তারপর রাতের অন্ধকারে তাদেরকে বাড়িতে গিয়ে উঠিয়ে নিয়ে আসেন। প্রথমে তাদেরকে তিনি ভালোমতো বুঝিয়ে বলেন আন্দোলন থেকে সরে আসতে। তারা কথা না শোনায় তাদেরকে বেশ মারধরও করেন। তিনি সেকেন্ড অফিসারকে বলে দেন এদেরকে এরেস্ট দেখাবে না। রিমান্ড রুমে নিয়ে আটকে রাখো। এই কথা বলে তিনি থানার সমস্ত পুলিশকে ডেকে বলেন আগামীকাল ভোর বেলায় সকাল আটটার ভেতরে আমরা আন্দোলনের স্থানে উপস্থিত হবো।
সবাই আগে থেকে প্রস্তুত থাকবে। এই কথা বলে তিনি সেদিনের মতো রাতে বাড়ি চলে যান। পরদিন খুব সকালে উঠে তিনি থানায় চলে আসেন। এসেই সেকেন্ড অফিসার কে জিজ্ঞেস করেন রাতে কি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আর কোন কথা হয়েছে নাকি? সেকেন্ড অফিসার বলেন তাদেরকে একচোট মারধর করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই তারা আন্দোলন থেকে সরতে চাচ্ছে না। আফসার সাহেব তখন বলেন ঠিক আছে আজকে চলো। আগে গিয়ে দেখি পরিস্থিতি কি? আফসার সাহেব তার ফোর্স নিয়ে যখন আন্দোলন স্থলে পৌঁছান।
তখনও সেখানে খুব একটা বেশি ছাত্র ছাত্রী আসেনি দেখতে পান। কিন্তু বেলা একটু বাড়ার সাথে সাথেই সেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর ছাত্র ছাত্রী জড়ো হতে থাকে। তিনি খেয়াল করে দেখেন আজকে সবাইকে একটু বেশি উত্তেজিত মনে হচ্ছে। পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যে তিনি রাতে আটক করেছেন সেই খবর বাদবাকি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তিনি আরও একটা জিনিস দেখে অবাক হয়ে যান। আজকে নতুন কিছু ছেলে পেলেকে নেতৃত্ব দিতে দেখেন। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আফসার সাহেব ভেবেছিলেন কয়েকজন নেতাকে আটকে রাখলে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তিনি জানেন না যে,প্রতিটি ছাত্র নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখে। একজন নেতাকে আটকে রাখলে দশজন নেতা রেডি হয়ে যায়। যাইহোক গল্পটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit