আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে পশু পাখি শিকার সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আমাদের চারিদিকে আমরা দেখতে পাই যে বিভিন্ন ধরনের বনাঞ্চল আমরা কিভাবে ধ্বংস করছি। আসলে আমরা যেভাবে বনাঞ্চল ধ্বংস করছে এতে করে কিন্তু সব থেকে ক্ষতি হচ্ছে এইসব পশু পাখিদের। কেননা এইসব পশুপাখিদের থাকার জায়গা কিন্তু এসব বনাঞ্চল। এই পৃথিবীতে মানুষের যখন বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে তেমনি যতসব পশু পাখি রয়েছে তাদেরও কিন্তু বেঁচে থাকার অবশ্যই অধিকার আছে। যদিও অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষ বুদ্ধির দিক থেকে একটু এগিয়ে এই জন্য কিন্তু অন্যান্য প্রাণী অপেক্ষা মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে বিবেচিত হয়। আসলে মানুষ যেভাবে এসব বন অঞ্চল ধ্বংস করছে এবং পশুপাখি হত্যা করছে এতে করে তার সেই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব নামটা কিন্তু মনে হচ্ছে যে দিন দিন আস্তে আস্তে এই পৃথিবী থেকে মুছে যাচ্ছে।
এছাড়াও তারা যেভাবে পশুপাখি প্রতিনিয়ত হত্যা করছে এতে করে তাদেরকে সব থেকে হিংস্র প্রাণী হিসেবে মনে হচ্ছে। কেননা মানুষের এই ধরনের আচরণ কিন্তু আমরা কখনো আগে লক্ষ্য করিনি। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষের এই ধরনের আচার-আচরণ পরিবর্তন হচ্ছে এবং মানুষের মধ্যে হিংসাত্মক মন মানসিকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু মানুষ দিন দিন তাদের নিজেদের মধ্যে হিংসাকে যখন অন্যান্য প্রাণীদের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে এতে করে কিন্তু অন্যান্য প্রাণীদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আসলে কোন পশু প্রাণী কিন্তু মানুষের কোন ক্ষতি করার কখনোই চেষ্টা করে না। তাহলে কেন মানুষ শুধু শুধু এসব পশু প্রাণীদের বাসস্থান এবং তাদের হত্যা করবে। এছাড়া আমরা দেখতে পাই যে মানুষের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি করে কিন্তু মানুষ গাছ কেটে সেখানে বসবাসের উপযোগী জমি তৈরি করছে।
কেননা এসব গাছে বিভিন্ন ধরনের পশু পাখিরা বাসা বাঁধে এবং একই সাথে সেখানে পশুপাখিরা বংশবিস্তার করে। আসলে এসব বন অঞ্চল ধ্বংস হয়ে গেলে একদিক থেকে যেমন এসব পশু পাখির বংশবিস্তারের জায়গা কমে যাবে এর ফলে তাদের সংখ্যাও দিন দিন পৃথিবী থেকে কমে যাবে। এক সময় মনে হবে যে এসব প্রাণী এবং পাখিরা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আসলে এই পৃথিবীতে যত ধরনের প্রাণীরা রয়েছে এদের একে অপরের উপর অবশ্যই নির্ভর করতে হয়। আসলে মানুষ যেভাবে এখন পশু পাখি শিকার করছে এতে করে কিন্তু এসব পশুপাখিদের সংখ্যা দিন দিন এই পৃথিবী থেকে কমে যাচ্ছে। আসলে মানুষের এই ধরনের অসভ্য আচরণের জন্য সবথেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে এসব পশু পাখিদের। তাই আমাদের অবশ্যই এখনই পশু পাখি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
এছাড়া আমরা দেখতে পাই যে প্রতিবছর কিছু অসাধু ব্যক্তিরা যারা কিনা এসব পশু পাখি শিকার করে সেগুলো বাজারে বিক্রি করে। এছাড়াও সরকার কিন্তু এসব পশুপাখি শিকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং যদি এসব ব্যক্তিদেরকে একবার ধরতে পারে তাহলে তাদের কিন্তু কঠোর শাস্তি থাকে। আসলে সরকারের একার পক্ষে কিন্তু এই বিশাল জনসংখ্যাকে কন্ট্রোল করা মোটেও সম্ভব নয়। তাইতো সরকারের সাহায্যের জন্য আমাদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে এবং এসব অসৎ ব্যক্তিরা যাতে করে কোন ধরনের পশু পাখি শিকার না করতে পারে সেদিকে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কেননা আমরা যদি এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে এসব পশু পাখি শিকার করা বন্ধ করে দিতে পারি তাহলে আবার পৃথিবীতে সেই আগের মতো পশু পাখিতে ভরে যাবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।