মজাদার একটি পাকোড়া রেসিপি

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Polish_20240617_222903192.jpg


আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে মজাদার একটি পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করব । এ ধরনের পাকোড়া তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে । সবাই দেখি এরকম ভিন্ন ভিন্ন পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করে এজন্য আমিও সেদিন ঝটপট এরকম একটি মজাদার খাবার তৈরি করে ফেললাম। বিকালে চা নাস্তার সাথে খাবারটি সত্যি অনেক ভালো লেগেছিল । অল্প পরিমাণে তৈরি করেছিলাম প্রথমবার দেখে পরে তৈরি করে পরে দেখলাম যে জিনিসটা খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে । আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছিল । এখন আমি আমার মজাদার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।

D4F8200E-DF6A-4082-876E-9F44C642A671.png

প্রয়োজনীয় উপকরণ

D4F8200E-DF6A-4082-876E-9F44C642A671.png

Polish_20240617_223119263.jpg

আলু
গাজর
ডিম
বেসন
পেঁয়াজ
মরিচ
ধনিয়াপাতা
বেসন
হলুদের গুড়া
লবণ
তেল
জিরার গুড়া

D4F8200E-DF6A-4082-876E-9F44C642A671.png

কার্যপ্রণালী

D4F8200E-DF6A-4082-876E-9F44C642A671.png

20240617_222820.jpg20240617_222808.jpg
20240617_222725.jpg20240617_222626.jpg

প্রথমে দুইটা আলু নিয়েছি এবং আলুগুলো ছিলে নিয়েছি ।তারপর আলুগুলো পিলার দিয়ে কেটে নিয়েছি ঝুড়িঝুড়ি করে ।চিকন সাইড দিয়ে কেটেছি । এরপর কিছু গাজরও পিলারের সাহায্যে কেটে নিয়ে ফ্রিজে রেখেছিলাম সেটা বের করে নিয়েছি ।

20240617_222713.jpg20240617_222639.jpg
20240617_222608.jpg20240617_222549.jpg

এরপর আলুর ভেতরে পেঁয়াজ, মরিচ ,ধনিয়া পাতা ও গাজর সবগুলোই দিয়ে দিয়েছি । তারপর একটা ডিম ভেঙে দিয়েছি ।এরপর লবণ হলুদের গুড়া ও জিরার গুড়া দিয়ে দিয়েছি । ভাজা জিরার গুঁড়া দিলে সুন্দর একটা ফ্লেভার পাওয়া যায় ।

20240617_222505.jpg20240617_222426.jpg
20240617_222345.jpg20240617_222327.jpg

এরপর সব কিছু দিয়ে ভালো মতো মাখিয়ে নিয়েছি । তারপর একটু বেসন দিয়ে দিয়েছি । বেসন টা দিলে আলুগুলো তেলের ভিতরে সুন্দরভাবে ভাঁজা যাবে খুলে যাবে না । তারপর বেসনটা দিয়ে আরো সুন্দরভাবে মাখিয়ে নিয়ে তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তেল গরম হলে তার ভিতরে একটা একটা করে ছেড়ে দিয়েছি । সবগুলো দিয়ে উল্টাপাল্টা বাদামি কালার করে ভেজে নিয়েছি । তারপর গরম গরম একটা প্লেটে ঢেলে পরিবেশন করেছি খেতে সত্যিই খুবই মজাদার হয়েছিল ।

20240617_222314.jpg20240617_222235.jpg

20240617_222220.jpg

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png *** VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দারুন একটি পাকোড়া রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পাকোড়া আইটেম দেখা যায়। বিকালের নাস্তায় এ ধরনের আইটেমগুলো বেশ ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে ইউনিক পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আসলে আজকাল অনেক ধরনের পাকোড়া মানুষ তৈরি করে খেয়ে থেকে আর খাবারগুলো কিন্তু আসলেই ভালো লাগে ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

পাকোড়া খেতে আমার কাছেও অনেক বেশি মজা লাগে।
বিশেষ করে যদি একটু বেশি ঝাল ঝাল হয় তাহলে তো আরো বেশি মজা হয়।
আপনি লোভনীয় পাকোড়া প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছিল।

পাকোড়া খেতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।

এরকমভাবে পাকোড়া তৈরি করলে গরম গরম পাকোড়া খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিকেলের নাস্তা হিসেবে কিন্তু এরকম পাকোড়া গুলো একেবারে পারফেক্ট হয়ে থাকে। পাকোড়াগুলো যদি অনেক বেশি মুচমুচে হয়, তাহলে খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনি এই পাকোড়া তৈরি করার জন্য আলু গাজর ডিম এগুলো ব্যবহার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এভাবে কখনো পাকোড়া তৈরি করে খাইনি। তাই ভাবছি ঘরে যেহেতু এগুলো রয়েছে তাই তৈরি করবো। খেতে নিশ্চয়ই দারুন মজা লাগবে।

বিকালের নাস্তা এ ধরনের মুচমুচে পাকোড়া খেলে সত্যিই খুব ভালো লাগে । ধন্যবাদ আপনাকে ।

পকড়া টার প্রধান উপাদান ছিল আলু এবং গাজর। দুইটাই সবজি। পকোড়া টা বেশ চমৎকার তৈরি করেছেন আপু। দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে এবং এর স্বাদ টাও অনুমান করা যাচ্ছে। পাশাপাশি দারুণ উপস্থাপন করেছেন পকোড়া তৈরির প্রতিটা ধাপ। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

আসলেই অনেক চমৎকার হয়েছিল । খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল ।

আলু গাজর ডিম দিয়ে এত মজাদার পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার তৈরি করা পাকোড়া দেখে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করতেছে। পাকোড়া খেতে পছন্দ করো না এরকম মানুষ তো খুব কম পাওয়া যাবে। এখন যেহেতু মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হয়, বৃষ্টির সময় কিন্তু পাকোড়া খেতে খুব ভালো লাগবে। বৃষ্টির সময় এক কাপ চায়ের সাথে মুচমুচে এবং গরম গরম পাকোড়া গুলো জমিয়ে খাওয়া যাবে। এরকম পাকোড়া সস দিয়ে খেতে আরো ভালো লাগে। নিশ্চয়ই সবাই মিলে মজা করে খেয়েছেন এগুলো।

ঠিকই বলেছেন বৃষ্টির সময় এরকম পাকোড়া আর এক কাপ চা হলে সত্যিই জমে উঠে ।

image.png

পকোড়া খেতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আজকে আপনি মজাদার পকোড়া রেসিপি বানিয়েছেন। তবে বিকেল বেলা পকোড়া খাওয়ার মজাই আলাদা। এবং বাহিরের পাকোড়া চেয়ে নিজেই তৈরি করে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো হয়। মজাদার পকোড়া রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

আমার কাছেও বাইরের থেকে নিজেরা তৈরি করে খেলে সেটি বেশি ভালো লাগে ।

বাহ অসাধারণভাবে পকোড়া রেসিপি বানিয়েছেন। আলু গাজর এবং ডিম দিয়ে মজার পকোড়া বানিয়েছেন। তবে পকোড়া খেতে বড় ছোট সবাই খুব পছন্দ করে। আমি তো যেকোনো ধরনের পকোড়া খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। তবে আপনার পকোড়া রেসিপি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। খুব মজাদার পকোড়া রেসিপি বানিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।

আমার পাকোড়া আপনার কাছে অসাধারণ লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।

বিকেলে চায়ের সাথে যে কোনো পাকোড়া খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর এ ধরনের সবজি পাকোড়া গুলো খেতে তো খুবই ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মজাদার পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

একদম ঠিক বলেছেন বিকেলে চা নাস্তার সাথে এ ধরনের পাকোড়া হলে একদম জমে ওঠে ।

মজাদার পাকোড়া রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে, তাই খেতে ইচ্ছা করছে।আপনার রেসিপির পরিবেশের আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

দেখে যেমন সুস্বাদু মনে হচ্ছে খেতেও অনেক সুস্বাদু ছিল ।

পড়ন্ত বিকেলে বা, গোধূলি সন্ধ্যায় গরম গরম পাকোড়া খেতে বেশ দারুণ। সত্যি পাকোড়া খাওয়ার অনুভূতি বেশ অসাধারণ হয়ে থাকে। আপনার পাকোড়া তৈরি প্রক্রিয়া বেশ ভালো হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছিল। আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন‌ । ধন্যবাদ আপনাকে।

আমার পাকোড়া তৈরির রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।

চমৎকার সুন্দর পাকোড়া বানিয়েছেন আপু।ভীষণ লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপি টি।দেখেই তো লোভ লেগে গেলো। ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আমার পাকোড়া আপনার কাছে চমৎকার সুন্দর লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।