আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার এক পরিচিত মানুষের গল্প শুনাবো এবং অর্থাৎ বলা চলে যে, তার চরিত্র টাই আপনাদের সাথে বিশ্লেষণ করতে এসেছি। কারণ আমার মনে হয় যে, এই ধরনের মানুষ খুব কমই রয়েছে এবং এই ধরনের মানুষ সাধারণত দেখাও যায় না। হয়তো আমি ভুলও হতে পারি। কারণ হয়তো আমার কাছে এটা একেবারে নতুন মনে হতে পারে কিংবা আলাদা ও মনে হতে পারে। কিন্তু হয়তো এটা একেবারে সাধারণ একটা ব্যাপার। তাই ভাবলাম যে, ব্যাপারটি লিখেই প্রকাশ করি।
আমার গ্রামে এক দাদা রয়েছে। অর্থাৎ কিছুটা দূর সম্পর্কীয় আত্মীয়। খুব একটা বেশি দূরেরও নয় এমনটা। তো আমি আসলে তাকে আমার এ জীবনে কখনোই রাগ করতে দেখিনি। এমন কি, উনার ছেলে মেয়েরাও এটা বলে যে। উনি সব সময় সবকিছুতে নির্বিকার অবস্থানে থাকেন। অর্থাৎ ওনার ছেলে মেয়েরা এমনও ঘটনা আমাদের বলেছেন যে, অনেক সময় খেলাধুলা করার সময় উনার ছেলে মেয়েরা অনেকের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন কিংবা বিভিন্ন ক্ষতি করে ফেলেছেন এবং এর পরে তার বাবার কাছে সে নিয়ে বিচার এসেছে। তখন ও ওই বৃদ্ধ লোকটি কোনো উচ্চবাচ্য করেননি এবং বাচ্চাদেরকে একটুও বকাঝকা করেননি।
আমার কাছে উনারি চরিত্র খুব এই রহস্যময় এবং অদ্ভুত লাগে। কারণ এমন পরিস্থিতিওতেও যেই মানুষ চুপ করে থাকতে পারে। তার আসলে আমার মনে হয় রাগ বলতে কিছুই নেই এবং উনার আত্মীয়-স্বজন এবং উনার স্ত্রী ছেলেমেয়েরাও এটাই বলে যে, তারা নাকি জীবনে এই ওই ব্যক্তিটিকে কখনোই রাগ করতে কিংবা অনাগ্রহ দেখাতে কিংবা বিরক্ত হতে দেখেননি সব সময় সবকিছুতে শুধু ফেল ফেল করে তাকিয়ে থাকে। এবং উনাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি এটাই বলে যে, যার জীবন তার আসলে কাউকে নাকি বকাঝকা দিয়ে কিংবা শাস্তি,উপদেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তার চেয়েও বেশি অদ্ভুত একটি ব্যাপার হলো, তার ছেলেমেয়েরা কিন্তু অনেক ভালোভাবেই মানুষ হয়েছে এবং বর্তমানে দুজন ছেলে মেয়েদের একজন ডাক্তার ও একজন ইঞ্জিনিয়ার। আসলে এটা আশ্চর্যের ব্যাপার। কারণ বেশিরভাগ মানুষই বলে যে বাবা-মা শাসন না করলে নাকি ছেলে মেয়েরা বকে যায়। কিন্তু উনার ব্যাপারে দেখলাম একেবারেই ভিন্ন চিত্র।