অনেক দিন পর তানিয়ার বাসায় যাওয়ার আনন্দ

in hive-129948 •  2 months ago 

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Polish_20240611_012614782.jpg


আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । অনেকদিন পরে আমি আর আমার বোন দুজনে মিলে তানিয়ার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম । সেই ঘোরাঘুরির আনন্দটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।ঘোরাঘুরি নিয়ে এবং বাসায় গল্প গুজব নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে খুব একটা ছবি তোলা হয়নি । শুধুমাত্র রাস্তায় কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব । আর আমরা সময়টা কত সুন্দর ভাবে কাটিয়েছি সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো । নিজের ভাই বোন যখন একসাথে হওয়া যায় তখন জগতের অন্য কোন কিছুই ভালো লাগে না । তখন মনে হয় যেন সারাদিন বসে শুধু গল্প করি ।


বেশ কয়েকদিন ধরে মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম যে ছেলেটার পরীক্ষা শেষ হলে তানিয়ার বাসায় যেয়ে দু-তিনদিন থেকে আসব । কারণ অনেকদিন হলো বাসার বাইরে খুব একটা যাওয়া হয় না । সেই রোজার ঈদের সময় বাবার বাড়ি থেকে ঘুরে এসেছি তারপরে এক প্রকার গৃহবন্দি ভাবেই রয়ে গিয়েছি । এর জন্য তানিয়ার বাসায় ঘুরতে গেলে একটু ভালো লাগবে সেজন্য ছেলের পরীক্ষা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি এবং ওয়াহিদার আসার কথা সেই জন্য অপেক্ষা করেছি । কিন্তু ওয়াহিদার ফরিদপুর থেকে আসতে আসতে একটু দেরি হয়ে গেল আবার ঈদ চলে আসছে । যার কারণে ওর বাসায় গিয়ে দুই তিন দিন থাকার পরিকল্পনা একরকম ভাবে বাদ দিতে হলো । তারপরও আমরা ঠিক করে রেখেছিলাম যে আজকে সকালবেলা যাব আর দু দিন থেকে আসবো । কিন্তু হঠাৎ করে মনে হলো যে ওখানে গিয়ে যদি দুদিন থাকা হয় তাহলে ওয়াহিদার ফরিদপুরে ফিরতে দেরি হয়ে যাবে । যার কারণে যাওয়ার পরিকল্পনাটা বাদ দিলাম ।


এর ভিতরে তানিয়া ফোন করে আমাদেরকে দাওয়াত দিলো যে আজকে দুপুর ও রাতে যেন ওর সাথে খাওয়া-দাওয়া করা হয় । পরে আমার হাজব্যান্ডকে বলা হলে সে বলল যে সেটা করা যায় এরপর আমরা যথারীতি যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগলাম । গতকাল রাতে ফোন দিয়ে জানিয়েছিল । আজকে দুপুর বারোটার ভিতরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল । তবে আমাদের ঘুম থেকে উঠতে উঠতে এবং রেডি হতে হতে কিছুটা সময় দেরি হয়ে গেল । আবার মিষ্টি কিনতেও দেরি হচ্ছিল । বের হতে হতে দুটো বেজে গিয়েছিল এবং ওর বাসায় গিয়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সোয়া তিনটা বেজে গিয়েছিল ।


