আকাশ আর তার বোন চলে আসে।

তখন ওদেরকে বিভিন্ন রকম কথা বলতে থাকে। তারপর মানিক ওখান থেকে চলে যায়, আর কখনো এই বাড়িতে আসবে না বলে। তারপর আমরা সায়েম ফকির আর তার বউকে দেখি ভিক্ষা করছিল। আর গতকাল রাতের পুলিশের বিষয়টা নিয়ে তারা কথা বলে। তখন সায়েম পালানোর জন্য তার ভাইরা ভাইয়ের বাড়িটাই সিলেক্ট করে। আর ওখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। তারপরে প্রিন্স আর আসমানিকে দেখতে পাই, পুকুর ঘাড়ে এসেছে। তারা পোস্টার লাগাতে লাগাতে ওখানে আসে। আর ওখানে বসে কিছুক্ষণ গল্প করে। আর তারা কথা বলার সময় প্রিন্সের বন্ধু দেখে ফেলে। আর তারা সব কিছুই বুঝতে পারে আসলে পোস্টার কে লাগাচ্ছে আর কেন লাগাচ্ছে।

তখনই তারা মেম্বারকে বিষয়টা জানাবে বলে। তারপরে আমরা দেখতে পাই সায়েম আর তার বউ চম্মনের শশুর বাড়িতে এসেছে। কিন্তু বিদেশী আকাশ আর তার বোন তাদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে। যার ফলে তারা অনেক কষ্ট পায়। এক পর্যায়ে সায়েম বুঝতে পারে চম্মনের সাথে ও যা করেছে একেবারেই ভালো হয়নি। আর তার কাছে ক্ষমা চেয়ে ওখান থেকে চলে যায়। রাস্তা দিয়ে যখন তারা দুইজন আসছিল, তখন সে তার স্ত্রীকে বিষয়টা বলে। আর তখন তার বউ বলে চম্মনের সাথে সাথে মানিকের জীবনও সে নষ্ট করে ফেলেছে। তখনই ওখান দিয়ে যখন মানিক যাচ্ছিল, তখন সায়েম মানিককে জড়িয়ে ধরে। আর তাকে ভালোভাবে সবকিছু বলে, আর তার কাছেও ক্ষমা চায়। তখন মানিক নিজের কপালের দোষ দিয়ে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। তারপরে আমরা প্রিন্সের বন্ধুকে দেখতে পাই চেয়ারম্যান কে সবকিছু বলে।

আর ওনাকে পুকুর ঘাটে গিয়ে সবকিছু নিজ চোখে দেখার জন্য বলে। তখন তিনি দেখার জন্য চলে যায়। আর এটা দেখেতো তিনি অনেক রেগে যায়। তিনি চলে যাওয়ার পর আসমানী প্রিন্সের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।এরপর টিক্কা ফকির আর তার বউকে দেখতে পাই ভিক্ষা করছিল। আর ১০ লাখ টাকার মাদকের বিষয়ে কথা বলছিল। তখনই ওখানে আসমানী আসে আর তাদের সাথে কথা বলে। কিন্তু তারা তাকে দেখে অনেক রেগে যায়। তারপর তারা আবারো অপেক্ষা করার জন্য চলে যায়। এরপর আমরা দেখি মানিক রতন তাদের সর্দার আর ওই বড়লোক মানুষটাকে। তিনি নিজের হারানো ছেলের বিষয়ে বলছিল। আর যখন জন্ম দাগের কথা বলে, তখন মানিকের সাথে মিলে যায়। তখনই তিনি বুঝতে পারে মানিক উনার ছেলে রাজু। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

প্রতিটা পর্বের মতো আমার কাছে এই পর্বটাও অনেক সুন্দর লেগেছে দেখতে। সায়েম ফকির চম্মনকে বিদেশী আকাশের সাথে বিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু যখন বিদেশি আকাশের বাড়িতে যায়, তখন তাকে এবং তার বউকে ওরা অনেক অপমান করে বের করে দেয়। যেটা ও একেবারেই সহ্য করতে পারেনি। তখন সে বুঝতে পেরেছে সে যা করেছে একেবারে ভুল করেছে। এমনকি এর জন্য চম্মন আর মানিক দুজনের কাছে ক্ষমা চায়। ঐদিকে আবার আমরা শেষে দেখতে পেয়েছি ওই বড়লোক মানুষকে নিজের ছেলের জন্ম দাগের কথা বলছে। আর তখন মানিক ওর জন্ম দাগ দেখায়। তখন উনি বলে এটাই তো আমার রাজু। তাহলে কি ওই লোকটার হারানো ছেলে মানিক?? এটা দেখতে হলে পরবর্তী পর্বের রিভিউর জন্য অপেক্ষায় থাকুন। আমি চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্বের রিভিউ তাড়াতাড়ি শেয়ার করার জন্য।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক