ডিজিটাল ব্যাংক চোর!

in hive-129948 •  last month 
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

ঋণ নেওয়ার কথা কমবেশি আমরা সকলেই জানি। এবং একটু বড় হওয়ার পরে কিন্তু এটা আমরা সকলেই বুঝতে পারি যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার মানে কি। কিন্তু ছোটবেলায় এতো জটিল বিষয় খুব একটা মাথায় ঢুকতো না। তাই ঋণ নেওয়া মানে শুধুমাত্র আমি ধার করাটাকেই বুঝতাম। এবং এটাও বুঝতাম যে একটা মানুষ ধার করেছে। তার মানে হলো, সেটাকে সে যে কোনো মূল্যে পরিশোধ করবে। কারণ ওই ছোটবেলায় ছোট মস্তিষ্কে এতোটুকুই মনে হতো।

কিন্তু বর্তমানে কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া কিংবা লোন নেওয়া এ বিষয়টাকে যা মনে হচ্ছে। সেটা হচ্ছে শুধুমাত্র রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাওয়া। তাছাড়া আমি আর কোনো কিছুই ভাবতে পারছি না। কারণ বর্তমানে এটাকে একেবারে ডিজিটাল চুরি বানিয়ে ফেলেছে। অর্থাৎ আপনি ঋণ নিবেন এবং ঋণ নেওয়ার পরে যুগের পর যুগ সেটা পরিশোধ করবেন না। জীবনে আরাম আয়েশ করে কাটিয়ে দিবেন। ওই আরামের পয়সা দিয়ে খাবেন,ঘুরবেন। কিন্তু তাও ওই ব্যাংককে আপনি টাকা ফেরত দিবেন না। আর আমার কাছে মনে হয় এটা হলো বর্তমান যুগের একেবারে পিওর ডিজিটাল চুরি।

আগেকার মানুষ চুরি করতো মাটির ঘরে সিদ কেটে। অর্থাৎ যারা সিদ কাটা মানে বুঝে না। তাদের জন্য একটু বলি। সেটা হচ্ছে, মাটির ঘরের এক সাইড থেকে মাটি কেটে নিয়ে। সেই ঘরে ঢুকে চুরি করাটাই ছিল গ্রামীণ যুগের একমাত্র চুরির পন্থা। মূলত এখনকার ব্যাংক ডাকাতি তাও ঠিক তেমনটাই মনে হচ্ছে। অর্থাৎ ঋণের নাম দিয়ে ঢুকে ব্যাংকে দেউলিয়া করে দিয়ে তারা আরাম আয়েশ করে জীবন কাটাচ্ছে।

তার চেয়েও যেটা জঘন্য ব্যাপার মনে হয়। সেটা হচ্ছে, তারা অর্থাৎ কিছু কিছু মানুষ এভাবে ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা ঋণ নিয়ে জীবনে একেবারে অনেক নাম ডাক এবং সম্মানের সাথে জীবন কাটাচ্ছে। আর ওইদিকে একটি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। আর একটা ব্যাংকের ঋণের টাকা মেরে দেওয়ার মানে কিন্তু হলো জনগণের টাকা মেরে দেওয়া। কারণ একটা ব্যাংকে তার নিজের টাকা খুব একটা থাকে না। সেখানে তার জনগণের টাকা ই বেশি থাকে। এটা হয়তো আমরা এখনো ভালোভাবে বুঝতে পারছি না। কিন্তু সত্যিই বর্তমানে অনেক বেশি ডিজিটাল চুরি বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ডিজিটাল ব্যাংক চুরি।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!