★বুমার্স রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু সময়★10%shy-fox

in hive-129948 •  3 years ago 

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



PhotoEditorPro_1654366490879.jpg

আজ আমি আপনাদের সামনে আমার একটি রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করতে চলে এসেছি। বেশ কিছুদিন ধরে মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টে যাই কিন্তু যাওয়া হচ্ছে না ,আর আমার বাচ্চাটা প্রতিদিনই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে প্রতিদিন কি আর রেস্টুরেন্টে যাওয়া যায় বলুন। কোন বাহানা দিয়ে তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখি। কিন্তু আমারও আজ ক'দিন ধরে খুব যেতে ইচ্ছা করছে ওর বাবাকে বলছি কিন্তু সে যাচ্ছে না।

আজ বিকেল বেলা তাকে বললাম চলো রেস্টুরেন্টে যায় কিছুতেই রাজি হলো না ।তারপরে কি আর করার সন্ধ্যার সময় অনেকগুলো নাস্তা খেয়ে ফেললাম। তারপর বাচ্চা বায়না ধরেছে আইসক্রিম খাবে আইসক্রিম তেমন একটা খায় না তবে শুধু কেনার জন্য অস্থির থাকে ।বিকালের নাস্তা করার পরে আমার আর ভালো লাগছিলো না তাই আমি শুয়ে ছিলাম কিন্তু ওর বায়না আর থামে না। এরমধ্যে ওর বাবা নিচে গিয়েছে হাঁটার জন্য আমারও কিছু কুরিয়ার করার ছিল তাই আমি যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু ভালো লাগছেনা দেখে শুয়ে ছিলাম আর যাওয়া হলো না।

তারপরে বাচ্চার বায়না আর থামে না সে যাবেই বাবা নীচে গিয়েছে এখন চল আমরাও যাই। তারপরে ওর বাবাকে ফোন দেই সে তখন বলল যে তোমরা নিচে আস একটু হাটাহাটি করে গেলে ভালো লাগবে। তখন আমরাও রেডি হয়ে নিচে গেলাম কিন্তু একটু হাঁটাহাঁটি করার পর বাচ্চাকে যখন বললাম চলো বাসায় যাই সে কোনভাবেই বাসায় যাবে না বলে যে রেস্টুরেন্টে যাবো। আমি বললাম চলো রিকশায় করে ঘুরে আসি তারপর বাসায় চলে আসি না তার একটাই বায়না যে রেস্টুরেন্টে যাবো। পরে বাধ্য হয়ে ভাবলাম যে ওকে নিয়ে বেইলি রোড থেকে একটু ঘুরাঘুরি করে তারপরে বাসায় চলে আসব ওখান থেকে কিছু ফ্রেন্স ফ্রাই কিনে নিয়ে। কিন্তু বাচ্চার একটাই বায়না সে রেস্টুরেন্টে বসে ফ্রেন্স ফ্রাই খাবে। তারপরে নিয়ে গেলাম ফ্রেন্স ফ্রাই খাওয়ার জন্য। কিন্তু সে কোন রেস্টুরেন্টে ঢুকে না বলে যে ছোট রেস্টুরেন্ট আমি যাবনা বড় কোন রেস্টুরেন্টে যেতে হবে। তারপর সারা বেইলি রোড ঘোরাঘুরি করে তার কোন রেস্টুরেন্টে পছন্দ হলো না ।একটা রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকলাম কিন্তু তারপরও বাধ্য হয়ে বের হয়ে চলে আসলাম কারন ওখানে দরজার সামনে একটা পুতুলের বড় একটা মূর্তি ছিল সেটা দেখে তার ভালো লাগেনি তাই সেখান থেকে বাধ্য হয়ে বের হয়ে চলে এসেছি। ওখানে একটা মেলা ছিল মেলায় গিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করে আসলাম কিন্তু কিছু কেনা হয়নি দেখে ছবি তোলা হয়নি। তারপর অনেক হাঁটাহাঁটি করে বললাম যে চল আমরা বুমার্স এ যাই কারণ এই রেস্টুরেন্টটা তার অনেক পরিচিত ছোটবেলা থেকে সে বেশ কয়েকবার গিয়েছে পরে সে রাজী হল। এখন আমি আপনাদেরকে রেস্টুরেন্টের কিছু ছবি শেয়ার করছি।

