বিকেলবেলায় রাজন প্রাইভেট পড়াতে যাওয়ার সময় মনে মনে চিন্তা করছিল মাস শেষ হয়ে গিয়েছে দুই তিন দিন হোলো। আজকে হয়তো সে বেতন পাবে। এলাকার দোকানে তার কিছু বাকি পড়েছে। বেতন পেয়ে সেই বাকিগুলাকে পরিশোধ করতে হবে। এলাকার দোকানদাররাও বেকার বলে তাকে বাকি দিতে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগে। যদিও সে কখনো টাকা-পয়সা নিয়ে ঝামেলা করে না। বেতন পাওয়ার সাথে সাথে সে আগে দোকানের বাকিগুলো পরিশোধ করে দেয়। এই সমস্ত কথা চিন্তা করতে করতে রাজন ছাত্রের বাড়ির কাছে পৌঁছে যায়।
কিন্তু তখনই ঘটে আরেক বিপত্তি। বহু বার সেলাই করা রাজনের স্যান্ডেলটা হঠাৎ করে ছিড়ে যায়। আশেপাশের কোনো মুচির দোকান না থাকায় রাজনকে অনেকটা দূরে হেঁটে গিয়ে স্যান্ডেল ঠিক করাতে হয়। তারপর যখন সে ছাত্রের বাড়িতে যায় তখন ছাত্রের মা তাকে কড়া ভাষায় বেশ কিছু কথা শোনায়। রাজন হতবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। রাজন কোনো সমস্যা ছাড়া কখনো দেরি করে পড়াতে আসে না। তাছাড়া তার যতটুকু সময় পড়ানোর কথা তার থেকে বেশি সময় নিয়ে সে ছাত্রকে পড়ায়।
তারপরও সামান্য সময় দেরি হওয়ার জন্য এমন ব্যবহারে রাজন বেশ কষ্ট পায়। অবশ্য ফেরার সময়ে রাজনের মনটা ভালো হয়ে যায়। কারণ সেদিন রাজন না চাইতেই তার বেতনের টাকাটা তাকে দিয়ে দেয়। সাধারণত প্রতিমাসেই ছাত্রের মায়ের কাছে একাধিকবার টাকাটা চাইতে হয়। টাকাটা পেয়ে রাজনের মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে ওঠে। বেতন পেলে রাজন সেদিন কিছু খাবার কিনে বাড়িতে নিয়ে যায়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রাজনের মত অনেকেই আছে যারা ক্ষুদ্র আয় করে জীবন অতিবাহিত করে। ক্ষুদ্র আয়ের উপর ভরসা করে বসে থাকতে হয়। বেকারত্ব সত্যি অনেক বেশি কষ্টের। লেখাগুলোর মাঝে বাস্তবতার ছোঁয়া খুঁজে পেলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এতটুকু দেরি হয়েছে বলে ছাত্রের মা রাজনকে কড়া ভাষায় কথা শুনিয়ে দিলো। তাছাড়া রাজন তো ইচ্ছে করে দেরি করেনি। আসলে সময় খারাপ হলে তখন সবদিক দিয়েই কষ্ট পেতে হয়। রাজনের ভালো দিন যে কবে আসবে সেটাই ভাবছি। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit