তারপরও যখন তার সমবয়সী বন্ধু-বান্ধবরা তার সাথে এমন আচরণ করে। তখন তার প্রচন্ড কষ্ট লাগে। এই কারণে শাকিলের মা শাকিলকে বাইরে যেতে মানা করেন। কারণ তিনি জানেন তার ছেলে বাইরে গেলেই দুষ্টু ছেলেপেলেরা তার ছেলেকে নিয়ে নানা রকম মজা করার চেষ্টা করে। যেটা শাকিলের মনে অনেক কষ্ট দেয়। শাকিলের শারীরিকভাবে সমস্যা থাকলেও পড়ালেখায় সে খুব মনোযোগী। স্কুলে তার বেশ সুনাম রয়েছে। তার স্কুলের শিক্ষকরা সবাই তাকে বেশ পছন্দ করেন। শাকিল যেমন পড়ালেখায় মনোযোগী তেমনি তার আচার ব্যবহার ও অনেক ভালো।
নিজের শারীরিক অক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সে সুযোগ পেলেই মানুষের উপকার করার চেষ্টা করে। এই অল্প বয়সেই সে তার এলাকায় তার মতো যারা শারীরিক প্রতিবন্ধী রয়েছে তাদের নিয়ে একটা সংগঠন তৈরি করেছে। শাকিল চিন্তা করে দেখেছে সে তো তাও লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ শারীরিক প্রতিবন্ধীরা অশিক্ষিত থেকে যায়। যার ফলে তাদেরকে সারা জীবন একটা মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলে মানুষের দুর্বলতা নিয়ে কখনো হাসাহাসি করা উচিত নয়। এতে করে যেকোনো মানুষ ভীষণ কষ্ট পায়। যাইহোক শাকিল যেহেতু পড়াশোনায় অনেক ভালো, আশা করি সে ভবিষ্যতে সবার মুখ উজ্জ্বল করবে এবং সবাই শাকিলকে নিয়ে গর্ববোধ করবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit