জেনারেল রাইটিং:- "খুঁত সবার মধ্যেই থাকে, কিন্তু মানুষ সব সময় সেটা অন্যের মধ্যে দেখতে পায়।"

in hive-129948 •  2 months ago 

Pink Green Organic Don't Waste Your Energy Quote Instagram Post_20240812_123310_0000.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা আমি কিছু বিষয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। তেমনি আজকেও আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটি বিষয়ের উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আসলে এসব বিষয়গুলো থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি এবং শিখতে পারি। যেগুলা হয়তোবা বাস্তব জীবনে আমাদের কাজে লাগবে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে পোস্টটা পড়ে।

একটা মানুষ কখনোই সব দিক দিয়ে সম্পূর্ণ হয় না। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই কোনো না কোনো খুঁত অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু একটা মানুষের নিজের ভেতরে থাকা খুঁত তার নিজের চোখে কখনোই ধরা পড়ে না। কিন্তু ওই খুঁত অন্যদের চোখে ধরা পড়ে। আর প্রত্যেকটা মানুষ অন্যের মধ্যে অন্যের খুঁত যখন দেখতে পায়, সে তখন নিজেকে নিজে সম্পূর্ণ মনে করে। কিন্তু এই ধারণাটা সম্পূর্ণভাবেই ভুল। অন্যের খুঁত যেমন নিজের চোখে ধরা পড়ে, তেমনি নিজের খুঁত অন্যদের চোখে ধরা পড়ে। খুঁত এমন একটা জিনিস, যেটার জন্য অনেক মানুষকেই অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এক একজনের এক এক রকম খুঁত থাকে। যারা অল্পতেই অন্যের খুঁত খুঁজে থাকে, সেই মানুষগুলো এটা বোঝার চেষ্টা করে না তাদের ভেতরেও কোনো না কোনো খুঁত অবশ্যই রয়েছে।

মনে করেন, একটা ছেলের ফ্যামিলি একটা মেয়েকে দেখতে এসেছে। এখন দেখা যাবে ছেলেপক্ষের এরকম একজন হলেও থাকবে যে কিনা অন্যের খুত ধরে থাকে অনেক বেশি। এখন মেয়েটার মধ্যেও খুঁত খুঁজবে। সব জায়গায় হয়তো দেখা যায় না, কিন্তু বেশিরভাগ জায়গায় এরকম ঘটনা গুলো ঘটে থাকে। আমার তো এই সকল বিষয়গুলো শুনলে অনেক বিরক্ত লাগে। বিশেষ করে অনেকে মেয়েদের হাত, পা, চোখ, নাক, মুখ, গলা, মেয়েটা কালো নাকি সাদা, হাঁটাচলা, সব কিছুই ভালোভাবে দেখবে। এই ধরনের খুঁত ধরা একেবারেই বোকামি। আবার অনেক মেয়ের পরিবাররা ছেলেদের খুঁত ধরে থাকে। বিশেষ করে আগের দিনে এগুলো একটু বেশি ঘটে থাকতো।

খুঁত তো আমাদের সবার মধ্যেই থাকবে। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই একটা না একটা কিছু ছেড়ে দিতেই হবে। আমরা যদি সবকিছুই আছে এবং সবকিছুই ঠিক এরকম একটা মানুষকে চাই, এটা কিন্তু আমরা কোথাও পাবোনা কখনো। কারণ সবার মধ্যেই খুঁত রয়েছে। একটা যদি ঠিক থাকে, তাহলে দেখা যায় আরেকটা ঠিক নেয়। আর এরকমটা হলে, আমরা মানতে পারি না। কিন্তু অবশ্যই এটা মেনে নেওয়া দরকার আমাদের। যেকোনো এক দিক দিয়ে ছেড়ে দিয়ে আমরা যদি এটা মেনে নিই, তাহলে দেখা যাবে সবকিছুই ঠিক আছে ওইটা ছাড়া। প্রত্যেকটি মানুষকে সব সময় এটাই মনে রাখতে হবে, তার মধ্যেও কোনো না কোনো খুঁত আছে অন্য মানুষদের মত।

