আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আবার আপনাদের সাথে বৃক্ষ মেলার সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে এসেছি । বৃক্ষমেলায় গেলে আসলে ছবি তোলার কোন শেষ নেই । কোনটা রেখে কোনটা তুলবেন এবং কি দেখবেন সেটাই ভাবনার বিষয় । আর বৃক্ষ মেলায় ওরা এত ধরনের গাছ রাখে যে দেখলে মনটা ভরে যায় । আর ইচ্ছা করে যে সবগুলো গাছ যদি নিজের একটি বাগান করে রাখতে পারতাম তাহলে হয়তো একটু ভালো লাগতো । কিন্তু এ ধরনের গাছগুলো লাগানোর জন্য যে পরিমাণ জায়গায় প্রয়োজন এখন তো সেরকম খোলা জায়গা একেবারে নেই বললেই চলে । যার যতটুকু জায়গা সে সেটা জুড়ে বিল্ডিং তৈরি করে রাখে ফাঁকা জায়গা একেবারে নেই বললেই চলে । তারপরও অনেকে ছাদে বাগান করে ছাদ বাগানে তো আর সব ধরনের গাছ লাগানো যায় না হয়তো বা অনেকে লাগায় দেখতে ভালই লাগে ।বআমারও ইচ্ছা যদি আমার একটি বাগান থাকতো তাহলে হয়তো সারাদিন বাগানে কাটিয়ে দিতাম । যাই হোক বিভিন্ন নাম না জানা গাছের সাথে পরিচিত হওয়া যায় সেটাই ভালো লাগে ।

প্রথমে অলকানন্দা ফুল দিয়ে শুরু করলাম । অলকানন্দা ফুল গুলো দেখতে এতটাই ভালো লাগে যে শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে । আর গাছ ভর্তি হলুদ কালারের ফুল ফুটে থাকে সেটা দেখে খুবই ভালো লাগে । এই ফুলের নাম যদিও আমি আগে জানতাম না ওয়াহিদার কাছ থেকে নাম গুলো শুনেছি । তবে এই গাছগুলো দেখতে কিন্তু খুব ভালো লাগে । ইচ্ছা করলে আপনি টবের ভেতরে লাগাতে পারেন কিন্তু প্রচুর পরিমাণে রোদের প্রয়োজন । যে কোনো ফুলগাছই রোদ ছাড়া হয় না অল্প রোদে গাছে তেমন একটা ফুল ফোটে না । তবে অলকানন্দা গাছ ভর্তি ফুল ফোটে এটাই ভালো লাগার বিষয় ।আর বৃক্ষ মেলায় দেখলাম বেশ কিছু দোকানে এই গাছটি রয়েছে । তারপরে নিচে রয়েছে একটি পেয়ারা গাছের ছবি । এটা হয়তোবা কাজী পেয়ারা গাছ । এরকম একটা কাজী পেয়ারা গাছ কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলেই আপনার ছাদে লাগাতে পারেন । গাছ ভর্তি পেয়ারা ধরে থাকে ইচ্ছা করলেই খেতে পারবেন এটা ভালো লাগার বিষয় ।

এখানে দেখতে পাচ্ছেন কদবেল গাছ । দেখলাম দুই ধরনের কদবেল গাছ রয়েছে । একটি থাই কদ বেল গাছ এবং একটি নরমাল কদবেল গাছ । এটি মনে হচ্ছে নরমাল কদবেল এই কদবেল গুলো খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । কদবেল আমার অনেক পছন্দের একটি ফল । যদিও ইচ্ছেমতো কখনো পাওয়া পাওয়া যায় না । ওরা যেটা বাজারে বিক্রি করে সেটার বেশিরভাগই ভেতরটা সাদা থাকে কিন্তু খুব ভালো লাগে না । গাছ পাকা কদবেল যেটা ভেতরটা কুচকুচে কালো থাকে সেই কদবেলটা খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে । ফরিদপুরে আমাদের বাসায় একটা গাছ আব্বু লাগিয়েছিল কিন্তু সেই গাছটা একেবারে ছোটই ছিল বড় হয়নি । অবশ্য বাড়ি করার সময় গাছটি কেটে ফেলতে হয়েছিল । আর নিচে এখানে অনেকগুলো ঝাউ গাছের ছবি দেখতে পাচ্ছেন । ওরা দেখলাম এভাবে ড্রামে করে ঝাউ গাছগুলো লাগিয়েছে এরকম করে ওরা বিক্রি করছে । একটা ঝাউ গাছের কিন্তু অনেক দাম । এই ঝাউ গাছ গুলো দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে ।

এখানে আরেক ধরনের একটি আমগাছ দেখতে পেলাম । এই আম গাছের কালার গুলো দেখতে পাচ্ছেন কেমন আর সাইজটাও কিন্তু একটু অন্যরকম । এই আম গুলো খেতে কেমন জানিনা নামটাও জানিনা তবে দাম কিন্তু অনেক বেশি এই গাছগুলোর । দেখতে ভালো লাগে আর আম বলে কথা । আমার অনেক পছন্দের একটি ফল । নিচে আরেকটি গাছ দেখতে পাচ্ছি এই গাছটা অনেক জায়গায় দেখা যায় এই গাছটি মাটিতে লাগালে খুব ঝাপটা হয়ে গোল হয়ে বেড়ে উঠে দেখতে খুব ভালো লাগে ।

আরেকটি গাছ সেটা দেখতে পাচ্ছেন জামরুল গাছ । লাল কালারের জামরুল ধরে । ছোট্ট একটা জামরুল গাছে কত পরিমাণে জামরুল ধরেছিল আমি এক সাইড থেকে তুলেছি এখানে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না । তবে অনেক জামরুল দেখতে পেলাম । এরকম লাল কালারের অনেকগুলো জামরুল গাছ দেখলাম । প্রত্যেকটা দোকানেই রয়েছে । আর জামরুল মোটামুটি লাগে আমার ততটা ভালো লাগে না । তবে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল লাল জামরুল গুলো । আর নিচে কয়েকটি ছবি শেয়ার করলাম । এতোটুকু ছোট ছোট গাছে কি পরিমানে করমচা ধরেছে সেটা না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না । আর করমচা এত বেশি পরিমাণে টক হয়ে থাকে কি আর বলবো । সেই ছোটবেলায় খেয়েছি টেস্ট ভুলে গিয়েছি ।ছোটবেলা আমাদের বাসার পাশে একজনের একটা করমচা গাছ ছিল সেখান থেকে আমরা চুরি করে করমচা খেতাম ভালো লাগতো । এই করমচাটা গাছ এবার দেখলাম বৃক্ষ মেলাতে ওরা অনেক রেখেছে ।