বার্ধক্যে একাকিত্বের কষ্ট (তৃতীয় পর্ব)

in hive-129948 •  15 hours ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


বৃদ্ধ সুলতান মিয়া নিজেই রান্না করে খান। তবে এই বুড়ো বয়সে রান্না করাটা তার কাছে বেশ ঝামেলার মনে হয়। এই জন্য তিনি খুব সামান্য আয়োজন করে থাকেন খাওয়া-দাওয়ার জন্য। অনেকদিন পরে শফিকের কল্যাণে ভালো-মন্দ খেয়ে তিনি অনেক খুশি হন। তিনি শফিকের জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করেন। শফিকের বাবা রব মুন্সী সুলতান মিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে তারা দুজন বেশিরভাগ সময় একসাথেই কাটাতো। তবে রব মুন্সী মারা যাওয়ার পরে সুলতান মিয়া আরও বেশি একা হয়ে পড়েছেন।

1000001322.png

শফিকের যখন তার বাবার কথা খুব বেশি মনে পড়ে। তখন সে সুলতান মিয়ার সাথে এসে গল্প করতে থাকে। সুলতান মিয়া শফিকের কাছে তার বাবাকে নিয়ে অনেক গল্প করেন। এভাবেই দিনকাল কেটে যাচ্ছিলো। একদিন শফিক সুলতান মিয়ার খোঁজ নিতে এসে দেখেন তিনি ঘরের ভিতরে শুয়ে প্রচন্ড জ্বরে কাতরাচ্ছেন। তা দেখে শফিক বুঝতে পারেন সুলতান মিয়াকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হবে। তখন শফিক তার সাথে আরো কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সুলতান মিয়াকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

সেখানে কয়েকদিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা হওয়ার পরে সুলতান মিয়াকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডাক্তার ছেড়ে দেন। যে কদিন সুলতান মিয়া হাসপাতালে ছিলেন। সেই কয়দিন শফিক তিন বেলা এসে তার খবর নিয়েছে। বাড়ি থেকে তার জন্য রান্না করে নিয়ে এসেছে। সুলতান মিয়া শফিকের দিকে তাকিয়ে থেকে নিজের ছেলে মেয়ের জন্য খুব আফসোস করতে থাকে। চিন্তা করতে থাকেন যেই ছেলে মেয়ের জন্য তিনি এত কষ্ট করেছেন তারা অসুস্থ বাবার খবরটা পর্যন্ত নেয় না।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!