আপনারা আপনাদের আশেপাশে তাকালে এরকম অনেক মানুষকে দেখতে পাবেন, যারা কিনা অন্যদের খুঁত ধরতে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত থাকে। কে কেমন, কে কি করছে, এগুলোই তারা প্রতিনিয়ত শুধু দেখতে থাকে। যারা অন্যদের খুঁত ধরতে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত থাকে, দেখা যায় তাদের মধ্যে আরো অনেক বেশি খুঁত রয়েছে। কিন্তু তারা মনে করে তাদের মধ্যে এরকম কোনো খুঁত নেই একেবারেই। কিন্তু তারা যদি বিবেক দিয়ে চিন্তা করে, আসলে তারা মানুষ হিসেবে কি রকম? আর তাদেরকে অন্যরা দেখলে কি ভাবে?? এমন কি তাদের খুঁত মানুষের প্রতিনিয়ত চোখে পড়ে কিনা?? এগুলো যদি তারা চিন্তা করে, তাহলে বুঝতে পারবে আসলে তাদের আসল খুঁত কোথায় রয়েছে। তাদের চিন্তা ভাবনা কিরকম খারাপ এগুলো ভালোভাবে তখন বুঝবে।

নিজের চোখে অন্যকে ছোট করে দেখা একেবারেই ঠিক না। এমনকি এমন কিছু করা উচিত না, যাতে নিজেকে অন্যদের চোখে ছোট না হতে হয়। যারা অন্যের খুঁত প্রতিনিয়ত ধরতে ব্যস্ত থাকে, তাদের চিন্তা ভাবনা অনেক বেশি নিচ। আর এটা তারা এক পর্যায়ে ঠিক বুঝতে পারে। তাই সকালেরই উচিত এটা বুঝতে পারা, যে আমাদের সবার মধ্যে খুঁত রয়েছে। অন্যদের মধ্যে খুঁত ধরার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা যদি অন্যের খুঁত ধরতে ব্যস্ত হয়ে না পড়ে, অন্যকে একটা ভালো পরামর্শ দিই, তাহলে ওটা আমাদের জন্য অনেক বেশি ভালো হবে আর ওই মানুষটার জন্যও। আজ এই পর্যন্তই লিখলাম। পরবর্তীতে অন্য টপিক নিয়ে লিখে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে দুনিয়ায় কেউ নিজের দোষ কখনো ধরতে চায় না। কিন্তু অন্যের দোষ গুলো খুঁজে বেড়াতে বেশ পটু। দারুন একটা বিষয় নিয়ে কিন্তু আপনি আজকে আলোচনা করেছেন। আসলে যারা সচেতন তারা কিন্তু গুণের দোষ গুলো খুজে না নিজের দোষ গুলো খুজে সচেতন হয় বা নিজেকে শুধরিয়ে নেয়। যাই হোক অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।

মানুষের উচিত নিজে আগে শুধরে যাওয়া, তারপর অন্যকে সচেতন করা।

একদম ঠিক কথা এটা।কোন মানুষ ই আসলে পারফেক্ট নয়।কিন্তু আমরা মানুষ পারফেক্ট না হয়েও অন্যের খুঁত ধরায় ব্যস্ত থাকি।এটা একদমই উচিত নয়।এই বিষয়টিকে নিয়ে আপনি খুব চমৎকার ভাবে লিখলেন।ভালো লাগলো পড়ে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

অনেক মানুষ হয়েছে যারা প্রতিনিয়ত অন্যদের খুঁত ধরতে থাকে।

এত সুন্দর একটি জেনারেল রাইটিং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার চিন্তাধারা টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন আজকের এই দোষ ধরার বিষয়টা নিয়ে লেখা। আসলে আমরা যদি একটু চিন্তা করি তাহলে অন্যের দোষ নয় নিজেরটা আগে চিন্তা করতে পারি। আর নিজেকে শুধরাতে পারলে অন্যকে শুধরানো যায় নিজে না শুধরালে সম্ভব নয়।