সেখানে গিয়ে আমরা যাওয়ার সাথে সাথে খাওয়া-দাওয়া করতে বসে গিয়েছি । এরপর বসে সবাই মিলে গল্প গুজব আড্ডা দিতে দিতে কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে টেরই পেলাম না । সন্ধ্যার সময় চা নাস্তা করে আবার কিছু সময় গল্প করতে করতে বাংলাদেশের খেলা শুরু হয়ে গেল । সেই খেলাটা দেখতে দেখতে আমরা আরো কিছু সময় গল্পে বলছিলাম । তারপর রাতের খাওয়া দাওয়া করে আমরা বের হতে হতে রাত এগারোটা বেজে গিয়েছিল । খেলাটা শেষ করে আসার ইচ্ছা ছিল তবে রাত অনেক হয়ে যাবে দেখে আর সে ইচ্ছাটা আমরা পোষণ করলাম না । বাসা থেকে বের হয়ে একটা গাড়ি নিয়ে আমরা বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম এবং আধা ঘন্টার ভিতরে আমরা আমাদের বাসায় এসে পৌঁছে গেলাম । আজকের দিনটা অনেকদিন পরে বেশ ভালোই কেটেছে ।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png *** VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

সত্যি আজকের দিনটা অসাধারণ কেটেছে ।অনেকদিন পর একসঙ্গে হওয়ার আনন্দ সত্যিই অন্যরকম। এরকম সময় কাটাতে পারলে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে ।অনেকদিন পর এরকম দারুন একটা দিন কাটালাম সবাই মিলে।ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

অনেকদিন পরে সবাই মিলে সত্যি অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছিলাম ।

আসলে বোনেদের সাথে একসাথে হলে আর কি লাগে। দুনিয়ার সবকিছু তখন একদিকে থাকে, আর আমাদের গল্প গুজব, আড্ডা, আনন্দ সব কিছু অন্যদিকে থাকে। আপনারা দুই বোন মিলে তানিয়া আপুর বাসায় গিয়েছিলেন এবং একসাথে অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। সেই সাথে খাওয়া-দাওয়া ভালোই করেছেন বুঝতে পারছি। সবাই একসাথে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছিলেন শুনে ভালো লেগেছে। আপনাদের কাটানো এই সুন্দর মুহূর্ত সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ।

সত্যি বোনরা সবাই মিলে একসাথে থাকলে সময়টা যে কোথা দিয়ে পার হয়ে যায় বোঝা যায় না । সময়টা কিন্তু আপু অনেক ভালো কেটেছিল ।

অনেক দিন পর যখন প্রিয় মানুষের সাথে একসাথে সময় কাটানোর সুযোগ হয়, তখন যেন সময় একটু বেশিই দ্রুত চলে যায়। আপনারা দুই বোন মিলে তানিয়া আপুর বাসায় গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। জেনে ভীষণ খুশি হলাম। একসাথে আপনাদের ছবি দেখতে পেলে ভালো লাগতো আরো বেশি। তবে আসলেই গল্পে মশগুল হয়ে গেলে এইসব বিষয়ে আর খেয়াল না থাকাটাই স্বাভাবিক 😇। ভালো সময় কাটানোটাই আসল মুখ্য বিষয়। আপনাদের জন্য শুভকামনা।

সবাই মিলে গল্প করতে এত মশগুল থাকি যে নিজেদের ছবি তোলাই হয় না।

দুই বোন মিলে তানিয়া আপুর বাসায় গিয়ে সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।এটা সত্যি ই বলেছেন বোনরা এক হলে কোন কিছুই খেয়াল থাকে না।সবাই গল্পে, আড্ডায় মূহুর্তগুলোকে আরো বেশী প্রানবন্ত করে রেখেছিলেন। সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

একদম তাই হয়েছিল কোথা দিয়ে যে রাত এগারোটা বেজে গিয়েছিল বুঝতেই পারেনি ।

অনেকদিন পর এভাবে আড্ডা দিয়ে সেদিন বেশ ভালোই লেগেছিল। আড্ডা দিতে দিতে এতই ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম যে আমিও খাবারের ছবিগুলো তুলতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরে ভুলে গিয়েছিলাম। যাইহোক আপনারা থাকলে আরো বেশি ভালো লাগতো। কিন্তু জ্যাম হয়ে যাবে এজন্য আমি আর জোড়াজোড়ি করিনি। আশা করি এরপরে একদিন আবারো এরকম আড্ডা হবে এবং একসঙ্গে থাকা হবে।