রাজন যখন বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ছিলো ততক্ষণে রাত দশটা পার হয়ে গিয়েছে। দরোজার করা নেড়ে রাজন বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো। কারণ সে জানে দরজা খুলতে কিছুটা দেরি হবে। বেকার মানুষদের এই সমাজে মূল্যায়ন যে কেমন সেটা রাজন বেশ ভালোভাবেই বোঝে। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর রাজনের মা দরজা খুললো। এত রাতে ফিরতে দেখে রাজনের মা রাজন কে জিজ্ঞেস করে এত দেরি করলি কেন? একটু তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরতে পারিস না? দেশের যা অবস্থা রাস্তাঘাটে কখন কার কি হয় কিছু কি বলা যায়?
তখন রাজন বললো আমার ছাত্রের আর কয়েকদিন পর পরীক্ষা। এই জন্য আজকে একটু বেশি সময় নিয়ে পড়ালাম। তুমি তো জানোই আজকালকার বাজারে টিউশনি পাওয়া বেশ মুশকিল হয়ে গিয়েছে। এই জন্য একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে পড়াই। যাতে টিউশনিটা ছুটে না যায়। রাজনের বেকার জীবনের একমাত্র ভরসা দুটো টিউশনি। এই দুটো টিউশনির মাধ্যমে সে তার নিজের খরচ চালায়। রাজনের মা রাজনকে বলল তুই হাত মুখ ধুয়ে খেতে আয়। আমি খাবার বাড়ছি।
রাজন বলল তোমাকে শুধু শুধু কষ্ট করতে হবে না। আমি খাবার নিজেই নিয়ে খাবো। তখন রাজনের মা ওকে ধমক দিয়ে বললো বেশি কথা বলিস না তো। তুই একা একা খাবি আর আমি গিয়ে ঘুমাবো তা কখনো হয়? রাজনের ওর মার জন্য খুব খারাপ লাগে। পরিবারের ভেতরে সেই একমাত্র মানুষ যার কাছে রাজনের দাম আছে। মা হঠাৎ করে রাজনকে বললো তোর বড় খালা তোকে ফোন দিয়েছিল নাকি? কালকে তো ওর মেয়ের বিয়ে। সন্ধ্যার পর আমাদের সবাইকে যেতে বলেছে। না গেলে কিন্তু তোর বড় খালা খুব রাগ করবে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলেই বেকার মানুষকে কেউ দাম দেয় না। পরিবারের মানুষজন তো একেবারে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। তবে মায়েরা আসলে সন্তানদেরকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে। তাইতো রাজনের মা এতো রাতেও রাজনকে খাবার খেতে দিয়েছে নিজে না ঘুমিয়ে। বেশ ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit