ফরিদপুর ধলার মোড়ে বিভিন্ন জিনিসের সমারোহ

in hive-129948 •  9 months ago 

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।




আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফরিদপুরে ধলার মোড়ের বিভিন্ন জিনিসের ছবি ।ফরিদপুরের ঘোরাফেরা করার জন্য তেমন কোনো ভালো জায়গা খুব একটা ছিল না মোটামুটি কয়েকটা জায়গা হাতে গোনা ছিল যেখানে আমরা সব সময় ঘোরাঘুরি করেছি । আর ফরিদপুর শহর ছোট্ট শহর । আমাদের ফরিদপুরের অলিগলি সব জায়গায় চেনা । যেখানেই যাই না কেন আমাদের কাছে ভালই লাগে । কারণ এই শহরে অলিতে গলিতে রাস্তাঘাটে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে । এই এই ফরিদপুর শহরে আমরা ছোট থেকে বড় হয়েছি এবং এখানে সবকিছু ভালো লাগে । বিশেষ করে ফরিদপুর শহরে সব সময় রিক্সা নিয়ে ঘুরতে আমাদের কাছে সব সময় ভালো লাগে এবং আমরা ছোটবেলা থেকে এই কাজটি করে এসেছি । আর ফরিদপুর গেলে ধরার মোড়ে যাবো না এটা কি হয় নাকি ।


এবারও আমি ধলার মোড়ে গিয়েছিলাম ঘুরতে পহেলা বৈশাখের দিন । তবে এবার গিয়ে বেশ খানিকটা হতাশ হয়েছি । কারণ ধলার মোড় পানির জন্য বিখ্যাত এবার তো পদ্মার পানি একেবারে দেখতেই পেলাম না । পানি গুলো শুকিয়ে একেবারে মরুভূমি হয়ে গিয়েছে । একেবারে মরুভূমি মনে হয়েছে আর বাতাসে চারদিকে বালি উড়ছে সত্যি সেখানে গিয়ে তেমন একটা ভালো লাগেনি । সেখানে আশেপাশে দেখলাম অনেক খাবারের রেস্টুরেন্ট এবং আশেপাশে অনেক দোকানপাট রয়েছে । বাচ্চাদের খেলনা থেকে শুরু করে যাবতীয় অনেক জিনিসই দেখতে পেলাম । তবে এখানকার কোন কিছু খাওয়ার প্রতি কোন আগ্রহ হয়নি চারিদিকে ধুলার কারণে । এই ধলার মোড়কে ঘিরে বিভিন্ন জিনিসের দোকানপাট গড়ে উঠেছে সেটারই কিছু চিত্র আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি ।

20240425_231051.jpg


এখানে দেখলাম ওরা চিকেন ফ্রাই বিক্রি করছে এবং সেটার আবার নামও দিয়েছে কেএফসি চিকেন ফ্রাই । অনেকে দেখলাম ভিড় করে সেখানে চিকেন ফ্রাই খাচ্ছে তবে আমাদের সেখানে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ জাগেনি । বাচ্চাদেরকে নিয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি ইচ্ছা ছিল না দেখে আমরা সেখানে খাবার কোন দোকানে দাঁড়ায়নি ।

20240425_231038.jpg


আবার দেখলাম যে একটা লোক মাটির ভিতরে একটা পার্টি পেতে বসে সেখানে বিভিন্ন জিনিসের ছাপ্পা নিয়ে বসে আছে । এটা দিয়ে হাতের ডিজাইন করা হয় সাথে রং মিশিয়ে হাতে সুন্দর ভাবে ছাপ্পা দেয় এই জিনিসটা ছোটবেলায় মেলায় অনেক দেখেছি আজ অনেকদিন পরে জিনিসটা দেখে ভালো লাগলো । যদিও কখনো নেয়নি তবে সব সময় এটা দেখে এসেছি মেলায় বসে। আর নিচে দেখতে পাচ্ছেন একজন মহিলা পাঁপড় বিক্রি করছে । পাঁপড় খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তবে এখানকার খাবার আমার কাছে ভালো মনে হয়নি যার কারণে এখান থেকে পাঁপড় খাওয়ার কথা চিন্তাই করিনি ।

20240425_231020.jpg

20240425_231003.jpg


এখানে দেখতে পাচ্ছেন বেশ কিছু ফুলের মালা এবং ফুলের মুকুট তৈরি করে তারা বিক্রি করছে । আমরা সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম কেনার জন্য । প্রথমে সেখান থেকে সাদা রঙের একটি ফুলের মুকুট আমরা মাথায় পড়ে সুন্দর ভাবে ছবি তুলেছি এরপর দামাদামি করেছি । দামে পোষায়নি দেখে পরে আর নেইনি পরে লোকটি তখন বলছে যে আপনারা তো ঠিকই ছবি তুলে নিলেন এখন নিচ্ছেন না কেন । আমরা বললাম যে কাজে আমরা নিতে চেয়েছিলাম সেটা তো হয়েই গিয়েছে এখন এটা এত দাম দিয়ে নিয়ে কি লাভ । তখন ছেলেটা বললো এখন থেকে আর কাউকে এটা দিয়ে ছবি তুলতে দেয়া যাবে না ছবি তুললে কেও আর তখন কিনে না ।

20240425_230951.jpg

20240425_230934.jpg

20240425_230920.jpg


তারপর এখানে বাচ্চাদের বেশ কিছু প্লাস্টিকের খেলনা ও মাটির খেলনা দেখতে পেলাম । এই মাটির খেলনা গুলো ছোটবেলায় এমন কোন মেয়ে মানুষ নেই যে মনে হয় খেলেনি । আমরা অনেক কিনেছে এবং এটা দিয়ে আমরা রান্না বারা করেছি । মাটির হাঁড়ি পাতিল কড়াই আবার মাটির পাটা ফলফলালী বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখতে পেলাম এগুলো দেখে আসলে ভালই লাগে । সেই ছোটবেলার স্মৃতিতে ফিরে যাওয়া যায় । আবার আরো অনেক মাটির হাড়ি পাতিল দেখলাম যেগুলো বড়দের জন্য রেডি করা হয়েছে ইদানিং দেখি মাটির হাঁড়ি পাতিল গুলো বেশ বিক্রি হচ্ছে কারণ মানুষ পহেলা বৈশাখে এ ধরনের জিনিসে খাবার সার্ভ করে যেটা দেখতে ভালই লাগে । কিছু প্লাস্টিকের জিনিস দেখলাম ভালোই বিক্রি হচ্ছে । ছোট ছোট বাচ্চারা এগুলো কিনছে । এখানে একটা জিনিস নিয়ে বসে পড়লে মনে হয় ভালোই বিক্রি হয় । লোকজন যেখানে যা দেখে সেটার জন্য ভিড় করে কেনার জন্য বিশেষ করে সাথে বাচ্চা থাকলে তো কথাই নেই ।

20240425_230909.jpg

20240425_230854.jpg


আরো কিছু মাটির জিনিস ও প্লাস্টিকের জিনিসও দেখতে পেলাম সেটারও কিছু ছবি তুলে নিলাম । তারপর আবার দেখলাম পপকর্ন বিক্রি হচ্ছে । পপকর্ন খেতে আমার কাছে ভালো লাগে বিশেষ করে বাসে বসে লং জার্নিতে বসে বসে ভাল লাগে খেতে । আমরা অবশ্য কিনে নিয়েছিলাম বাচ্চাদের জন্য ওরা খুব মজা করে খেয়েছে ।

20240425_230842.jpg

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png *** VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

মাটির জিনিসগুলো দেখতে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লেগেছে আর হ্যাঁ ছোটবেলায় যখন মেলায় যেতাম তখন এই হাতে ছাপ্পা দেওয়া জিনিসটা লাগাতাম। আপনার পোস্ট দেখে ছোটবেলায় গ্রাম্য মেলায় যাওয়ার অনুভূতিগুলো আবার মনে পড়ে গেল।

ঠিকই বলেছেন মাটির জিনিস দেখতে ভালোই লাগে । আর এই ছোট ছাপাগুলো ছোটবেলায় দেখেছি কিন্তু কোনদিন নেওয়া হয়নি ।

ঘুরাঘুরি করতে কেনা পছন্দ করে। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লাগে ঘুরাঘুরি করতে। ফরিদপুরে আপনারা সব সময় রিক্সা নিয়ে ঘুরাঘুরি করে থাকেন শুনে ভালো লাগলো। ধলার মোড় আপনাদের অনেক বেশি পছন্দের, এটা তো দেখেই বুঝতে পারলাম। অনেক রকমের জিনিসপত্র দেখতে পেয়েছি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। বিভিন্ন দোকান বসেছে ওখানে দেখেই বুঝতে পারছি। মাটির জিনিস গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। মাটির হাঁড়ি-পাতিল দিয়ে ছোটবেলায় কত যে খেলাধুলা করেছি এটা তো বলাই যাবে না। পপকর্ন আমার নিজেরও পছন্দের।

এখানে পদ্মার পাড়ে নদীর পানি জমে এবং সেই নদীকে ঘিরেই বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে ওঠে যেটা দেখতে ভালো লাগে ।

বাহিরে গিয়ে সময় কাটাতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ধলার মোড়ে দেখছি অনেক অনেক রকমের জিনিস বিক্রির দোকান রয়েছে, যেগুলো দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর সুন্দর জিনিসের দোকান গুলো দেখে তো আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। মাটির অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখলাম, যেগুলো দেখে তো ইচ্ছে করছে সব কিছুই তুলে নিই। মাটির জিনিস আমার অনেক বেশি পছন্দের। আর এগুলোর ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।

আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনি তো প্রতিবার গেলেই তাও ধলার মোড় নিয়ে ঘুরতে যান আমার তো যাওয়াই হয় না। এরপরেরবার গেলে যাব ভাবছি। যাই হোক এখানে তো দেখছি বেশ ছোটখাটো মেলা বসেছে। ভালো করেছেন এখানকার খাবার গুলো না খেয়ে। এরকম পরিবেশের খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাছাড়া মাটির হাড়ি পাতিল গুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। মেলায় গেলে এগুলো খুব কিনতাম। যাই হোক আপু ভালো লাগলো আপনার ঘোরাঘুরির মুহূর্ত দেখে।

অবশ্যই আপু আবার যখন যাব তখন সবাই মিলে যাওয়ার চেষ্টা করব । ধন্যবাদ আপনাকে ।