আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করে কাচ্চি ভাইয়ের মজাদার কাচ্চি খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি । বেশ কিছুদিন ধরেই কাচ্চি ভাই থেকে কাচ্চি খেতে ইচ্ছা করছে । যদিও আশেপাশ থেকে দু একদিন পরপরই কাচ্চি এনে খাওয়া হচ্ছে কারণ কাচ্চিটা আমরা অনেক বেশি পছন্দ করি । বিশেষ করে ছেলে যখন তখন বায়না করে বসে সেই রাত দশটায় হোক না কেন ওর বাবা নিচ থেকে এনে দেয় । আর ছেলে বায়না করলে তখন তো আর ওর জন্য আনা যায় না সবার জন্যই আনতে হবে । বিশেষ করে আমরা তিনজন মানুষ দুই প্যাকেট আনলে তিনজনেই ভালো মতো খাওয়া হয়ে যায় ।

দুদিন ধরে কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি খাওয়ার ইচ্ছা করছে । দুদিন আগে পাশের বাসায় সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম ঠিক সেই সময় ওরা কাচ্চি খাওয়ার কথা তুলে ছিল সেদিন থেকেই কাচ্চি খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ শুধুই বাড়ছে । এরপরে আবার ছেলে সন্ধ্যার সময় বায়না করল মোরগ পোলাও খাবে আর আমিও সুযোগ পেয়ে গেলাম । ভাবলাম যে কাচ্চি অর্ডার দিয়েই ফেলি । নর্মালি এ ধরনের খাবার গুলো রেস্টুরেন্টে বসে খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । কিন্তু আজকে বাসায় অর্ডার দিয়েছি আমরা দুই ফ্যামিলি মিলে মজা করে খাওয়ার জন্য ।

বাসায় ঝটপট খাবার অর্ডার করে দিলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসলো । আমরা ইচ্ছা করে কাচ্চি ভাই থেকে বোরহানি অর্ডার করিনি ওই বোরহানি তেমন একটা ভালো লাগে না । এরপর নিচে থেকে ওর বাবা বোরহানি নিয়ে আসলো সাথে কোক নিয়ে আসলো ।এরপর খাবার নিয়ে চলে গেলাম পাশের বাসায় ওদের সাথে একসাথে শেয়ার করার জন্য । কারন কোন খাবার সবাই মিলে একসাথে খেতে পারলে অন্যরকম একটা মজা হয় । একটু একটু করে হলেও যদি খাওয়া যায় সেটা বরকত দেয় এবং খেতেও ভালো লাগে । এরপর আমরা সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করতে লাগলাম । খাবারটা আসলেই অনেক বেশি মজাদার আর কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চি তো আরো বেশি মজাদার । বোরহানিটাও অনেক বেশি টেস্টি ছিল ।খাওয়া দাওয়া সেরে আরও বেশ খানিকটা সময় আড্ডা দিয়ে তারপর বাসায় চলে আসলাম । সত্যিই খাবারটা অনেক বেশি মজাদার ও লোভনীয় ছিল ।