ছেলের জন্য চশমা বানাতে যাওয়া

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।




আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছেলের চোখের চশমা বানানোর অভিজ্ঞতা । বেশ কিছুদিন হয়ে গেলো ছেলের চোখে চশমা ব্যবহার করতে হচ্ছে । তাই কয়েক দিন পর পরই চশমাটা চেঞ্জ করতে হচ্ছে । দেখা যাচ্ছে যে চশমাটা খেলতে খেলতে নষ্ট করে ফেলে । তবে ছেলেটা আমার অনেক বেশি সাবধানী খুব সহজে নষ্ট করে না । হঠাৎ করে দু একবার হয়তোবা নষ্ট হয়ে গিয়েছে আর প্রথমবার যেটা নষ্ট হয়েছিল সেটা আমার কারনেই হয়েছিল । ও খাটের উপর চশমাটা রেখে অন্য সাইডে বসেছে আর ঠিক সেই মুহূর্তে আমি ওর চশমার উপরে বসে পড়েছি এবং চশমাটা একেবারে বাঁকা চাকা হয়ে গিয়েছে । আমি তো কোন রকম ঠিক করেছি পরে যে দোকান থেকে বানিয়েছি সেখানে নিয়ে গিয়েছি এবং ওরা দেখে সাথে সাথে বুঝেছে যে এটার উপরে কেউ বসে পড়েছিল । তারপরে কোন রকমে ঠিক করে দিল । কিছুদিন যেতে না যেতে চশমাটার একটা সাইড বাঁকা হয়ে গিয়েছে এবং সেটা মোটামুটি ভেঙে গিয়েছিল ।

20240714_185232.jpg

20240714_185236.jpg


কোনরকমে কয়দিন ব্যবহার করে তারপর ডাক্তারের কাছে যাই । ডাক্তার আবার নতুন চশমা দিল প্রথমে যেখানে ডাক্তার দেখিয়েছি সেখান থেকে চশমাটা বানানোর ইচ্ছা ছিল । কিন্তু ওখানে চশমার অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারণে সেখান থেকে আর বানালাম না । তারপর আমাদের বাসার নিচে বড় একটা চশমার দোকান রয়েছে সেখানেও ভাবলাম যে এখানে দামটা ওরা একটু বেশি রাখে এবং এখানে ওদের খুব বেশি কালেকশন নেই যার কারণে আমরা অন্য জায়গা থেকে বানানোর সিদ্ধান্ত নিলাম । আমাদের সাথে অন্যরাও ছেলে এবং ওরাও ওদের জন্য চশমা বানাবে । ওরা বিজয়নগর গিয়ে চশমা বানানোর সিদ্ধান্ত নিল আমরাও ভাবলাম যে তাহলে সেখান থেকে আমরাও নিব । ভাই ও বলল যে বিজয়নগর তার এক পরিচিত দোকান আছে সেখান থেকে বানালে ভালো চশমা পাওয়া যাবে এবং দামটা ওরা রিজনাবল লাখে । সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা পরের দিন বিকেল বেলা চলে গেলাম বিজয়নগর এর উদ্দেশ্যে । ছেলেটা ওদের সাথে গেল আর আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে নিরিবিলি রিক্সা দিয়ে আস্তে আস্তে যেতে থাকলাম । আমি রিকশায় চড়তে সবসময়ই বেশি পছন্দ করি এজন্য যত দূরের রাস্তাই হোক না কেন আমার হাজব্যান্ড আমাকে রিকশা করেই নিয়ে যেতে চায় কারণ সে জানে যে এটা আমি পছন্দ করি ।

