আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আবার প্রতিদিনের মতো নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হয়েছি । আপনাদের সাথে সব সময় লিখতে এবং সবকিছু শেয়ার করতে ভালো লাগে তাই সব সময় চলে আসি । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব এইতো কয়েকদিন আগে ছেলের দাঁত নিয়ে অনেক বেশি ভোগান্তি গিয়েছে এবং অনেক টেনশনে ছিলাম । সে ভোগান্তি টা আপাতত কেটে উঠেছে । দেখতে দেখতে ছেলেটার ৬ বছর হয়ে গেল এখন ওর নরমালি দাঁত পড়ার কথা এজন্য সব সময় একটু খেয়াল রাখি যে ওর দাঁত নড়েছে কিনা । ওর দাঁত যেহেতু একটু দেরিতে উঠেছে এজন্য হয়তোবা ওর দাঁত পড়বেও একটু দেরিতে যার কারণে এখন পর্যন্ত পড়েনি । তারপরও সব সময় খেয়াল করে রাখতে হচ্ছে । কিন্তু এরই মাঝে দাঁতে আবার পোকা ধরেছে মাঝে মাঝেই বলে যে দাঁতে ব্যথা করছে । তখন খেয়াল করলাম যে দুই পাশের দুইটা দাঁত কিছুটা খেয়ে ফেলেছে । প্রতিদিন নিয়ম করে দুবার ব্রাশ করা হচ্ছে তারপরও মাঝে মাঝে দাঁতের ব্যথার কথা বলছে । দুটো দাঁতের মাঝে দেখি ফাঁকা হয়ে গিয়েছে ওটা নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম । কারণ কখন আবার বেশি ব্যাথা বলে । আর দাঁতের ব্যথা হলে সেটা বড়রাই সহ্য করতে পারে না আর ছোট মানুষ তো আরো কষ্ট পাবে যার কারণে একটু চিন্তায় ছিলাম । খুব একটা ব্যথা তার হচ্ছে না ।

একদিন হঠাৎ করে সে বলল যে মা আমার পাশের একটি দাঁতে খুব ব্যথা করছে । আমি বললাম যে ব্যথা হয়েছে একটু পরে সেরে যাবে তুমি ঠিকমত ব্রাশ করো না তাই ব্যাথা । কিন্তু সে বলল যে দাঁতের ব্যথা অনেক বেশি কিছুতে থামছে না । তখন খেয়াল করলাম দেখলাম পাশের একটা দাঁত নড়েছে ।নরমালি ছোট মানুষের দাঁত সামনে থেকে আগে পরে কিন্তু ওর দেখলাম দেখলাম পাশের একটা দাঁত নড়ে গিয়েছে । ছোটবেলায় কবে আমাদের দাঁত পড়েছে সেটা ভালো করে মনে নাই শুধু এটুকু মনে আছে যে সামনের দাঁতগুলো আগে পড়বে তারপর সাইডের দাঁতগুলো পড়বে । কিন্তু ওর পাশের দাঁত নড়েছে এটা যে অস্বাভাবিক সেটা কখনো মনে হয়নি । আমি আরো ওকে বলতে থাকলাম যে তোমার দাঁত নড়েছে এটা ভালো করে জোরে জোরে সারাটা দিন নাড়াতে থাকো দেখবে যে একা একা পড়ে গিয়েছে । আমি খেয়াল করলাম যে দাঁত পোকায় খেয়েছে সেই দাঁত নড়েছে । ও সারাদিন নাড়াতে থাকলো সাথে আমিও চেষ্টা করলাম । এভাবে করে দুইদিন দাঁত শুধু নাড়াচাড়া করা হচ্ছিল কিছুক্ষণ পরপর ।

এদিকে আমি আমার বোনদের সাথেও আলাপ করলাম ওরাও বললো যে সামনের দাঁত তো আগে নড়ে ওর কেন পাশের দাঁত নড়লো । কিন্তু এটা নিয়ে কেউ তেমন কিছু বললে না । আমি ভেবেছিলাম হয়তোবা ওর আগে সাইডের দাঁত নড়েছে কেউ কিছু না বলার কারনে তেমন একটা গুরুত্ব দিলাম না । আবার পাশের বাসার ভাবিও শোনার পর অবাক হয়েছে আমার সাথে কথা বলতে চেয়েছিল কিন্তু কোন একটা কারণে উনি বাইরে চলে গিয়েছিল যার কারণে সেদিন আর কথা বলা হয়নি । পরের দিন হঠাৎ করে সন্ধ্যা বেলায় আমি শুয়ে আছি ছেলে দৌড়ে আমার কাছে এসে বলে যে মা আমার দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ছে । আমি ভাবলাম যে দাঁতটা মনে হয় পড়ে যাবে যার কারণে অনেক বেশি নাড়ানো হয়েছে এই কারণে ব্লাড এসেছে । আমি তখন ওর পেছন পেছন দৌড়ে এসে ওয়াশরুমে গিয়ে বললাম যে ভালো করে কুলি করো । যতই কুলি করছে ততই দাঁত দিয়ে ব্লিডিং হচ্ছে এবং এত বেশি পরিমাণে হচ্ছে যে সেটা দেখে একেবারে আমার মাথার ভিতরে চক্কর দিয়ে উঠল ।আমার সারা শরীর ভয়ে কাঁপছে কারণ আমি কোন টেনশন নিতে পারি না বিশেষ করে ছেলের কোন কিছু হলে তো কথাই নেই । যতই কুলি করছে ততই ওর মুখ ভর্তি হয়ে ব্লাড আসছে ।

সেটা দেখে সত্যি আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম সাথে সাথে ওর বাবাকে বললাম সাথে সাথে সেও একটু চিন্তিত হয়ে পড়ল ।আমি তো একেবারে ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছি কিন্তু ছেলে ততটা ভয় পাচ্ছে না শুধু কুলি করেই যাচ্ছে । আমি তখন দৌড়ে পাশের বাসায় চলে গেলাম এবং ভাবিকে বললাম যে ভাবি ওর দাঁত দিয়ে অনেক বিলিডিং হচ্ছে ভাবি তখন বলল যে এরকম হয় তুমি ওর দাঁতে বরফ দেও এবং আইসক্রিম খাওয়াও । আমি একথা শুনে বাসায় চলে আসলাম এবং আসার পথে দেখলাম যে পাশের বাসার একটা ডাক্তার মেয়ে আছে ও বের হয়েছে ওকে সাথে সাথে ডাক দিলাম এবং বললাম যে দেখতো ফানার দাঁত দিয়ে এভাবে কেন ব্লিডিং হচ্ছে । ও তখন দেখে একটু ভয় পেয়ে গেল কারণ দাঁতের গোড়া দিয়ে এত বেশি পরিমাণে ব্লাড আসছে যে দাঁত দেখা যাচ্ছে না এবং দাঁতের নিচটা একেবারে কালো হয়ে গিয়েছে । তখন ও বলল যে একটু কুলি করে আসো । কুলি করে আসলো কিন্তু তারপরও ব্লাড কিছুতেই থামছে না । তখন ও সাথে সাথে বলল যে আপনারা ওকে এখনই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান ব্লাড যেহেতু থামছে না । তখন কি আর করার সাথে সাথে রেডি হয়ে চলে গেলাম ডাক্তারের কাছে । অনেক লম্বা কাহিনী বাকি টুকু আরেকদিন শেয়ার করব ।