মানুষ নিজেকে নিজে সবসময় পার্ফেক্ট মনে করে। কিন্তু সবার মধ্যেই খুঁত আছে।

আপনি একদম সঠিক কথাগুলো আজকে তুলে ধরলেন। সবার মধ্যে খুঁত থাকে কিন্তু অনেক মানুষ আছেন যারা নিজের খুঁত গুলো দেখতে পাইনা। সব সময় অন্যদের দোষ গুলো খুঁজে বেড়াই এবং তুলে ধরে থাকেন। এই ধরনের মানুষগুলো খুবই ভয়ঙ্কর হয়। আপনার লেখাগুলো পড়ে ভালো লেগেছে।

হ্যাঁ অন্যের দোষ খুঁজে বের করে শুধু সেগুলো তুলে ধরি। যেটা করা একেবারেই উচিত হয় না। এরকম মানুষ সত্যি অনেক খারাপ।

আপু আপনি আজকে একদম বাস্তবিক পরিকল্পনা থেকে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে আপু আপনার পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া আমাদের নিজের মধ্যেই অনেক খুত রয়েছে কিন্তু আমরা সেটা প্রকাশ করি না। অন্যথায় অন্যজন করলে আমাদের তার বদনাম করা শুরু হয়ে যায়। আসলে আমরা আমাদের নিজের ভুল কখনো বলি না এটাই আমাদের দোষ। পোস্টটি দারুন ছিল আপু বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

আসলে নিজের ভুল আমরা কখনো ধরতে পারি না। নিজেকে নিজে খারাপ বলতে পারিনা। শুধু অন্যকেই সব সময় বলা হয়। এগুলো অনেক খারাপ বিষয়।

আপনার কথা একদম সত্যি। আমাদের সমাজের কথা বাদে দিলাম কিন্তু আমাদের চারপাশের মানুষদের মত এরকম খুঁত অনেক থাকে। কিন্তু আমি চাই মানুষের এরকম মন না রেখে ভালো কিছু করলে ভালো হয়। সবাই একসাথে ভালোভাবে থাকলে তাদের মনটাও ভালো থাকবে। কিন্তু যারা নিজের মনের মধ্যে খুঁত রেখে দেই তারাই অন্যকে সহ্য করতে পারে না। যাই হোক আপনার পোষ্টটি পড়ে ভালো লাগলো।

হ্যাঁ খুঁত রাখা মানুষগুলো অন্যকে সহ্য করতে পারেনা।

আসলে সবার মাঝে কম বেশি দোষ থাকে‌। তবে আমরা নিজের দোষ না দেখে অন্যের দোষ নিয়ে সমালোচনা করে থাকি। অন্যের দোষের সমালোচনা না করে নিজের দোষ সংশোধন করে নেওয়াটা উত্তম। অন্যের দোষের সমালোচনা করা বোকামি ছাড়া কোন কিছুই নয়। আপনি ঠিক বলেছেন, খুঁত সবার মধ্যেই থাকে, কিন্তু মানুষ সব সময় সেটা অন্যের মধ্যে দেখতে পায়। এতো সুন্দর বিষয় পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আসলে মানুষ নিজের দোষটা দেখে না কিন্তু অন্যের দোষ ঠিক দেখে।

আমাদের সমস্যা এটাই নিজের খুঁত দেখিনা অন্যের টা ছাড়া।আর মানুষ মাত্রই খুঁত থাকবে।আমাকে যার যার ভালো সাইড কে আগে প্রাধান্য দিতে হবে।ভালো একটি টপিক ছিল আপু।খুবই সুন্দর হয়েছে পোস্টটি,ধন্যবাদ।

হ্যাঁ আমাদের এই সমস্যা নিজের ছাড়া অন্যদের খুঁত বেশি দেখি।

ঠিক বলেছেন আপু আমাদের সকলের মাঝে কোনো না কোনো খুঁত রয়েছে। হোক ছোট কিংবা বড় আমরা কেউ পারফেক্ট মানুষ নই।সকলেরই মাঝেই কোন ভাবে ত্রুটি থেকে যায়।আর সেইগুলো আমাদের চোখে পড়ে না। আমাদের অন্যের খুঁত গুলোই বেশি চোখে পড়ে। আর আমরা সেগুলো নিয়ে সমালোচনা বেশি করি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যেই কোনো না কোনো খুঁত রয়েছে।