20240714_185328_005.jpg

চশমা পরে ভাব নিচ্ছে


এরপর আমরা অল্প কিছু সময়ের ভিতরে গন্তব্যস্থলে চলে গেলাম । সেখানে গিয়ে বেশ কিছু চশমা দেখতে থাকলাম এবং যার জন্য চশমা নেওয়া হবে সে মোটামুটি কয়েকটি চশমা দেখে পরে একটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল । যেটাই দেখানো হয় সেটা ভালো লাগে না পরে তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সে যেটা পছন্দ করে সেটাই তার জন্য নেয়া হলো । আমরা একটু কমদামী দেখে চশমাটা নিয়েছি কারণ একমাস পরে চশমাটা আবার চেঞ্জ করতে হবে । যার কারণে দামি চশমা নিলাম না আর ছোট বাচ্চাদের জন্য মোটামুটি হলেই চলে । কারণ ওদের চশমাটা খুব বেশি নষ্ট হয়ে যায় যার জন্য এখন একটা নিয়ে তারপরে একমাস পরে আবার ডাক্তার দেখিয়ে আবার নতুন একটা নিব । এরপর চশমাটা বানাতে দিয়ে আমরা চলে আসলাম এবং পরের দিন রেডি হয়ে গেলে চশমাটা আমরা নিয়ে এলাম । সবকিছু মিলিয়ে অল্পের ভিতরে চশমাটা বানাতে পেরেছিলাম এবং চোখে পড়ে চশমাটা ভালো লেগেছিল ।মোটামুটি ছেলেকে লং টাইম চশমা পড়তে হবে এজন্য কিছুদিন পরপরই হয়তো বা চেঞ্জ করতে এখানে আসতে হতে পারে এজন্য পরিচিত একটি দোকান থাকলে ভালোই হয় । যদিও আমাদের বাসার নিচে রয়েছে তারপরও একটু দেখে শুনে নেয়াটাই ভালো ।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png *** VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

যেহেতু কিছুদিন পর পর চশমা চেঞ্জ করতে হয় তাই একটু কম দামি নেওয়াটাই ভালো। তবে চশমাটা খুব সুন্দর হয়েছে। তাকে বেশ ভালোই লাগছে দেখতে। আর এখন সাদা রঙের এই ফ্রেম গুলো অনেক চলে। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

ছেলের জন্য চশমা বানাতে গিয়েছেন এবং সেই চশমা পরে বাবু খুব আনন্দ করছে। আর এই বিষয়ে বিস্তারিত সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

খুব ভালো লাগলো আপনার ছেলের জন্য চশমা বানানো অনুভূতিটা পড়ে আপনাদের এই চশমা বানানো গল্পটি পড়ে আমার নিজের গল্পের কথা মনে পড়ে গেল। আমিও গিয়েছিলাম চশমা বানাতে যেয়ে কোনমতেই চশমার ফ্রেম পছন্দ হচ্ছিল না। যদিবা অনেক কষ্ট করে একটা পছন্দ করলাম রুমে এসে আমার রুমমেটরা বলছে ওটা নাকি বৃদ্ধ মানুষের মত লাগছে। কি আর করা বানানো তো হয়ে গেছে। ভালো লাগলো আপনাদের এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপু কিছুদিন পর পর ছোট বাচ্চাদের চশমা এমনিতে নষ্ট হয়ে যায়। হয়তোবা চশমা বাঁকা হয়ে যায় নয়তো বা কিছু খারাপ হয়ে যায়। আর আপনার ছেলে কিছুদিন পর ডাক্তার দেখান এবং ডাক্তার নতুন করে চশমা দিবে। এই কারণে নিজের মতো করে চশমা কিনলে ভালো হয়। তবে এটি ঠিক ডাক্তার যেখানে বসে ওইখানে চশমার দাম বেশি হয়। আর বর্তমান সময়ে অনেকে দেখি চশমা ব্যবহার করে ছোট বড় সবাই। কোন না কোন সমস্যা থাকে চোখে। খুব সুন্দর করে ছেলের জন্য চশমা বানানো পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

চশমার কথা আর কি বললো, আমার ছেলে এক মাসে তিনবার চমশা নষ্ট করেছিলো হি হি হি।

আপনারটা দেখছি আমার টার থেকে এগিয়ে আছে । ও অত নষ্ট করে না এখন আগের থেকে একটু সাবধান হয়েছে, তবে আমি ওরটা নষ্ট করেছি দুএকবার ।