আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মাঝেমধ্যে কিছু অদ্ভুত ভাবনা মনের মধ্যে চলেই আসে। ব্যাপারটা এমন নয় যে ইচ্ছে করে ভাবনা গুলো ভাবি। কিন্তু আসলে আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি দেখতে দেখতে এখন মনে পজিটিভিটির চেয়েও নেগেটিভিটি টাই বেশি যেনো কাজ করে। এটা মাঝেমধ্যে নিজের মধ্যেও খারাপ লাগে যে, মনের মধ্যে পজিটিভিটি টা নেই। শুধুমাত্র নেগেটিভিটিটাই কাজ করে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আসলে পজেটিভ দিকটা ভাবতে গেলেও সব সময় কেনো যেনো নেগেটিভটাই মাথায় চলে আসে। আজকেও ঠিক তেমন একটা নেগেটিভ ব্যাপার নিয়েই কথা বলবো। অর্থাৎ নেগেটিভ ব্যাপার বলতে আমার নিজের একটা নেগেটিভ চিন্তা। যেটা আসলে করা উচিত নয়। করার প্রয়োজন ও নেই। কিন্তু কেনো যেনো মাথায় চলে আসে। আসলে মাথায় আসার একমাত্র কারণ হলো। আমাদের চারপাশে ঘুরতে থাকা ঘটনাগুলো।
বেশ কয়েকদিন আগে আম্মুর সাথে বসে বসে গল্প করছিলাম। তখন আসলে উনার মুখে আমাদের গ্রামের বেশ কিছু ঘটনা শুনছিলাম এবং তার মধ্যে অন্যতম একটা ঘটনা হলো। শুধুমাত্র অল্প কিছু জায়গার জন্য অর্থাৎ এক হাত কিংবা দুই হাত জায়গার জন্য এক ভাই এক ভাইকে খুন করে ফেলেছে। তখন ব্যাপার গুলো শুনে আসলে সাথে সাথে একটা নেগেটিভ চিন্তা ই মাথায় আসলো।
অর্থাৎ তখন আসলে মাথায় আসলো যে। এই যে এই ছোট ভাই বোনগুলোকে সবসময় এভাবে নিজের করে আগলে রাখি, নিজের ভালোটা না দেখে সব সময় যে ছোট ভাই বোন গুলোর ভালো দেখি। কখনো নিজের না খেয়ে হলেও ছোট ভাই বোনগুলোর জন্য সবকিছু জমিয়ে রেখে দেই। তারাও কি একদিন আমাদের সাথে এমনটাই ব্যবহার করবে? তারা কি ভুলে যাবে, যে তাদের আপু, ভাইয়া তাদের জন্য জীবনটা দিয়ে দিতেও কখনো দ্বিধা বোধ করবে না। এই অদ্ভুত ভাবনাগুলো খুব একটা ভাবা দরকার নেই। কারণ আসলে আমরা সবসময় আমাদের ছোট ভাই বোন গুলোকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। যেনো তারা বড় হয়ে নৈতিক মূল্যবোধগুলো হারিয়ে না ফেলে। কিন্তু তাও দেশের পরিস্থিতি আমাদের সমাজের পরিস্থিতি দেখে এসব চিন্তা গুলো মাথাতে চলেই আসে।