20220604_211756.jpg

এই ছবিটা রেস্টুরেন্টে ঢুকার সময় গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তুলেছি। এই রেস্টুরেন্টে অনেক বড় এবং আমাদের এলাকার বেইলিরোড রেস্টুরেন্টটি রয়েছে। এই রেস্টুরেন্টে আমরা আগেও কয়েকবার এসেছি। রেস্টুরেন্টে খাবার গুলো মোটামুটি ভালই লাগে।

20220604_213235.jpg

এটা হল রেস্টুরেন্ট এর ভেতরের অবস্থা ।রেস্টুরেন্টে ঢুকেই তো অবাক এত বড় একটা রেস্টুরেন্ট এখানে বসার একফোঁটাও কোন জায়গা নেই। সবগুলো সিট ফিলাপ হয়ে গিয়েছে ।তারপরও ভেতরের দিকে ঢুকে একেবারে শেষের দিকে কর্নার সাইডে একটা চেয়ার ফাঁকা পেয়ে সেটাই আমরা বসে পড়লাম।

20220604_211845.jpg

রেস্টুরেন্টে বাচ্চাদের খেলার জন্য একটা জায়গা রয়েছে ।এখানে বাচ্চারা এত বেশি থাকে যে ঢোকার কোন সুযোগই পাওয়া যায় না ।আমার বাচ্চাটা যখন ছোট ছিল তখন ওই জায়গাটায় ঢুকতে অনেক পছন্দ করত এইবার দেখলাম যে সেখানে যেতে রাজি হল না। ওর থেকে ছোট বড় সব বাচ্চারাই ওখানে রয়েছে কিন্তু ও গেল না। আমরা দূর থেকেই বাচ্চাদের খেলা দেখছিলাম।

20220604_213508.jpg

20220604_213811.jpg

এখানে দাড়িয়ে খাবারের অর্ডার নেওয়া হয়। এখানে খাবারের মেনুটা দেওয়া আছে তাছাড়া টেবিলে বসে ওরা একটা মেনু চার্ট দেয় সেখান থেকেই দেখে আমরা খাবারগুলো বাছাই করেছি ।পরে এখানে দাঁড়িয়ে খাবারগুলো অর্ডার দিয়ে ওখানে ওয়েট করতে হয় সিরিয়াল নাম্বার ধরে ওরা যখন ডাকে তখনই নিজেরাই খাবারটা নিয়ে গিয়ে বসতে হয়।

20220604_215657.jpg

20220604_215614.jpg

20220604_214923.jpg

আমরা এই খাবারগুলো অর্ডার করেছিলাম। আমরা যেহেতু রাতের বেলা গিয়েছিলাম তাই ফ্রাইড রাইস, চাওমিন ও বাচ্চার জন্য ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার দিয়েছিলাম সাথে কোলড্রিংসও ছিল ।ফ্রাইড রাইস সাথে আমরা সেট মেনু অর্ডার দিয়েছিলাম এক সেট খাবারের মূল্য ছিল ২৭৫ টাকা সাথে কোলড্রিংস এক গ্লাস। কোল্ড্রিংসের দাম ছিল ৫০ টাকা করে আর ফ্রেন্স ফ্রাই এর মূল্য ছিল ১৯০ টাকা। আমাদের বিল হয়েছিল ৮৭৫ টাকা। এখানে খাবারগুলো দাম কিছুটা এক্সপেন্সিভ ছিল আমরা সেট মেনু অর্ডার করেছিলাম বিধায় একটু রিজনাবল প্রাইসে পেয়েছি। তাছাড়া আলাদা আলাদা করে যদি খাবারের অর্ডার দেওয়া হয় তাহলে মূল্যটা আরো অনেক বেশি আসে। কিন্তু খাবারের মান গুলো অনেক ভালো।

এটাই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ছবির লিংক: Link

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

রেস্টুরেন্টে খুব অসাধারণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন। রেস্টুরেন্টে চারদিকের পরিবেশ খুবই চমৎকার। আপনার ফটোগ্রাফি খুব দুর্দান্ত হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব সুন্দরভাবে সময়গুলো অতিবাহিত করেছেন। রেস্টুরেন্টে কাটানো মুহূর্তগুলো সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বেশকয়েকদিন পর সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছি আসলে সময়টা অনেক ভালো কেটেছে ধন্যবাদ আপনাকে।

বুমার্স রেস্টুরেন্টে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। খাবার গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

যে কোন রেস্টুরেন্টে গেলে মুহূর্তগুলো ভালই কাটে তাই আমাদের সবারই মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে যাওয়া উচিত ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

বুমার্স রেস্টুরেন্টে কাটানো কিছু সময় দেখে পড়ে অনেক ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে এরকম রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে সবাই পছন্দ করে ।আপনার সুন্দর মুহূর্তে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ঠিকই বলেছেন মাঝে মাঝে এরকম রেস্টুরেন্টে গিয়ে সময় কাটাতে খারাপ লাগে না ভালই লাগে আমিতো চেষ্টা করি পরিবারের সবার সাথে মাঝে মাঝে যেতে ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আপু বেলি রোডের কথা বলাতে আমার মনে পরে গেলো ভার্সিটির কথা,আগে এই বেলি রোডে কত আড্ডা দিয়েছি ফ্রেন্ডগুলো মিলে।মোটামুটি বেলিরোডের সব গুলো দোকানের খাবার এক্সপেন্সিভ থাকে,তখন স্টুডেন্ট ছিলাম তখন আর বেশি লাগতো।যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

ঠিকই বলেছেন বেইলি রোড আড্ডা দেওয়ার জন্য একেবারে পারফেক্ট একটি জায়গা ।এখানে যে কত মানুষ সারাদিন রাত বসে আড্ডা দেয় তার কোন হিসেব নেই। ঠিক বলেছেন আপু বেইলি রোডের খাবারগুলো একটি এক্সপেন্সিভ তবে ভালো লাগে খাবারগুলো।

বাচ্চার বায়না, বাচ্চার বাবু যায়না, বাচ্চার আম্মু বলে আয়না,হাহাহা। আসলে আপু ছোট বাবু থাকলে একটু বিরক্তি করে। কারণ তাদের চাহিদার শেষ থাকে না, এটা না ওটা মানে সেই নিজেই কনফিউজ থাকে তার কি চাই। তো শেষ পর্যন্ত ভালো না লাগা সত্ত্বেও নিচে গিয়েছেন, ঘুরেছেন পিরেছেন অনেকগুলো রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন তবুও বাবুর পছন্দ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বুমার্স রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন এবং মোটামুটি ভালো একটা বিল এসেছে। যাই হোক আপনার মনের ভাবগুলো খুব সুন্দর করে গুছিয়ে আমাদেরকে শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।

ঠিকই বলেছেন ভাই অনেক সময় অনিচ্ছাসত্ত্বেও অনেক কিছু হয়ে যায় আর বাচ্চার আবদার কি আর ফেলা যায় বলেন। এই জন্য সবকিছুই হয়ে গেল ধন্যবাদ আপনাকে।

রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে আসলে খুব ভালো লাগে। আর যদি খাবারের মান ভালো হয় তাহলে তো কথাই নেই। আপনি আজকে রেস্টুরেন্টে গিয়ে আপনার পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং আপনার খাবার গুলো দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই রেস্টুরেন্টে খাবারের মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া যে কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে সময় কাটানো এবং সাথে ভালো ভালো খাবার খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

আসলে বাচ্চারা এরকম বায়না ধরে থাকে। তবে আপনি রেস্টুরেন্টের যে মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এখানে গিয়ে আপনি ফ্রেন্স ফ্রাই খেয়েছেন যারবিল হয়েছিল 850 টাকা। সবমিলিয়ে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন।। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুধু ফ্রেন্স ফ্রাই এর বিল ৮৫০ টাকা আসেনি সবকিছু মিলিয়ে ৮৭৫ টাকা এসেছিল আর খাবার গুলো অনেক ভাল ছিল আর সময়টাও অনেক ভালো কেটেছে।

বুমার্স রেস্টুরেন্টে আপনি অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আপু। রেস্টুরেন্টে পুরো ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে রেস্টুরেন্টটি অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন । তবে বাচ্চাদের জন্য পারফেক্ট খেলার জায়গা। বাচ্চাদের খেলানোর জন্য আপনি অনেক সুন্দর একটি জায়গা বেছে নিয়েছেন আপু।

আসলে আপু এই ধরনের রেস্টুরেন্টে গেলে বাচ্চারা খেলে আনন্দ পায় আর খাবার তো আছেই। আমাদেরও ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।