যে কোন প্রসঙ্গ আসলেই সেটা গিয়ে রাজনের চাকরিতে গিয়ে শেষ হয়। এজন্য সাবিহা রাজন দুজনেই সচেতন ভাবে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে যায়। আর এই পরিস্থিতি এড়াতে গিয়ে তাদের ভেতর দিন দিন কথাবার্তার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। রাজন অবশ্য সাবিহাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে তার জন্য অপেক্ষা করে লাভ নেই। কারণ রাজনের ইদানিং মনে হচ্ছে তার আর কোনদিনই চাকরি হবে না। সাবিহার পরিবারই বা আর কতোদিন অপেক্ষা করবে তার চাকরির জন্য?
দেখতে দেখতে সাবিহার বয়স ৩০ পার হয়ে গিয়েছে। দুজনে ঘন্টাখানিক সময় কাটিয়ে মাগরিবের আযানের আগে রাজন বললো চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেই। সাবিহা বললো আমি একাই যেতে পারবো। তোমাকে খালি খালি কষ্ট করতে হবে না। এ কথা বলে সাবিহা একটা রিকশা নিয়ে তার বাড়ির দিকে চলে গেলো। রাজনের সাবিহার জন্য খুবই খারাপ লাগে। সে মনে মনে চিন্তা করে এত ভালো একটা মেয়েকে সে জীবনে পেয়েও ধরে রাখতে পারছে না। দীর্ঘদিন সাবিহার সাথে রাজনের সম্পর্ক।
কিন্তু এর ভেতরে কোনদিনই সাবিহা রাজনের কাছে কোন কিছুই আশা করেনি। মুখ ফুটে কখনোই কিছু চায়নি। কারণ সাবিহা রাজনের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালোই জানে। রাজন তার অবস্থা সাদিয়ার কাছে লুকায়নি। রাজনেরও মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে সাবিহাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে কোনো দামি রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া দাওয়া করতে, কোনো একটা ভালো শপিং মল থেকে কিছু কিনে দিতে। কিন্তু নিজের অক্ষমতার কারণে সেটা কখনোই হয়ে ওঠে না। সাবিহা চলে গেলে রাজন বেশ কিছুক্ষণ সাবিহার রিক্সার দিকে তাকিয়ে রইলো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রাজনের জন্য আসলেই খুব খারাপ লাগছে। আসলে একজন পুরুষ মানুষের কাছে টাকা না থাকলে নিজেকে একেবারে অসহায় বলে মনে হয়। তবে সাবিহা আসলেই খুব ভালো একটি মেয়ে। এমন মেয়ে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এসব মেয়েকে বিয়ে করলে সংসারে অনেক আয় উন্নতি হয়। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit