সুদিনের অপেক্ষায়

in hive-129948 •  12 days ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে সুদিন সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


health-4861815_1280.jpg



লিংক

এই পৃথিবীতে সব সময় মানুষ চেষ্টা করে যে কি করে ভালো থাকা যায়। আর এর জন্য মানুষ সবসময় কঠোর পরিশ্রম করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। আসলে এই পৃথিবীতে সবার কিন্তু সব সময় সুদিন আসে না। অনেকেই আছে যারা খুব গরীব পরিবারের জন্মগ্রহণ করে জীবনে অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম করে এবং নিজেদের জীবনের ভাগ্যের চাকাকে ঘোরাতে চেষ্টা করে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষদের জন্য তারা কখনো এই সুদিনের মুখ আর দেখতে পায় না। আসলে এই বিষয়টা আমাদের সবসময় অবগত থাকতে হবে যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা মানুষের উপরে বিভিন্ন ধরনের অমানুষিক অত্যাচার করি। আসলে এসব অমানুষিক অত্যাচারের জন্য এসব মানুষেরা অনেক বেশি কষ্ট পায় এবং তারা কোন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। আপনার কাছে যেটি ছোট মনে হচ্ছে সেটি কিন্তু অন্যের কাছে অনেক বড় হতে পারে।


আর এর জন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করবো যাতে করে আমরা জীবনে কখনো কারো ক্ষতি না করি। আসলে এই পৃথিবীতে আমাদের মত সবাই অর্থাৎ যারা গরীব শ্রেণীর লোক তারাও কিন্তু সুদিনের মুখ দেখার জন্য তাদের অধিকার রয়েছে। আসলে যখন আমরা মানুষের অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে ফেলব তখন আমাদের জীবনে যতই সুদিন আসুক না কেন আমরা কিন্তু কখনো সেই সময়টাতে আনন্দ উপভোগ করতে পারবো না। কেননা একজনের ক্ষতি করে আরেকজন কখনো জীবনে বড় হতে পারে না। আসলে এই পৃথিবীতে প্রতিটা জিনিসের সাথে আমাদের সব সময় লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। কেননা লড়াই যদি আমরা করতে না পারি তাহলে এই পৃথিবীর সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে যাব এবং কখনো এই সুদিনের মুখ দেখতে পাবো না।


এর জন্য আমাদের সবাইকে সবসময় অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে থাকতে হবে। কেননা এই পৃথিবীতে অলসতার কোন জায়গা নেই। আর এই অলস মানুষগুলো জীবনে বসে বসে শুধুমাত্র সুদিনের স্বপ্ন দেখে। আর এই স্বপ্নগুলো শুধুমাত্র তাদের জীবনে স্বপ্ন হয়ে থাকে। এসব দিক বিচার বিবেচনা করে আমরা কখনো অলসের মতো দিন কাটাতে চেষ্টা করব না। আসলে এর জন্য আমাদের অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কেননা জীবনটা আমাদের যতই সংক্ষিপ্ত হোক না কেন এই জীবনটাতে আমাদের বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড করতে হয়। আসলে আমরা যদি কষ্টের মধ্য দিয়ে আমাদের দিন যাপন করি এবং এই কষ্ট যদি আমাদের সন্তানদেরকে আমাদের মত কষ্ট ভুগতে হয় তাহলে সেই জীবনের কোন মানে নেই। আর এই পৃথিবীতে একটা জেনারেশন যদি একটু ভালো করতে পারে তখন বাকি জেনারেশন গুলো আনন্দে কাটাতে পারবে।


আর এজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করব আমরা যদিও সুদিনের মুখ দেখতে না পাই তবুও আমাদের সন্তানরা যেন জন্মের পরে এই পৃথিবীতে এসে তারা কোন দুর্দিনের মুখ না দেখতে পায়। আর এই সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের সব সময় স্বার্থপর এর মত মন মানসিকতা নিয়ে চললে হবে না। সবসময় আমাদের চেষ্টা করতে হবে যাতে করে তারা এই পৃথিবীতে এসে কোন ধরনের কষ্ট না পায়। আসলে আমাদের জীবনে যতই কষ্ট হোক না কেন আমরা যদি আমাদের পরিবারের লোকগুলোকে সুখে রাখতে পারি তাহলে এখানেই আমাদের সফলতা। আর এই সুদিনের মুখ দেখার জন্য আমাদের মত লাখো মানুষ দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে। তাইতো পৃথিবীর এই কর্মযজ্ঞে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে সুদিনের মুখ দেখার জন্য।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হ্যাঁ আপনি একজনের ক্ষতি করে কখনোই সুখে থাকতে পারবেন না। যেহেতু জীবন একটা যুদ্ধ তাই জীবন যুদ্ধের সাথে লড়াই করে যদি আপনি এগিয়ে যান সে ক্ষেত্রে সুখী হতে পারবেন।

প্রত্যেক মানুষই চায় জীবনে ভালো একটা সময় উপভোগ করতে। কিন্তু সবার কপালে তা থাকেনা। সুদিন কাটানোর জন্য আসলেই অনেকেই কঠোর পরিশ্রম করে থাকে। আর কাজের তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে থাকে। আপনি সঠিক বুঝেছেন, আমাদের নিজের ভালোর জন্য কখনো আবার অন্য কারো ক্ষতি করা যাবেনা। আবার নিজে খারাপ সময়ের মধ্যে থাকলেও সন্তানদের দুর্দিন উপলব্ধি করতে দেওয়া যাবে না। নিজেকে কঠিন অধ্যবসায়ের মধ্যে রাখতে হবে তবেই আশা করা যায় সুদিন আসবে।