আবার এই বখাটের কাছ থেকে বাঁচানোর জন্য তোকে বিয়ে দেয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায়ও নেই। তখন তিনি বলেন ঠিক আছে আমি তোর বাবার সাথে কথা বলে দেখবো। পরদিন ফারিয়ার মা ফারিয়াকে বলে তুই তূর্যকে বলিস ওর বাবা মাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে। তোর বাবা রাজি হয়েছে। এই কথা শুনে ফারিয়া তার মাকে জড়িয়ে ধরে। তারপর ফারিয়া তখনই ফোন করে তূর্যকে বিষয়টা জানায়। কথা শুনে তূর্য অনেক খুশি হয়।
পরদিন তূর্য তার বাবা মাকে নিয়ে ফারিয়াদের বাসাতে আসে। তারা এনগেজমেন্ট করে বিয়ের কথা পাকাপাকি করে চলে যায়। সিদ্ধান্ত হয় ১৫ দিন পরে ওদের বিয়ে হবে। এদিকে ফারিয়ার বাবা সবকিছু যোগার যন্ত্র করতে লেগে পরে। বিয়ের কয়েক দিন আগে সে বাসায় লাইটিং করে। তবে লাইটিং করা দেখে ফারিয়ার মা তার বাবাকে বলে এত ঢাক ঢোল পেটানোর দরকার নাই। ওই বখাটেটা কোনো সমস্যা তৈরি করতে পারে। তখন ফারিয়ার বাবা বলে আরে কোন সমস্যা হবে না।
ওকে তো কিছুদিন ধরে এলাকায় দেখছি না। আসলে তারা জানতো না রিশাদ একটা মামলায় পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গিয়েছিলো। ফারিয়ার বিয়ের ঠিক তিন দিন আগে সে জেল থেকে বেরিয়ে আসে। জেল থেকে বেরোতেই রিশাদের এক চ্যালা তাকে জানায় ফারিয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আর দুইদিন পরে ফারিয়ার বিয়ে। এই কথা শুনে রিশাদ তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। সে বলে ওর বাবার এত বড়ো সাহস। আমি বলার পরেও সে মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আজকেই ওদের একটা শিক্ষা দেবো। আমি আজকেই ফারিয়াকে জোর করে বিয়ে করবো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।