এজন্য সে বিভিন্ন রকম সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে। এলাকার দুস্থ গরিব মানুষের জন্য যতটুকু সম্ভব সে করার চেষ্টা করে। আর তার এই কাজগুলোই দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে। যেখানে অন্যান্য নেতারা গরীব মানুষের হক মেরে খাওয়াতে ব্যস্ত থাকে। সেখানে সে পুরোপুরি উল্টো কাজ করে। এভাবে দেখতে দেখতে এক সময় শোভন তাদের এলাকার জেলা কমিটির সভাপতি হয়ে যায়। এদিকে শোভন তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নানা রকম ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে বেশ ভালো টাকা ইনকাম করে নেয়।
জনসেবার পাশাপাশি সে নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও তার ক্ষমতার ব্যবহার করে। তখন তার বিরোধী নেতারা তার নামে নানা রকম কথার রটাতে থাকে শহরে যার কিছুটা অবশ্য সত্য। তার বিরুদ্ধে এলাকায় ব্যাপক ষড়যন্ত্র হতে থাকে। ষড়যন্ত্রকারীরা মূলত দুটো ভাগে বিভক্ত থাকে। একটা হচ্ছে তার নিজের দলের লোকজন। আর একটা হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের লোকজন। কিন্তু তার ক্ষতি করার জন্য তারা সবাই এক হয়ে যায়। এক হয়ে তারা শোভনের নামে একটা মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা দেয়।
সেই মামলাটায় শোভন বেশ বেকায়দায় পড়ে যায়। শোভন সেই মামলায় জড়ানোর কয়েকদিন আগে সেই মেয়েটি এসে শোভনের সাথে দেখা করে। কেউ একজন গোপনে তাদের একসাথে কথা বলার ছবি তুলে রাখে। পরবর্তীতে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলায় সেই ছবিটা ব্যবহার করা হয়। মামলায় নির্দোষ সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত শোভনকে বেশ কিছুদিন তার দলীয় পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রাজনীতি করতে গেলে শত্রুর সৃষ্টি হবেই। শোভনের জনপ্রিয়তা দিনদিন ভালোই বাড়ছে। তাছাড়া শোভন তাদের এলাকার জেলা কমিটির সভাপতি হয়েছে, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। তবে শোভন এই মিথ্যা মামলা থেকে নিজেকে কিভাবে নির্দোষ প্রমাণ করবে,সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit